ইয়াস বিপর্যস্ত জনজীবনকে সাহায্যের স্বার্থে 'আঁকিয়েদের আড্ডা'র প্রয়াস 'আর্টেনির্ভর'
সমাজে যতই কঠিন পরিস্থিতি আসুক না কেন, শিল্পের কাজ কখনো থেমে থাকে না। ইয়াস পরবর্তী সময়ে সুন্দরবনের লড়াকু শ্রমজীবী মানুষদের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এসেছে 'আঁকিয়েদের আড্ডা' নামের একটি বাঙালিপ্রধান শিল্পের গ্রুপ। 'আর্টেনির্ভর' নামক এক উদ্যোগে সামিল তাঁরা।
'আর্টেনির্ভর' প্রকল্পটি আসলে কী? আর্টেনির্ভর হলো একটি ফান্ড রেইজিং প্রকল্প, যেখানে কয়েকজন শিল্পী নিজেদের মতো কয়েকটি সৃষ্টিকর্ম তৈরি করে সেগুলো বিক্রি করবে। তারপর তাঁরা যে পরিমাণ পারিশ্রমিক উপার্জন করবেন তা সুন্দরবনের লড়াকু শ্রমজীবী মানুষদের যৎসামান্য আপৎকালীন সাহায্যের স্বার্থে ব্যবহৃত হবে।
'আঁকিয়েদের আড্ডা'র আর্টেনির্ভর প্রকল্পটি ইয়াস ঝড়ে বিপর্যস্ত জনজীবনের দৈনন্দিন লড়াইয়ের পাশে দাঁড়াতে যথেষ্ট অক্সিজেন জোগাচ্ছে। আর্টেনির্ভর প্রকল্পটি কেবল ইয়াস পরবর্তী সময়েই শুরু হয়নি৷ গত বছর যখন কোভিডের প্রথম তরঙ্গে পুরো দেশ উত্তাল হয়ে ওঠে ঠিক তখনই শুরু হয় 'আর্টেনির্ভর' প্রকল্পটি। ২০২০ তে গোটা দেশে অপরিকল্পিত লকডাউন জারি হওয়ায় হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিক সমস্যায় পড়েন। লকডাউন শুরু হওয়ার কয়েকদিন পরই বাংলায় আমফানের আঘাতে বাংলার অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড কিছুটা হলেও ভেঙ্গে পড়ে। সেই মুহূর্তে আর্টেনির্ভর প্রকল্পের মাধ্যমে তাঁরা প্রায় ৩০০০০ টাকা তোলে ও তার সিংহভাগ পরিযায়ী শ্রমিকদের রেশন ও ঘরে ফেরার টিকিট কাটার স্বার্থে এবং কিছুটা দক্ষিণবঙ্গে ত্রাণসামগ্রী প্রেরণের স্বার্থে ব্যয় করা হয়।
আর্টেনির্ভর প্রকল্পে ইতিমধ্যেই এই বছর প্রায় ৯০ জন শিল্পী যুক্ত হয়েছেন এবং সংখ্যাটি দ্রুত হারে বাড়ছে। এই প্রকল্পটি সাফল্যমণ্ডিত করতে তাঁরা বদ্ধপরিকর। 'আঁকিয়েদের আড্ডা'র তরফে সোশ্যাল মিডিয়াতে শুভবুদ্ধিসম্পন্ন সমস্ত মানুষকে এগিয়ে আসারও আহ্বান জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদন- সুমিত দে
Can I send my picture ?
ReplyDelete