স্মার্টফোনে অক্সিমিটার, এক যুগান্তকারী অ্যাপের জন্ম দিলেন তিন বাঙালি তরুণ
কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের শিকার লক্ষ লক্ষ মানুষ। বহু মানুষ সঠিক চিকিৎসার অভাবে মারা যাচ্ছে। করোনার নতুন স্ট্রেন জনসমক্ষে বিশেষ ভয়ের সঞ্চার ঘটাচ্ছে। জনসমাজ করোনার হাত থেকে বাঁচার জন্য কিছু প্রাথমিক সতর্কতা অবলম্বন করছে। যে প্রাথমিক সতর্কতার কথা মাথায় রেখে তিন বাঙালি যুবক এক আশ্চর্যজনক অ্যাপের জন্ম দিলেন। যে অ্যাপের মাধ্যমে স্মার্টফোনে হবে অক্সিমিটারের কাজ।
এই অ্যাপটির নামকরণ করা হয়েছে 'কেয়ারপ্লিক্স ভাইটালস'। কেয়ার নাও হেলথ কেয়ার চালু করেছে এই অত্যাধুনিক জরুরি অ্যাপটি। যা ব্যবহারকারীর হার্ট রেট, অক্সিজেন স্যাচুরেশন ও রেসপিরেশন রেট তাঁর স্মার্টফোন থেকে সরাসরি নির্ধারণ করে। এই অ্যাপে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার পাশাপাশি অ্যাপ্লিকেশনটি পেরিফেরাল রক্ত সঞ্চালনে ভলিউমেট্রিক পরিবর্তন নির্ধারণ করতে ফটোপ্লেথিজমোগ্রাফি বা পিপিজি কৌশল ব্যবহার করে।
মোবাইল ক্যামেরার ফ্ল্যাশের ওপরে আঙুল চেপে রাখলেই মেপে ফেলা যাবে অক্সিজেনের মাত্রা, হার্ট রেট ও শ্বাসের গতি। করোনা আবহে যেখানে অক্সিমিটারের তুমুল চাহিদা রয়েছে সেখানে স্মার্টফোন দিয়ে অক্সিমিটারের কাজ করে ফেলার প্রযুক্তি নিঃসন্দেহে এক যুগান্তকারী আবিষ্কার। অভিষেক সেনগুপ্ত, মনসিজ সেনগুপ্ত ও শুভব্রত পালের তৈরি এই অ্যাপ ইতিমধ্যেই সরকারি ছাড়পত্র পেয়ে গিয়েছে।
এসএসকেএম হাসপাতালে প্রায় দু'মাস ধরে ১২০০ এরও বেশি রোগীর ওপর এই অ্যাপের ট্রায়াল চলেছে। সেই ট্রায়ালে তরুণ থেকে বৃদ্ধ বিভিন্ন বয়সের রোগীরা অংশ নিয়েছিল। ট্রায়ালটির ফলাফল হিসেবে দেখা গিয়েছে এই অ্যাপটি অক্সিজেন ও পালস রেট মাপার জন্য ৯৮ শতাংশ কার্যকরী।
অ্যাপটি ব্যবহারের জন্য প্রথম পর্যায়ে ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে চার্জ নেওয়া হচ্ছিল কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে এই অ্যাপ বিনামূল্যে ব্যবহার করার সুযোগ দিচ্ছেন প্রস্তুতকারকরা। এখানে তাদের ইন-হাউস চিকিৎসকদের সঙ্গে অন-ডিমান্ড কনসালটেশন করা যায়। আপাতত 'কেয়ারপ্লিক্স ভাইটালস'- এর ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে এই অ্যাপ। তবে শোনা যাচ্ছে খুব শীঘ্রই গুগুল প্লে স্টোরে অ্যাপটি পাওয়া যাবে।
প্রতিবেদন- সুমিত দে
Post a Comment