Header Ads

ভারতীয় নৌবাহিনীর শীর্ষপদে এবার আসীন হলেন এক বাঙালি


ভারতীয় নৌবাহিনীর শীর্ষপদে এবার এক বাঙালি। পূর্ব নৌ কমান্ডের চিফ অফ স্টাফ হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করলেন ভাইস এডমিরাল বিশ্বজিৎ দাশগুপ্ত। গত ১ লা ডিসেম্বর তিনি বিশাখাপত্তনমের নৌ ঘাঁটিতে অনুষ্ঠিত একটি চিত্তাকর্ষক আনুষ্ঠানিক কুচকাওয়াজে নতুন দায়িত্ব গ্রহণ করলেন। ইস্টার্ন ন্যাভাল কম্যান্ডের বিভিন্ন জাহাজ ও অন্যান্য কেন্দ্র থেকে আসা নৌবাহিনীর কর্মীদের প্লেটুন পরিদর্শন করলেন তিনি৷ এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন জাহাজ, ডুবোজাহাজের সমস্ত পতাকা বাহক এবং কম্যান্ডিং অফিসাররা৷ 


রাষ্ট্রীয় ডিফেন্স একাডেমির প্রাক্তনী বিশ্বজিৎ দাশগুপ্ত ১৯৮৫ সালে ভারতীয় নৌ-সেনায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। তিনি দিকনির্ণয়ের একজন বিশেষজ্ঞও। তিনি বাংলাদেশের ডিফেন্স অ্যান্ড সার্ভিসেস কম্যান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ, মহু-র আর্মি ওয়ার কলেজ এবং নতুন দিল্লির রাষ্ট্রীয় প্রতিরক্ষা অ্যাকাডেমির স্নাতক হন। 

তিনি বীর-শ্রেণির ক্ষেপণাস্ত্র জাহাজ আইএনএস নিশাঙ্ক, কোরা শ্রেণির কর্ভেট আইএনএস করমুককে তলওয়ার শ্রেণির প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মিসাইল ফ্রিগেট আইএনএস তাবার কমিশনিং কমান্ডিং অফিসার হিসেবে কমান্ড করেছেন এবং বিমানবাহী বাইক আইএনএস বিরাটের ২০ তম কমান্ডিং অফিসার ছিলেন। তিনি অস্ত্রবাহিনী শ্রেণির টর্পেডো পুনরুদ্ধার জাহাজ আইএনএস অস্ত্রবাহিনীর দ্বিতীয়-ইন-কমান্ড হিসেবেও কাজ করেছেন৷  

তিনি ওয়েস্টার্ন ফ্লিটের ফ্লিট অপারেশন অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর স্টার নিয়োগে, তিনি নৌ সদর দপ্তরে কমান্ডার ওয়ার্ক আপ এবং স্টাফ অফিসার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ওয়েলিংটনের ডিফেন্স সার্ভিসেস স্টাফ কলেজে ও অফিসার-ইন-চার্জ নেভিগেশন অ্যান্ড ডিরেকশন স্কুলে নির্দেশক স্টাফ হিসেবে কাজ করেছেন। কমোডর হিসেবে নৌবাহিনী প্রধানের নৌ সহকারী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।  

নিজের অসামান্য কৃতিত্বের জন্য তিনি অর্জন করেছেন বহু পুরস্কার যেমন 'যুদ্ধ সেবা পদক', 'অতি বিশিষ্ট সেবা পদক' এবং 'বিশিষ্ট সেবা পদক'। কর্মজীবনের মতো পারিবারিক জীবনেও সফল তিনি৷ স্ত্রী, পুত্র ও পুত্রবধূকে নিয়ে তাঁর সাজানো সুখী পরিবার। 

প্রায় তিন দশক পর নৌবাহিনীর শীর্ষ পদে আসীন হলেন কোনো বাঙালি। ভাইস এডমিরাল বিশ্বজিৎ দাশগুপ্ত নতুন এই দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করতে নানান প্রস্তুতিও নিতে শুরু করে দিয়েছেন। বিশ্বজিৎ দাশগুপ্ত বাংলা ও বাঙালি তথা সারা দেশের গর্ব৷ 

প্রতিবেদন- নিজস্ব সংবাদদাতা


No comments