Header Ads

করোনা কালে যৌনকর্মীদের সাহায্যের হাত বাড়ালেন অঙ্কিত দাস


করোনায় জ্বলছে গোটা দেশ। তার ফলে জীবন যেন চলছে না সোজা পথে। হাজার সমস্যার মধ্যে এখন আমাদের প্রতিটা দিন কাটছে। জীবন-মৃত্যুর হিসেব কষতে কষতে সকলে বর্তমানে প্রায় ক্লান্ত। সকল মানুষ দিন গুণছে করোনামুক্ত এক সুস্থ সমাজ ফিরে পাবার আশায়। লকডাউনে যাদের রোজগার আছে তারা সুখে-স্বচ্ছন্দে দিন কাটাচ্ছেন, অথচ যাদের রোজগার নেই তারাই বুঝতে পারছেন জীবনের মূল্য ঠিক কতটা। 


গতবছরের লকডাউন থেকে চলতি বছরের লকডাউনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত সোনাগাছির যৌনকর্মীরা। এই যে একটা পেশা যৌনকর্মী, যাদের সমাজ নিম্ন চোখে দেখে। খেতে না পাওয়া অসহায় দরিদ্র ঘরের মেয়েদের একপ্রকার বাধ্য হয়েই এই পেশাটা গ্রহণ করতে হয়। এতে তাদের এতটুকুও অপরাধ নেই। তারাও মানুষ। তাদের কথাও সমাজের ভাবা উচিৎ। 


করোনার দ্বিতীয় ঢেউতে ঠিক কীভাবে সোনাগাছির যৌনকর্মীরা দিন কাটাচ্ছে, কেমন আছে তারা খোঁজ রাখেন না কেউ। তারা এ অসময়ে সহস্র অবহেলার শিকার। তাই তাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন অঙ্কিত দাস। তিনি তার নিজস্ব ফাউন্ডেশন 'গৌরি ফাউন্ডেশন' থেকে গত সোমবার যৌন কর্মীদের জন্য এক সচেতনতার উদ্যোগ নেন। তিনি নিজে গিয়ে তাদের হাতে তুলে দেন রেশন, মাস্ক, স্যানিটাইজার ও মেডিসিন। এর পাশাপাশি তাদের বর্তমান অবস্থারও খোঁজখবর নেন তিনি। তার ফাউন্ডেশনকে এদিন সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় 'অন্নদান' নামের এক প্রতিষ্ঠান। অঙ্কিত দাসের এই উদ্যাগে পাশে ছিলেন তার বন্ধু সৌম্যজিত আদক, নিকিতা ধামিজা ও সগুফতা রেহমান।


ডাক্তার ডি আশীষ সোনাগাছির যৌনকর্মীদের বিভিন্ন সতর্কবার্তা দেন। করোনা কালে রোগ থেকে প্রতিরক্ষা করার কয়েকটি গাইডলাইনও দেন তিনি। অঙ্কিতবাবু সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আগামী সপ্তাহে আরো কিছু ত্রিপল, চাল, ডাল, মাস্ক, স্যানিটাইজার দিয়ে আবারো তাদের পাশে তিনি দাঁড়াতে চান৷ 

প্রতিবেদন- সুমিত দে


No comments