Header Ads

বন্ধন ব্যাঙ্কের জার্নি নিয়ে তথ্যচিত্র নির্মাণ করলো ডিসকভারি


বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তথা ভারতের সবচেয়ে বড়ো মাইক্রো ফিনান্স ব্যাঙ্ক হলো বন্ধন ব্যাঙ্ক। যার প্রতিষ্ঠাতা একজন বাঙালি। চন্দ্রশেখর ঘোষ হলেন বন্ধন ব্যাঙ্কের জন্মদাতা। লক্ষ লক্ষ বেকার যুবকের মুখে অন্ন তুলে দিয়েছে এই ব্যাঙ্ক। ২০১৫ সালের ২৩ শে আগস্ট প্রতিষ্ঠা হয় বন্ধন ব্যাঙ্কের। ২০১৫ সালের ১৭ ই জুন ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বন্ধন ব্যাঙ্ককে সর্বজনীন ব্যাঙ্কিং লাইসেন্সটি প্রদান করেছিল। আন্তর্জাতিক ফিনান্স কর্পোরশন সহ ব্যাঙ্কটির পাবলিক শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিল; জিআইসির একটি শাখা, সিঙ্গাপুরের সার্বভৌম সম্পদ তহবিল এবং ভারতের ক্ষুদ্র শিল্প উন্নয়ন ব্যাঙ্কের। 


হাওড়ার ছোট্ট শহর বাগনান থেকে বন্ধন তার ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম শুরু করে। অনুসরণ করা মডেলটি ছিল গোষ্ঠী গঠনের মাধ্যমে স্বতন্ত্র ঋণ। ১৮ বছরে, ভারতের সকল রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে বৃহৎ লক্ষ্য নিয়ে বন্ধন ব্যাঙ্কের উপস্থিতি রয়েছে। বর্তমানে বন্ধন ব্যাঙ্কের ৪,৪১৪ টি ব্যাঙ্কিং আউটলেট সারা ভারতে ১.৯ কোটিরও বেশি গ্রাহককে পরিষেবা প্রদান করে। এই আউটলেটগুলির মধ্যে ১,০১৩ টি ব্যাঙ্ক শাখা, ৩,২০৬ টি ডোরস্টেপ সার্ভিস সেন্টার  এবং ১৯৫ টি জিআরইউ কেন্দ্র রয়েছে। এই ব্যাঙ্কের ৪৮৫ টিরও বেশি এটিএম রয়েছে। সারা দেশে পঞ্চাশ হাজার মানুষ কাজ করেন এই ব্যাঙ্কে। 

বন্ধন ব্যাঙ্ক সাধারণত সমাজের অনগ্রসর শ্রেণীর উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। অত্যন্ত দক্ষতার সাথে এই ব্যাঙ্ক এগিয়ে নিয়ে চলেছেন বন্ধন ব্যাঙ্কের প্রতিষ্ঠাতা চন্দ্রশেখর ঘোষ। বন্ধন ব্যাঙ্কের সাফল্য বাঙালির ব্যবসাকে দেশ জুড়ে পুনরায় প্রতিষ্ঠা করছে। এই ব্যাঙ্ক অতি দ্রুততার সঙ্গে নিজেদের সম্পদের পরিমাণ বৃদ্ধি করে চলেছে। বন্ধন ব্যাঙ্কের মতো এত তাড়াতাড়ি সম্পদ বৃদ্ধির ইতিহাস সারা বিশ্বে যথেষ্ট কম রয়েছে। 

এই বন্ধন ব্যাঙ্কের বেড়ে ওঠা বা জার্নি নিয়ে এবার তথ্যচিত্র নির্মাণ করলো 'ডিসকভারি'। গত ২১ শে জানুয়ারি ডিসকভারি চ্যানেলে দেখানো হয় এই তথ্যচিত্রটি। ডিসকভারি চ্যানেল ইন্ডিয়া ফেসবুক পেজ এবং বন্ধন ব্যাঙ্কের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে সোশ্যাল মিডিয়াতেও প্রকাশিত হয়েছে তথ্যচিত্রটি। বাঙালির কাছে এ এক গর্বের মুহূর্ত। বাংলা ও বাঙালির গর্বের এক প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে জনপ্রিয় আন্তর্জাতিক চ্যানেল ডিসকভারি তথ্যচিত্র বানালো, যা ভাবলে একজন বাঙালি হিসেবে গর্বে বুক ভরে যেতে পারে। 

একুশ মিনিট চল্লিশ সেকেন্ড দৈর্ঘ্যের এই তথ্যচিত্রে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে কলকাতার ভৌগোলিক পরিবেশ, বন্ধন ব্যাঙ্কের ইতিহাস, চন্দ্রশেখর ঘোষের ছোট্ট সাক্ষাৎকার, বন্ধন ব্যাঙ্ক কীভাবে কাজ করছে প্রভৃতি। এই তথ্যচিত্র দেখলে চোখ জুড়িয়ে যাবে। ক্যামেরার অসাধারণ কাজ, ড্রোন শট, আবহ ও মনোগ্রাহী ধারাভাষ্যে মন ভরে যায় তথ্যচিত্রটি দেখে। বন্ধন ব্যাঙ্কের মতো ভবিষ্যতে বাংলা ও বাঙালির আরো অনেক বিষয় নিয়ে তথ্যচিত্র তৈরি হোক এই কামনা করি।  

প্রতিবেদন- নিজস্ব সংবাদদাতা


No comments