Header Ads

আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কার পেলেন বঙ্গসন্তান সাদাত রহমান


পৃথিবীকে শিশুর বাসযোগ্য করে তুলতে বিভিন্ন সংস্থা কাজ করে চলেছে রক্ত জল করে। সারা বিশ্বের মহৎ মানুষরা একনাগাড়ে কাজ করে চলেছেন যার ফলে পৃথিবীতে বিভিন্ন অসাধ্য সাধনও সম্ভব হচ্ছে বর্তমানে। পরিবেশের অবনমন বা মানুষের আর্থসামাজিক অবনমন থেকেও ঘুরে দাড়াচ্ছে আমাদের ধরিত্রী। মানুষের হস্তক্ষেপে যেমন সাউথ জর্জিয়াতে যেমন সিল মাছের সংখ্যা কমে মিলিয়ন থেকে চারশোতে নেমে গিয়েছিল তেমনই আবার মানুষের হস্তক্ষেপেই সেখানে আবার সিলের সংখ্যা ৪০ লক্ষতে এসে দাঁড়িয়েছে। পরিবেশ, সমাজ, আর্থসামাজিক উন্নয়ন নিয়ে কাজ করা মনুষ্যবর্গ, সংগঠন এসবের সন্মান জানাতে তাই তৈরি হয়েছে বিভিন্ন পুরষ্কার।


শিশুদের অধিকার রক্ষায় অবদানের জন্য, শিশুশ্রমিক, অনাথ শিশু, এইচ.আই.ভি. আক্রান্ত শিশুদের উন্নতি, শিশু শিক্ষা, পরিবেশ এক কথায় শিশুদের সার্বিক উন্নতিতে অবদানের জন্য এই পুরস্কার দেওয়া হয়। ২০০৫ সালে রোমে সারা বিশ্বের নোবেল শান্তি বিজয়ী, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশানাল এবং ইউনিসেফের একটি সন্মিলিতভাবে বৈঠক হয় এবং এই পুরস্কার চালু হয়। এই পুরস্কার প্রদান করে থাকে নেদারল্যান্ডের আমস্টারডামের কিডরাইটস ফাউন্ডেশন। এই পুরষ্কারের সাথে বিজয়ীকে দেওয়া হয় ১ লক্ষ ইউরো অর্থাৎ প্রায় ৮৫ লক্ষ টাকা।

এ বছর অর্থাৎ ২০২০ তে এই পুরস্কার লাভ করেন বাংলাদেশের ১৭ বছর বয়সী সাদাত রহমান। এর আগে এই পুরস্কার লাভ করেছেন গ্রেটা থানবার্গ, এনকোসি জনসন, মালালা ইউসুফ, কেহেকাসান বসুর মতো পৃথিবী কাঁপানো কিশোর কিশোরীরা। এখনও পর্যন্ত সারা বিশ্বের ১৭ জন এই পুরস্কার লাভ করেন তার মধ্যে দুজন বাঙালিও আছেন। ২০১৬ সালে ইউনাইটেড আরব ইমিরেটসের বাঙালি কেহেকাসান বসু। দ্বিতীয় বাঙালি হিসেবে এই পুরস্কার লাভ করেন বাংলাদেশের সাদাত রহমান।

৪২ টি দেশের ১৪২ জন এই পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পায় উল্লেখ্য তার সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মনোনয়ন পেয়েছে বাঙালিরাই, বাংলাদেশের ৯ জন ও ভারতের ১ জন বাঙালি এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত হন এবং সাদাত রহমান এই পুরস্কার লাভ করেন। প্রত্যেক বছরই ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে সাইবার বুলিং বেড়েই চলেছে। পিউ রিসার্চ সেন্টারের ২০১৮ এর সার্ভে অনুযায়ী অ্যামেরিকার ৫৯ শতাংশ ইন্টারেনেট ব্যবহারকারী কিশোর-কিশোরীরা সাইবার বুলিং এর শিকার হয়ে থাকে। সাইবার বুলিং বা সাইবার হ্যারেসমেন্ট এর শিকার প্রায় সকলেই কম বেশি হচ্ছেন সারা বিশ্ব জুড়েই। সাইবার হ্যারেসমেন্টের ব্যাপারে বেশিরভাগ কিশোর-কিশোরী তাদের বাবা-মাকে পর্যন্ত এই সমস্যা জানাতে পারেনা। এমনকি আত্মহত্যার ঘটনা পর্যন্ত ঘটছে। সাইবার বুলিং এ যাতে তাদের সমস্যার সমাধান করা যায় তার জন্য সাইবার টিন্স নামে অ্যাপ তৈরি করে তাদের মানসিক ভাবে সাহায্যের জন্য। ইতিমধ্যেই ৪৫০০০ কিশোর-কিশোরীর কাছে পৌঁছে গেছে সাদাত রহমানের সাইবার টিন্স এবং ৩০০ জন সাইবার বুলিং এ শিকার হওয়া কিশোর-কিশোরী উপকৃত হয়েছেন। তিনি বিভিন্ন এলাকার স্কুলে সাইবার ক্লাব বানিয়েছেন সাইবার বুলিং সম্পর্কে সচেতনতার জন্য। মাত্র ১৫ বছর বয়সে এমন উদ্যোগ সাদাত রহমানকে এই সাফল্য এনে দেয়। সাদাতের কথায় শুধুমাত্র বাংলাদেশেই ৫০ শতাংশ কিশোর-কিশোরী সাইবার বুলিং এর শিকার হয়ে থাকে। সাদাতের এই সাফল্য প্রতিটি বাঙালির কাছে গর্বের।

তথ্যসূত্র- কিডসরাইট.অর্গ, হট্টিটি-বাংলা

প্রতিবেদন- অমিত দে 

No comments