Header Ads

রানাঘাটের এক অবসরপ্রাপ্ত চাকুরিজীবী গাছের ওপর তৈরি করছেন গাছ ঘর


প্রকৃতির প্রতি অমোঘ টানে নদীয়ার রানাঘাটের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত চাকুরিজীবী দিবেন্দু বিশ্বাস তাঁর ভালোবাসার বিভিন্ন গাছের মধ্যে তৈরি করেছেন গাছ বাড়ি। রানাঘাট ২ নম্বর ব্লকের মাটিকুমড়া গ্রামে নির্মিত হয়েছে গাছের ওপর বাড়ি। যে বাড়ির আয়তন বিশাল, এখানে একসাথে আড্ডা দিতে পারেন পনেরো থেকে ষোলো জন। তবে রাত কাটাতে পারেন চার থেকে পাঁচজন। গাছের ওপর এই বাড়িটির উল্টে যাওয়ারও কোনো ভয় নেই। আমফান গেছে, ইয়াস গেছে কিন্তু গাছ বাড়ির কোনো ক্ষতি হয়নি। ঝড়ের সময় কেবল দোলনার মতো এদিক-ওদিক হালকা ভাবে দুলতে থাকে বাড়িটি। প্রকৃতিপ্রেমী মানুষদের অসীম আনন্দ প্রদান করবে এই বাড়ি। 


সম্পূর্ণ বাড়িটি চেন ও রডের খাঁচা দিয়ে ঝোলানো। বাড়ির মেঝেটি লোহার পাতের ওপর কাঠের পাটাতন দিয়ে বানানো। বাড়িতে ওঠার জন্য বাড়ির গায়ে লাগানো আছে প্রকাণ্ড লোহার সিঁড়ি। দূর থেকে দেখলে মনে হবে এ যেন এক বৃহৎ পাখির বাসা। বাড়ির মধ্যে পা রাখলে কবি রজনীকান্ত সেনের স্বাধীনতার সুখ কবিতায় চড়াইয়ের অট্টালিকায় বসবাস করার কথা মনে পড়বে। 

দিবেন্দু বিশ্বাস মাটিকুমড়া ডাকঘরে চাকরি করতেন। থিয়েটার দেখার জন্য তিনি কলকাতায় ট্রান্সফার হন। প্রতিদিন অফিস সেরে থিয়েটার দেখে বাড়ি ফিরতে থাকেন তিনি৷ রানাঘাটে অনেক থিয়েটার কর্মী তাদের বাড়ির রেস্টুরেন্টে দুপুরবেলায় খাওয়া-দাওয়া করেন। কয়েকজন তাঁকে অনুরোধ করেন তাঁর বাগানে গাছের ওপর গেস্ট হাউস বানানোর জন্য। ঠিক এখান থেকেই তাঁর গাছ ঘরের ভাবনার আগমন। আপাতত মোট দুটো গাছ ঘর বানিয়েছেন তিনি। তাঁর ইচ্ছে রয়েছে আরো দশটি গাছ ঘর বানানো। 

মাটি থেকে ২০ ফুট ওপরে নির্মিত হয়েছে গাছ ঘরগুলি। কলকাতার বহু মানুষ এখানে এসে দারুণভাবে গাছ ঘর থেকে সবুজ প্রকৃতির নৈসর্গিক সৌন্দর্য আনমনে উপভোগ করছেন। গাছ ঘরের ওপর থেকে দিগন্ত বিস্তৃত শুধু সবুজ আর সবুজের দেখা মেলে। সব বয়সের মানুষকেই আকর্ষণ করছে গাছ ঘর৷ সপ্তাহের শেষে ছুটি কাটানোর জন্য উপযুক্ত স্থান হলো রানাঘাট ২ নম্বর ব্লকের মাটিকুমড়া গ্রামের গাছ ঘর৷ যেখানে আছে থাকা-খাওয়ারও সুবন্দোবস্ত। 

প্রতিবেদন- সুমিত দে


No comments