Header Ads

পরপর দুই বছর লিচু ফলনে বিহার-ঝাড়খণ্ডকে টেক্কা দিলো মালদা


ফলের রাণী লিচু। যার স্বাদ ও গন্ধ অতুলনীয়। বাঙালির কাছে আমের পর অত্যন্ত প্রিয়  একটি ফল হলো লিচু৷ বাংলাতে সর্বাধিক পরিমাণে লিচু চাষ হয় মালদা জেলাতে। লিচু চাষের জন্য মালদাতে উপযুক্ত অনুকূল পরিবেশ বিদ্যমান। ভূ-প্রকৃতি সমতল ও কিছু স্থানের ভূমি উঁচু-নিচু৷ গঙ্গা, মহানন্দা, টাঙ্গন ও পুনর্ভবার মতো নদী মালদার মধ্যে প্রবাহিত হওয়ার ফলে লিচু চাষে বিশেষ সুবিধা হয়৷  


বর্তমানে লিচু চাষে গোটা বাংলাকে পথ দেখাচ্ছে মালদা। গত দুই বছর ধরে লিচু চাষে আশাজনক উৎপাদন হচ্ছে এই জেলাতে। গত বছর মালদার কালিয়াচকের চামা, কলেজ মোড় ও সুলতান গঞ্জে ব্যাপক ফলন লক্ষ্য করা গেছে লিচুর। তবে মালদার মধ্যে এ বছর সবচেয়ে বেশি লিচু উৎপাদিত হয়েছে কালিয়াচক ও রতুয়াতে। 
 
গত বছর মালদাতে ১২,০০০ মেট্রিক টন লিচু উৎপাদিত হয়েছিল। ২০২১ সালে উৎপাদনে অঙ্কটা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বছর মালদাতে মোট ১৫,০০০ মেট্রিক টন লিচু উৎপাদিত হয়েছে। বেশ কয়েক বছর ধরে ভিন রাজ্য যেমন বিহার ও ঝাড়খণ্ডের লিচু ব্যবসায়ীরা বাংলার বাজার দখল করে নিয়েছিল৷ তবে এখন আধুনিক পদ্ধতিতে লিচু উৎপাদন করে ২০২০ ও ২০২১ পরপর দুই বছর বিহার ও ঝাড়খণ্ডকে টেক্কা দিলো বাংলার লিচু৷ 

মালদাতে লিচুর ফলন বাড়লেও করোনা ও লকডাউন জনিত সমস্যার কারণে লিচু বিক্রি করতে গিয়ে মাথায় হাত পড়ছে চাষী ও ব্যবসায়ীদের। মোটা টাকা লাভের জন্য মালদাতে যেটা ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে লিচু বিক্রি হচ্ছে সেটা দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলোর বাজারে কেজি প্রতি ১২০ থেকে ১৫০ টাকাতে বিক্রি করা হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে লকডাউন উঠলে হয়তো বিক্রি একটু বাড়বে। 

২০১৮ সালেই মালদার হর্টিকালচার বিভাগে কথা উঠেছিল মালদার লিচু পাড়ি দেবে ভিন রাজ্যে। সেই কথামতো লিচু নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, জীবাণুনাশকের মাধ্যমে লিচু চাষ শুরু করা হয়৷ লিচুতে প্রধানত ছত্রাক জাতীয় রোগ দেখা যায়। যার ফলে গোড়া পচে যাওয়ার ভয় থাকে। এই সমস্যাগুলো দূরীকরণ করে লিচু চাষে বিপুল পরিমাণে লাভের মুখ দেখছে মালদা জেলা। 

প্রতিবেদন- সুমিত দে


No comments