Header Ads

"বাংলার ফুটবলের স্বার্থে ভূমিপুত্রদের বেশি করে সুযোগ দেওয়া উচিৎ" - শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়


বাংলার ফুটবলকে বাঁচাতে একের পর এক তারকারাও আজকাল সরব হচ্ছেন। বাংলার ফুটবল মানেই ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান৷ লাল-হলুদের সাথে সবুজ মেরুনের লড়াইয়ের সঙ্গে জড়িত বাঙালির শিকড়৷ এই শিকড় ছিঁড়ে গেলে হারিয়ে যেতে পারে বাংলা ও বাঙালির প্রাণের ফুটবলের হৃৎগৌরব। সামনেই ডার্বি। যা নিয়ে এখন চড়ছে উত্তেজনার পারদ৷ ইস্ট-মোহনের সমর্থকদের মধ্যে চলছে বিস্তর আলোচনা৷ 


ডার্বি নিয়ে শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় সম্প্রতি এক বাংলা সংবাদপত্রে বাংলার ফুটবলের প্রতি তাঁর আবেগ ও বাংলার ফুটবলে ভূমিপুত্রদের প্রসঙ্গ তুলে ধরেছেন।  

বাংলা ছবির জগতে শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় একটা মাইলস্টোন। বাংলা, বাঙালি ও বাঙালিয়ানাকে তিনি নিজের ছবিতে লার্জ স্কেলেই তুলে ধরেন। তাঁর পরিচালিত ও প্রযোজিত ছবিগুলোতে নিত্যনতুন সামাজিক ভাবনার প্রতিফলন  ঘটে। তাঁর সবচেয়ে বড়ো গুণ হলো সমস্ত ছবিতেই সাফল্যের মুখ দেখেন তিনি। তাঁর পরিচালিত ছবি বেলাশেষে, প্রাক্তন, পোস্ত, রামধনু, মুক্তধারা, অ্যাক্সিডেন্ট শহর থেকে গ্রাম-মফঃস্বল সব জায়গার দর্শকদের মুগ্ধ করেছে। বাংলা ও বাঙালির প্রতি একটা দায়িত্ব নিয়ে যারা ছবি বানান তাদের বাংলার ফুটবলের প্রতি আকর্ষণ থাকবে না এটা তো হয়না। তিনিও একজন ফুটবল পাগল মানুষ। 

প্রচণ্ড আবেগতাড়িত হয়ে ডার্বি ও বাংলার ফুটবল নিয়ে মুখ খুলে তিনি বলেন- "ডার্বি শব্দটা শুনলেই দুটো নাম মাথায় আসে। ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান৷ প্রিয় দলের নাম আগে নিলাম। বুঝতেই পারছেন আমি কোন দলের সমর্থক। 'ই' স্বরবর্ণ। আর 'ম' ব্যঞ্জনবর্ণ। তাহলে বর্ণমালা অনুযায়ী 'ই' আগে। ঠাট্টা অনেক হল। বড় ম্যাচের একাধিক স্মৃতি মাথায় গিজগিজ করছে। মজিদ বাসকর, সুধীর কর্মকার, কৃশানু দে, বাইচুং ভুটিয়ারা আমার অত্যন্ত কাছের ফুটবলার। কোচ হিসেবে প্রদীপকেই সবার প্রথমে রাখব। 

এখন খেলা দেখার সময় কেড়ে নিয়েছে ব্যস্ততা। তবে খবরাখবর অবশ্যই রাখি। ইস্টবেঙ্গল জিতলে আনন্দ পাই। আর হারলে দুঃখ৷ জানি, চলতি মরসুমে আমার প্রিয় ক্লাব একেবারেই ছন্দে নেই। টিম লিস্টের দিকে তাকালে বাঙালি ফুটবলার কষ্ট করে খুঁজে নিতে হয়। এই প্রসঙ্গে একটা কথা বলতে চাই। ফুটবলের স্বার্থে ভূমিপুত্রদের আরও বেশি করে সুযোগ দেওয়া উচিৎ। কর্মকর্তা থেকে সংবাদমাধ্যম প্রত্যেকে যদি এই দায়িত্ব পালন করেন তাহলে আখেরে লাভ বাংলার ফুটবলেরই।  

জানেন, আমি এখনও পর্যন্ত ১৩ টি বাংলা ছবি পরিচালনা করেছি। প্রযোজনার ভার সামলেছি হাফ ডজন বাংলা ছবির৷ কিন্তু সাফল্যের জন্য মুম্বাইয়ের কোনও তারকাকে নিয়ে আসতে হয়নি৷ কর্তাদের কাছে তাই আমার অনুরোধ, স্কুল পর্যায় থেকে ভালো ফুটবলার তুলে এনে তাকে ট্রেনিং দিন। ভবিষ্যতে লাভের মুখ আপনারাই দেখতে পাবেন।" 

প্রতিবেদন- সুমিত দে


No comments