আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান উৎসবের রাইটিং প্রতিযোগিতায় প্রথম হলো বঙ্গতনয়া প্রজ্যা বিশ্বাস
কলকাতার নিউটাউনের নারায়ণ ই-টেকনো স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী প্রজ্যা বিশ্বাস বিজ্ঞানভিত্তিক বিভিন্ন রাইটিং প্রতিযোগিতায় ধারাবাহিক সাফল্য পেয়েই চলেছে। সম্প্রতি ভারতের বৃহত্তম বিজ্ঞান উৎসব ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্স ফেস্টিভ্যাল বা আইআইএসএফ ২০২১-এর সায়েন্স ফিকশন রাইটিং প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করলো সে। গত ১০ ই ডিসেম্বর থেকে ১৩ ই ডিসেম্বর গোয়ার জিমখানা ময়দানে আয়োজিত হয় 'ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্স ফেস্টিভ্যাল ২০২১।' সারা দেশ থেকে কয়েক হাজার পড়ুয়া তথা খুদে গবেষক অংশ নেয় এই আন্তর্জাতিক মানের বিজ্ঞান উৎসবে। প্রতিযোগিতার বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে থাকে এই 'সায়েন্স ফিকশন রাইটিং প্রতিযোগিতা।
প্রজ্যা বিশ্বাস পশ্চিম বর্ধমান জেলার পানাগড়ের বাসিন্দা। এর আগে প্রজ্যা প্রবন্ধ রচনা এবং মডেল তৈরির প্রতিযোগিতার জন্য ISRO থেকে মোট দুই বার পুরস্কৃত হয়েছে এবং ভারতের বিভিন্ন বিজ্ঞান কেন্দ্র, নীতি আয়োগ এবং ভারত সরকারের বিভিন্ন বিভাগ থেকেও পুরস্কৃত হয়েছে বিজ্ঞান উদ্ভাবনের জন্য। এমনকি শ'খানেক রাজ্য স্তরের পুরস্কারও পেয়েছে সে। বাংলার এই খুদে মেয়ের সাফল্য যেন নদীর স্রোতের মতো এগিয়ে চলেছে।
মেয়ের অল্প বয়সেই এমন সাফল্যে উচ্ছ্বসিত তার বাবা দেবাশিস বিশ্বাস। তিনি নাগেরবাজারের বাসিন্দা, পেশায় একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার। বর্তমানে তিনি একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করেন। প্রজ্যার সাফল্যের প্রসঙ্গে তিনি জানান "গতানুগতিক পড়াশোনার পাশাপাশি মেয়ের বাড়তি আগ্রহ রয়েছে বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণায়। ওর লেখার হাতও ভালো। এত বড়ো একটা মঞ্চে অংশ নিয়ে ওর এই সাফল্য আমাদের কাছে অভাবনীয়।"
'সায়েন্স ফিকশন রাইটিং' প্রতিযোগিতায় মোট তিনটি বিভাগ ছিল। প্রজ্যা বিশ্বাস দশ থেকে পনেরো বছর বয়সীদের জন্য প্রথম বিভাগটিতেই প্রথম হয়েছে। প্রজ্যা জানিয়েছে, "একেবারে ছোটোবেলা থেকেই বিজ্ঞানের বিষয়ে আমার প্রবল ঝোঁক। আমি স্বপ্ন দেখি, বড় হয়ে সমাজে বিজ্ঞান ভিত্তিক মানব সেবা যেন করতে পারি।"
প্রতিবেদন- নিজস্ব সংবাদদাতা
Post a Comment