Header Ads

ইয়াস বিধ্বস্ত দুর্গত মানুষদের সাহায্যে এগিয়ে এলেন সঙ্গীতশিল্পী লোপামুদ্রা মিত্র


শিল্প মানে কেবল গান বা ছবি আঁকা নয়। শিল্প মানে মানুষেরও কথা বলা। একজন ব্যক্তি সেই সকল মানুষের ওপর ভরসা করেই শিল্পী হন। তাই মানুষের সুখ-দুঃখের কথা শিল্পীরা খুব ভালোভাবেই বোঝেন। সমাজের প্রতি এক সুগভীর দায়দায়িত্ব তাদের। সমাজকে পথ দেখানোও শিল্পীদের কাজ৷ 


ইয়াশের পর পূর্ব মেদিনীপুর ও সুন্দরবনের অবস্থা দেখে দুঃখপ্রকাশ করেছেন বাংলার শিল্পীরা। যে যেমন ভাবে পারছেন ঠিক তেমন ভাবেই ইয়াস বিধ্বস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। ইয়াস বিধ্বস্ত মানুষের পাশে এবার দাঁড়ালেন প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী লোপামুদ্রা মিত্র। তিনি মনে করছেন ত্রাণ নয়, সাহায্য। নিজেকে তিনি ত্রাতা হিসেবে ভাবতে নারাজ। 

সঙ্গীতশিল্পী লোপামুদ্রা মিত্রের শিকড়ের প্রতি আলাদা টান রয়েছে। তাঁর কণ্ঠে 'বাংলা আমার সর্ষে ইলিশ', 'আবার আসিব ফিরে' শুনতে বেশ পছন্দ করেন দুই বাংলার শ্রোতারা। তাঁর সুমধুর কণ্ঠ জিতে নিয়েছে লক্ষ লক্ষ বাঙালির মন। তাঁর মতো একজন প্রতিভাবান সঙ্গীতশিল্পীর সামাজিক কর্মকাণ্ড আমাদের অনেককিছু শেখায়৷ মানুষ যে মানুষের জন্য সেই উপলব্ধিকে তিনি সত্যি করছেন। 
 
গত বছর আমফানের পরও দুর্গত মানুষদের নিঃস্বার্থ ভাবে সাহায্য করেছেন তিনি। ইয়াসের পরও একইভাবে তিনি প্রস্তুত হয়েছেন দুর্গত মানুষদের সাহায্যের জন্য। তিনি তাঁর সহযোগীদের নিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের জুনপুট অঞ্চলের বিরামপুর, বগুরান জলপাই, রঘুসর্দার বগুরান ও হরিপুর এই চারটি গ্রামে পৌঁছে গিয়েছিলেন। ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত এই চারটি গ্রামের ৩০০ টি পরিবারের হাতে তিনি তুলে দিলেন কিছু অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রী চাল, ডাল, সয়াবিন, বিস্কুট, জিয়োলিন ও জামাকাপড়।   

তিনি জানান যে মেদিনীপুরে তিনি অসংখ্য অনুষ্ঠান করেছেন৷ সারাবছর মেদিনীপুরের বিভিন্ন জায়গা থেকে তাঁরঅনুষ্ঠানের ডাক আসে৷ তাঁদের পাশে দাঁড়ানো তাঁর একান্ত কর্তব্য। তাই তিনি তাদের সাহায্যের জন্য ছুটে যাচ্ছেন। এই উদ্যোগে তাঁর পাশে রয়েছে 'চারণ ফাউন্ডেশন' ও 'টার্ন ইট গ্রিন' নামের দুটি সংগঠন। আগামী সপ্তাহে হরিপুর ও রসুলপুরে আবার যাবেন তাঁরা।  

প্রতিবেদন- সুমিত দে


No comments