Header Ads

ভারতের প্রথম কমার্শিয়াল মহিলা পাইলট হন বাঙালি নারী দুর্বা ব্যানার্জী


যুদ্ধ থেকে দুঃসাহসিক অভিযান, ইংলিশ চ্যানেল থেকে পক প্রণালী বা বসফরাস চ্যানেল পার সব জায়গায় বাঙালি বারংবার রেখেছে অসীম সাহসের পরিচয়। বাঙালি পুরুষ বা মহিলা কেউ-ই পিছিয়ে থাকেনি কোনো কালে। বুলা চৌধুরী, আরতি সাহা এরকম বহু বাঙালি মেয়ে সৃষ্টি করেছেন নতুন নতুন নজির। স্বাধীনতা যুদ্ধে মাতঙ্গিনী হাজরা, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার বা সমাজের বিরুদ্ধে লড়াইতে বেগম রোকেয়া, রাণী রাসমণি, বেবি হালদার, সুভাষিনী মিস্ত্রি বা ভাষার জন্য লড়াইতে কমলা ভট্টাচার্য। এরকম সর্ব ক্ষেত্রে বাঙালি মেয়েরা তৈরি করেছেন ইতিহাস।


এরকম ভাবেই এক বাঙালি নারী ভারতের প্রথম কমার্শিয়াল পাইলট হয়ে সকলকে চমকে দিলেন। কমার্শিয়াল পাইলটদের কাজ হল চার্টাড ফ্লাইট চালানো, উদ্ধারকার্য ও অগ্নিনির্বাপণে অংশ নেওয়া প্লেন চালানো। সপ্তাহে সবচেয়ে কম ৬০ ঘন্টা বিমান চালানোর অভিজ্ঞতা না থাকলে কমার্শিয়াল পাইলট হওয়া যায়না।

তৎকালীন সমাজ ব্যবস্থায় একজন মেয়ের পক্ষে এ কাজ ছিল যথেষ্ট কঠিন কাজ। কিন্তু দুর্বা ব্যানার্জী হাল ছেড়ে দেননি তিনি এই কঠিন কাজটি করে দেখান। ১৯৫৯ সালে তিনি যোগ দেন কলিঙ্গ এয়ারলাইন্সে এয়ার সার্ভে পাইলট হিসেবে। ১৯৬৬ তে তিনি ইন্ডিয়ান এয়ারলাইনস বেস কোলকাতায় যোগ দেন।

তখনকার এভিয়েশন মিনিস্টার হুমায়ুন কবীরকে দুর্বা ব্যানার্জী কমার্শিয়াল পাইলট হবার কথা জানান।যদিও হুমায়ুন কবীর এতটা সাহস নিতে পারেননি তাঁকে ফ্লাইট অ্যাটেন্ডেন্ট হিসেবে নিযুক্ত করেন। যদিও শেষ পর্যন্ত তিনি কমার্শিয়াল পাইলট হয়েই ছাড়লেন তাঁর অদম্য সাহস ও জেদের বশে। 

তিনি এফ ২৭ টার্বো প্রপ এয়ারক্রাফ্টেরও কমান্ডার হন।তিনি ১৮৫০০ ঘন্টা ফ্লাইট চালানোর রেকর্ড করেছেন যা এখনও পর্যন্ত আর কোনো দেশের মহিলারা পারেননি। তিনি জেট প্লেনেরও পাইলট হতে সমর্থ্য হন। তিনি বি ৭৩৭-২০০ সিরিজের বোয়িং ৭৩৭ জেট বিমান চালিয়ে সকলকে চমকে দেন। তিনি এয়ারবাস ৩০০ ও চালিয়েছেন। তিনি ১৯৮৮ সালে অবসর নেন। 

প্রতিবেদন- অমিত দে


No comments