Header Ads

পিরিয়ডের ব্যথা থেকে মহিলাদের মুক্তি দিতে 'মাতৃ ডিভাইস' আবিষ্কার দুই বাঙালি তরুণের


ঋতুমতী হওয়ার সময় বহু মহিলা তীব্র পেটের ব্যথাতে ভুগেন। মুখ ফুটে সেই ব্যথার কথা বেশিরভাগ মহিলা বলতে পারেন না৷ এর ফলে তাদের নানান কষ্টের সম্মুখীন হতে হয়। পাশাপাশি মাসিকের সময় ঘরে-বাইরে সমান তালে কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য তারা পেনকিলার জাতীয় অ্যান্টবায়োটিকস ব্যবহার করেন। এতে সাময়িক ভাবে ব্যথা কিছুটা কমলেও তা স্বল্পস্থায়ী। 


মহিলাদের এই গভীর সমস্যা সমাধানের সহজ টোটকা বের করলেন দুই বাঙালি তরুণ। সিলিফার্ম টেকনোলজি কোম্পানির তত্ত্বাবধানে 'মাতৃ ডিভাইস' নামক এক অত্যাধুনিক যন্ত্র আবিষ্কার করে সাড়া জাগিয়েছেন রোহন রায় ও রনি মন্ডল। 

কীভাবে কাজ করবে এই যন্ত্র? খুব সহজ প্রক্রিয়া। পাওয়ার ব্যাঙ্কের মতো দেখতে একটি ছোটো ডিভাইস রয়েছে এর, যেখান থেকে দুটো তার বেরোচ্ছে। এই তার দুটোর সাথে লাগাতে হবে  দুটো ইলেকট্রো জেল প্যাড। যা গেট কন্ট্রোল থিয়োরিতে কাজ করে। ইলেকট্রো জেল প্যাডের গায়ে লাগানো থাকে দুটো প্লাস্টিকের প্যাঁচ, যেগুলো তার লাগানোর পর তুলে নিতে হবে। এরপর ইলেকট্রো জেল প্যাড দুটো তলপেটের যে জায়গায় ব্যাথা হবে সেই জায়গাতে ও তার আরেক পাশে লাগিয়ে নিতে হবে। তারপর ডিভাইসটির সুইচ অন করতে হবে। তাহলেই ব্যথা পুরোপুরি উবে যাবে। এই ডিভাইস অত্যন্ত ছোটো যা পকেটে নিয়েও সব জায়গাতে ঘোরা যাবে৷ এই ডিভাইস থেকে যে নির্দিষ্ট ফ্রিকোয়েন্সী পালস তৈরি হয়, সেই সিগন্যাল আমাদের পেইন সিগন্যালকে ব্লক করে দেয়। ফলে আমাদের পেইন সিগন্যাল আমাদের ব্রেইন পর্যন্ত পৌঁছাতেই পারে না। যার জন্য কেউ বুঝতেই পারবে না যে তার পেটে ব্যথা হচ্ছে।    

বিটেক করে রোহন রায় ও রনি মন্ডল এই যন্ত্র তৈরির কাজ করছেন যাতে খুব সহজেই বাইরে থেকে যন্ত্র ব্যবহার করে মাসিকের সময় ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পারেন মহিলারা৷ তারা আইআইটি পাটনার সঙ্গে একত্রিত হয়ে এই প্রজেক্টে কাজ করছেন।  

মাতৃ ডিভাইস তৈরির সঙ্গে সঙ্গে এক বৃহৎ স্বপ্ন দেখছেন রোহন রায়৷ তিনি চান পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তুলতে। পশ্চিমবঙ্গে ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রির বেহাল দশার জন্য প্রচুর বাঙালি ছেলেমেয়েকে কাজের সন্ধানে বাংলার বাইরে যেতে হয়। তাই তিনি মনে করছেন বাংলার নিজস্ব ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রি গড়ে উঠলে বাঙালি ছেলেমেয়েরা প্রচুর কাজের সুযোগ পাবে। 

প্রতিবেদন- নিজস্ব সংবাদদাতা


No comments