ডবলু.বি.এস.ই.ডি.এল. এর ইলেকট্রিক বিল এবার থেকে পাওয়া যাবে বাংলা ভাষায়
একটি ভাষাকে বাঁচাতে গেলে তাকে হয়ে উঠতে হবে কাজের ভাষা। শুধুমাত্র কথ্য ভাষা হলে তা হারিয়ে যায়। ভারতের ইতিহাসে এমন বহু ভাষা আছে যা শুধুমাত্র কথ্য ভাষা হবার কারণে হারিয়ে যাচ্ছে যেমন মৈথিলী, রাজস্থানী, ছত্রিশগড়ী, বুন্দেলখন্ডী, ভোজপুরি, অঙ্গিকা ইত্যাদি। তাই বাংলাকে কাজের ভাষা না করতে পারলে তা হারিয়ে যাবে।
জাপান, জার্মানী, ইতালি, চীন, ফ্রান্সের মতো প্রতিটি দেশ-ই মাতৃভাষায় সমস্ত কাজ করে থাকে। বাংলা ভাষাতেও সব কাজ করার চেষ্টা না করলে দিন দিন কমতে থাকবে বাংলা ভাষার গুরুত্ব। শুধুমাত্র কথ্য ভাষা ও সাহিত্য দিয়ে কোনো ভাষাকে বাঁচানো যায়না। যেমন সংস্কৃত ভাষায় সাহিত্যের সম্ভার থাকলেও তা আজ কার্যত একটি মৃত ও শ্রেণীকক্ষের ভাষা।
এককালে বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান চর্চায় গুরুত্ব দেওয়ার জন্য উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান পড়া সম্ভব হয়েছে। বাংলা ভাষাকে ব্যবহারিক ভাষা করলে বাঙালির কাজের পরিসর অনেক বাড়বে। বিভিন্ন রকম কাস্টমার পরিষেবার জন্য হাজার হাজার বাঙালি কাজ পেতে পারবে। বাংলা ভাষার মিডিয়া, চলচ্চিত্র, নাটক, গান, কার্টুন, কমিক্স সব ক্ষেত্রই ফুলে ফেঁপে উঠবে।
বর্তমানে ডবলু.বি.এস.ই.ডি.এল. ঘোষণা করেছে এবার থেকে বাংলা ভাষায় পাওয়া যাবে ইলেকট্রিক বিল। এই সিদ্ধান্তকে বাঙালি হিসেবে স্বাগত জানিয়েছে বহু মানুষ।
পোস্ট অফিস থেকে ব্যাঙ্ক, খেলার ধারাভাষ্য সব ক্ষেত্রেই বাংলা ভাষার গুরুত্ব বাড়ালে বাড়বে বাঙালির কর্মসংস্থান। তাই সকল বাঙালিকে এ বিষয়ে সতর্ক হতে হবে। প্রতিটি জাতিই তার নিজের ভাষা সম্পর্কে সচেতন যেখানে বাঙালি জাতি এই বিষয়ে অসচেতনতার পরিচয় দিয়ে এসেছে বারংবার। এইবার বাংলার মাটিতে সেই দিন পরিবর্তন হচ্ছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
প্রতিবেদন- অমিত দে
Post a Comment