শিলিগুড়ির মৃৎশিল্পী উৎপল পালের তৈরি মূর্তি পাড়ি দিচ্ছে নেদারল্যান্ডের মিউজিয়ামে
বাঙালির ঐতিহ্যের সুনাম রয়েছে সারা বিশ্বজুড়েই। বাংলার কৃষ্ণনগর ও কলকাতার কুমোরটুলি বরাবরই বিশ্বের সামনে বাংলার প্রতিনিধিত্ব করে। এবার সেই তালিকার নবতম সংযোজন হলো শিলিগুড়ি মাটিগাড়ার কুমোরটুলি। এ যাবৎ কলকাতা কিংবা কৃষ্ণনগরের কুমোরটুলি থেকে বহু প্রতিমা বিদেশে পাড়ি দিয়েছে। কিন্তু এই প্রথমবার শিলিগুড়ির কুমোরটুলির প্রতিমা পাড়ি দিচ্ছে বিদেশের মাটিতে। এই অসাধ্যকে বাস্তবের রূপদান করেছেন মাটিগাড়ার বছর ২৯ এর মৃৎশিল্পী উৎপল পাল৷
ইউরোপের নেদারল্যান্ড শহরের 'মিউজিয়াম অফ কনটেম্পোরারি তাইবেতান আর্ট' সেন্টারে পাড়ি দিচ্ছে মৃৎশিল্পী উৎপল পালের দুটি মূর্তি। সমস্ত কিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি সপ্তাহের শেষে বুদ্ধ ও তারা মূর্তি পৌঁছে যেতে পারে নেদারল্যান্ড শহরে। তাই এখন জোরকদমে চলছে মূর্তি তৈরির শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। রাজ্যের নিজস্ব শিল্পকলাকে বিদেশে তুলে ধরতে পেরে প্রচণ্ড আনন্দিত মৃৎশিল্পী উৎপল পাল। তিনি প্রায় দশ বছর ধরে যুক্ত রয়েছেন তিব্বতীয় আর্টের কাজের সঙ্গে।
মাটিগাড়া পালপাড়া এলাকারই বাসিন্দা মৃৎশিল্পী উৎপল পাল ছোটোবেলা থেকেই মূর্তি তৈরি করছেন। শৈশব থেকেই শিল্পের প্রতি আলাদা টান রয়েছে তাঁর মধ্যে। তিনি তাঁর শিল্পকর্ম ও দক্ষতাকে বিশ্বসভায় তুলে ধরতে সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করেছিলেন তিনি। আর তাতেই তাঁর সৃষ্টি পৌঁছে যাচ্ছে বিশ্বের দরবারে।
মৃৎশিল্পী উৎপল পালের সৃষ্টি শিল্পকলা দেখে নেদারল্যান্ড শহরের ঐ মিউজিয়ামের কর্তৃপক্ষ সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তাঁর সাথে যোগাযোগ করে। মোট ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার বিনিময়ে একটি বুদ্ধ ও তারা মূর্তি তৈরির জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয় মিউজিয়ামের তরফে। এর মধ্যে তাঁকে অগ্রিম ২০ হাজার টাকা বায়না দেয় ওই সংস্থা। মূর্তির কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর চলতি সপ্তাহের শেষে মূর্তি দুটি ট্রান্সপোর্টের মাধ্যমে পৌঁছে যাবে সুদূর নেদারল্যান্ড শহরে৷ মূর্তি দুটি তৈরি করা হয়েছে ফাইবার দিয়ে। এই মূর্তি দুটির উচ্চতা প্রায় ৩ ফুট ৩ ইঞ্চি এবং ওজন প্রায় ১৫ কেজির মতো। নিজের তৈরি মূর্তির বিদেশ যাত্রা নিয়ে দারুণভাবে গর্বিত মৃৎশিল্পী উৎপল পাল।
প্রতিবেদন- সুমিত দে
Post a Comment