Header Ads

মাইলফলকের স্মৃতিস্মারকে সেজে উঠছে বিদ্যাসাগরের জন্মভিটা


বিদ্যাসাগরের জন্মস্থান বীরসিংহ, যেখানে পা রাখলে আবেগে ভরে যাবে যে-কোনো বাঙালির বুক৷ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মভিটা প্রতিদিন একটু একটু করে নান্দনিক সাজে সেজে উঠছে। বীরসিংহের অন্যতম আকর্ষণ হলো বিদ্যাসাগরের স্মৃতি মন্দির। এই স্থানটিকে এবার সাজানো হচ্ছে মাইলফলক দিয়ে। যা স্মরণ করাবে বাবা ঠাকুরদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিঠে চড়ে বিদ্যাসাগরের কলকাতা যাওয়ার পথে মাইলফলক দেখে ইংরেজি সংখ্যা শেখার ইতিহাসকে। 


বিদ্যাসাগরের স্মৃতি মন্দিরের প্রবেশ দ্বারে মোট চৌদ্দটি মাইলফলক বসানো হয়েছে। যা রীতিমতো শিহরণ জাগাতে পারে পর্যটকদের মনে। বিদ্যাসাগর স্মৃতি মন্দির কর্মকর্তারা এমনই দাবি করেছেন।

মাইলস্টোনগুলিতে তুলে ধরা হয়েছে বিদ্যাসাগরের জীবনের একাধিক ঘটনা ও স্মরণীয় সাল৷ প্রতিবছর শীতে বীরসিংহ গ্রামে বিদ্যাসাগর মেলা অনুষ্ঠিত হয়। করোনার জেরে এ বছর মেলার তারিখ পিছিয়ে দেওয়া  হয়েছে। চলতি বছরের ৬ ই ফেব্রুয়ারী থেকে শুরু হবে এই মেলা। আর তারই পূর্বে বিদ্যাসাগর স্মৃতি মন্দিরে তাঁর জীবনের একাধিক ঘটনা তুলে ধরতে সাজিয়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে বীরসিংহ উন্নয়ন পর্ষদ।

দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসীরা দাবি তুলেছিলেন, বিদ্যাসাগর স্মৃতি মন্দিরকে ঢেলে সাজানো হোক৷ অনেকেই বলছিলেন, পর্যটকরা বিদ্যাসাগরের বীরসিংহ গ্রামে এলে তাদের মন ভারাক্রান্ত হয়ে যায়। বিদ্যাসাগরের স্মৃতি বিজড়িত এলাকাতে তেমন কিছুই দেখার মতো ছিল না। অবশেষে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে বিদ্যাসাগরের স্মৃতি মন্দির ও বীরসিংহ গ্রামের দেওয়ালে দেওয়ালে সাজিয়ে তোলা হয়েছে বিদ্যাসাগরের ছবি দিয়ে তাঁর অনেক স্মৃতির কথা।  

মাইলস্টোন দিয়ে বিদ্যাসাগর স্মৃতি মন্দিরকে সাজিয়ে তোলার পাশাপাশি বিদ্যাসাগরের আমলের কাঁচা মাটির বিদ্যালয়টিকেও নতুন করে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। এছাড়াও বিদ্যাসাগরের গ্রামের পুকুরটিকেও ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।  

বিদ্যাসাগরের জন্মস্থান বীরসিংহকে শুধু একটু একটু করে সাজিয়ে তুললেই হবে না তার সঠিক প্রচার ও প্রসার প্রয়োজন। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মতো মহান বাঙালি মনীষীদের জন্মস্থানগুলিকে নিয়ে আরো বেশি বেশি করে গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। কারণ এনাদের জন্মস্থানগুলিতে উপযুক্ত পর্যটন ক্ষেত্র তৈরি হলে এ সকল বাঙালি মনীষীরা তাদের প্রকৃত সম্মান ফিরে পাবেন। তাছাড়াও বাংলার পর্যটন শিল্পেরও আমূল পরিবর্তন ঘটবে৷ এ রাজ্যের প্রশাসন থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল, সংগঠন এবং প্রতিষ্ঠানগুলিকে মনে রাখতে হবে বাঙালি মনীষীদের সঠিক সম্মান দিতে না পারাটা আমাদের কাছে একপ্রকার লজ্জা। যে লজ্জা কাটাতে না পারলে বাঙালি তার আত্মমর্যাদা দিন দিন হারাতে থাকবে। অতএব আমাদের মতো সকল বাঙালির কর্তব্য আমাদের আত্মমর্যাদাকে যুগের পর যুগ ধরে রক্ষা করা। 

প্রতিবেদন- নিজস্ব সংবাদদাতা


No comments