কলকাতা বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনে বঞ্চনার শিকার হলেন গর্গ চট্টোপাধ্যায়
ভারতবর্ষের একাধিক রাজ্যে বাঙালিদের ওপর অত্যাচারের জ্বলন্ত চিত্র আমরা খবরের কাগজে, টেলিভিশনের পর্দায় ও সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে দেখতে পাচ্ছি। বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকরা অত্যাচারিত হয়ে প্রাণ হাত নিয়ে গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, ওড়িশা ও দিল্লি থেকে ঘরে ফিরছে। বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের খুন করার ঘটনাও ঘটতে দেখা যাচ্ছে। রাজ্যের মাটিতে ও রাজ্যের বাইরে সর্বত্র বাংলা বললে তাকে বাংলাদেশী তকমা দেওয়া হচ্ছে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী বহু জায়গাতে জাত-ধর্ম নির্বিশেষে বহু বাঙালিদের কাগজ দেখা হচ্ছে। অভিযোগ উঠছে কাগজপত্র সঠিক থাকা সত্ত্বেও পেলোডারে করে দু-একজনকে বাংলাদেশে জোরপূর্বক পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সীমান্তবর্তী এলাকায় সাধারণ মানুষের ওপর বিএসএফদের অত্যাচার চালানোর অভিযোগও উঠে আসছে।
বাঙালিদের ওপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে বাংলা পক্ষ গর্জে উঠেছে। বাঙালিদের ওপর অত্যাচার, বঞ্চনার বিরুদ্ধে সারা বাংলা জুড়ে একাধিক পথসভা ও জনসভার আয়োজন করছে বাংলা পক্ষ। সোশ্যাল মিডিয়াতেও প্রতিবাদের ঝড় তুলছে বাংলা পক্ষ।
এরই মধ্যে গত ৩ রা আগস্ট এক ভয়ংকর অভিজ্ঞতার সাক্ষী হলেন বাংলা পক্ষের সাধারণ সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায়। কলকাতা বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশনের সময় পাসপোর্ট জমা দেওয়ার পর ভারতের যিনি পাসপোর্ট হোল্ডার তিনি পাসপোর্ট ও অন্যান্য কাগজপত্র চেক করার পর হিন্দিতে প্রশ্ন করায় গর্গ চট্টোপাধ্যায় বলেন তিনি হিন্দি বোঝেন না। যা শুনে ঐ পাসপোর্ট হোল্ডার সঙ্গে সঙ্গে বলে দেন তিনি ভারতীয় নয়। এরপর গর্গ চট্টোপাধ্যায় সেখানেই প্রতিবাদ করে স্পষ্ট বুঝিয়ে দেন হিন্দি বুঝতে বা না বলতে পারলে সে ভারতীয় নয় এই বলে বাঙালিকে অপমান করা চলবে না।
এমন এক ভয়ানক ঘটনার পর গাড়িতে করে বাড়ি ফেরার সময় গর্গ চট্টোপাধ্যায় ফেসবুকে তাঁর অফিশিয়াল পেজ থেকে লাইভ করে আরো বিস্তারিত ভাবে এ ঘটনার বর্ননা করেছেন এবং বাঙালির উদ্দেশ্যে সচেতনতার বার্তা দিয়েছেন। কলকাতা বিমানবন্দরে গর্গ চট্টোপাধ্যায়ের মতো একজন প্রফেসরকেও এভাবে বঞ্চনা করা হচ্ছে। ভারতের পাসপোর্ট থাকার পরও তাঁকে বিদেশি বলা হচ্ছে। এই ধরনের ঘটনা প্রতিটি বাঙালির জন্য সত্যিই ভয়ংকর৷ বাঙালি যে ক্রমশ পরাধীন হওয়ার দিকে এগোচ্ছে তার প্রমাণ প্রতিদিন চোখের সামনে সরাসরি ধরা পড়ছে।
প্রতিবেদন- নিজস্ব সংবাদদাতা
Post a Comment