Header Ads

চুঁচুড়ার নবম শ্রেণির ছাত্রের তৈরি তথ্যচিত্র জায়গা পেল আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান চলচ্চিত্র উৎসবে


একেই বলে প্রতিভা। বাংলার নবম শ্রেণির ছাত্র তৈরি করেছে তথ্যচিত্র। যা আবার স্থান পেয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান চলচ্চিত্র উৎসবে। চুঁচুড়ার নবম শ্রেণির ছাত্র অভিজ্ঞান দাসের তৈরি করা তথ্যচিত্র সম্প্রতি স্থান পেয়েছে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে। ক্ষুদে অভিজ্ঞানের জন্য বাঙালির নাম আজ বিশ্বের দরবারে। 


গত ১১ ই ডিসেম্বর গোয়ার রাজধানী পানাজিতে শুরু হয়েছে ভারতের আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান চলচ্চিত্র উৎসব। যার প্রধান উদ্যোক্তা ভারতের ভূবিজ্ঞান মন্ত্রক এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রক৷ এই উৎসবে ৭০ টিরও বেশি দেশ থেকে ৭৪১ টি চলচ্চিত্র জমা পড়েছিল, সেখান থেকে বেছে নেওয়া হয়েছে মাত্র ৫৫ টি চলচ্চিত্রকে। যার মধ্যে স্থান পেয়েছে হুগলির চুঁচুড়ার নবম শ্রেণির ছাত্র অভিজ্ঞান কিশোর দাস পরিচালিত 'আধুনিক ভারতের সুশ্রুত পণ্ডিত মধুসূদন গুপ্ত' ছবিটিও। 

আধুনিক পদ্ধতিতে ভারতের শব ব্যবচ্ছেদের জনক হলেন মধুসূদন গুপ্ত। যার কথা বাংলার পাঠ্যবইতে সেভাবে পড়ানোই হয়নি। বাংলা ও বাঙালির বহু ইতিহাস আমরা জানিনা। আমাদের অজান্তে  কত বাঙালি কত কিছুই না আবিষ্কার করেছেন৷ মধুসূদন গুপ্ত নামটি অনেকের জানা নেই। অথচ ভারতের চিকিৎসার জগতে তিনি আমূল পরিবর্তন ঘটিয়েছিলেন। অভিজ্ঞান কিশোর দাসের এই তথ্যচিত্রটি দেখলে জানা যাবে বিজ্ঞানী মধুসূদন গুপ্ত সম্পর্কিত নানান জানা-অজানা তথ্য।  

মধুসূদন গুপ্ত ছিলেন একদা চুঁচুড়ার বাসিন্দা। কেবল মধুসূদন গুপ্তের জীবনীই এই ছবিতে বলা হয়নি। তাঁর জীবনের সাথে সাথে চুঁচুড়ার ঘড়ির মোড়, লঞ্চঘাট, ডিএম অফিস, হুগলি মহসিন কলেজ, হুগলি কলেজিয়েট স্কুল, খ রুয়া বাজার, গোরস্থান সহ চুঁচুড়ার বিভিন্ন জায়গার পরিচয়ও তুলে ধরা হয়েছে বিশদে। এই তথ্যচিত্রটি বিজ্ঞানের পাশাপাশি চুঁচুড়ার ইতিহাসকেও অভিজ্ঞান কিশোর দাস সমৃদ্ধ করেছে। 

অল্পবয়সী এই কিশোরের নিরলস প্রচেষ্টা স্মরণ করার মতো। মাত্র ১৪ বছর বয়সে ছবি বানানো খুবই কঠিন কাজ। অভিজ্ঞান কিশোর দাস অত্যন্ত প্রতিভাবান একটি ছেলে। এর আগে চলতি বছরের মার্চে সে সোনি বিবিসি আর্থ আয়োজিত ইয়ং আর্থ চ্যাম্পিয়ন কনটেস্টে বায়ুদূষণ রোধ করার যন্ত্র 'সেফ পল্যুট্যান্ট' আবিষ্কার করে সেরার সেরা শিরোপা জিতেছিল। তাঁর আবিষ্কৃত এই যন্ত্রের পেটেন্টও রয়েছে।  এছাড়াও শহরাঞ্চলের মজে যাওয়া পুকুরকে কীভাবে সংস্কার করা যায় তার মডেল বানিয়ে স্বল্পদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র বানিয়েছিল সে। ভারতের আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান উৎসবের জল বিভাগে তা প্রথম স্থান অর্জন করেছে। 

প্রতিবেদন- সুমিত দে


No comments