Header Ads

এশিয়া বুক অফ রের্কডে স্থান পেলেন আলিপুরদুয়ারের সপ্তপর্নি চক্রবর্তী


এশিয়া বুক রেকর্ডে এবার আলিপুরদুয়ারের সপ্তপর্নি চক্রবর্তী। যিনি ক্যারাটে জগতের এক পরিচিত নাম৷ তিনি ৩০ সেকেন্ডে এক পায়ে ৯১ টা মাওসিগেরি কিক করে এই কৃতিত্ব অর্জন করলেন৷ গত সপ্তাহে নিজের করা এই কৃতিত্বের স্বীকৃতি পেয়ে এশিয়া বুক অফ রেকর্ড- এ আবেদন করেন তিনি৷ এরপর পর্যায়ক্রমে তার কাছ থেকে এই রেকর্ড সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য চেয়ে পাঠায় রেকর্ড বুক কর্তৃপক্ষ। সেই মতো তিনি কিক করার ভিডিও ও অন্যান্য তথ্য পাঠান সেখানে।


গত রবিবার এশিয়া বুক অফ রেকর্ডের তরফে একটি অফিশিয়াল ই-মেলের মাধ্যমে সপ্তপর্নি চক্রবর্তীকে জানানো হয় যে তার করা এই প্রচেষ্টাটি রেকর্ড বুকে স্থান পেয়েছে। রেকর্ড বুক কর্তৃপক্ষের তরফে এই নতুন রেকর্ডটির নাম দেওয়া হয়েছে "ম্যাক্সিমাম ক্যারাটে কিকস্ উইদ ওয়ান লেগ ইন থার্টি সেকেন্ডস্।" 

সপ্তপর্নি চক্রবর্তী জানান "এর আগে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডে আমার ডিমের খোসার ওপর তিনটি লেখা কবিতা স্থান পেয়েছিল। কিন্তু আমি চাইতাম আমার ভালোবাসার ক্ষেত্রে অর্থাৎ ক্যারাটেতে কিছু করার। সেই মতো আমি এটা করি। এখন স্বীকৃতি পেয়ে ভালো লাগছে।এই স্বীকৃতি শিক্ষার্থীদেরও নতুন কিছু করতে উৎসাহ দেবে।" 

তিনি ওয়ার্ল্ড ক্যারাটে ফেডারেশনের কুমেতে কোচ আয়েন্টিনিও অলিভা সেবা'র  কাছে প্রশিক্ষণ নেন। ওয়ার্ল্ড ক্যারাটে চ্যাম্পিয়ন মাহদী সোলতানি'র সাথে অনুশীলন করেন। তিনি ওয়ার্ল্ড ক্যারাটে ফেডারেশনের কমিশনের সদস্য হানসি ভারত শর্মার কাছ থেকে ব্ল্যাক বেল্ট থার্ড ডান অর্জন করেন। তার মুকুটে জুড়লো এবার নতুন পালক। এশিয়া বুক অফ রেকর্ডে নিজের নাম তালিকাভুক্ত করলেন সেনসি সপ্তপর্নি চক্রবর্তী। 

তিনি সপ্তপর্নিস ক্যারাটে অ্যাকাডেমি নামে একটি ক্যারাটে অ্যাকাডেমি পরিচালনা করেন। কয়েকদিন আগে উত্তর প্রদেশের আন্তর্জাতিক শোতোকান ক্যারাটে ফেডারেশন আয়োজিত অনলাইন কাতা চ্যাম্পিয়নশিপে সাতজন অংশগ্রহণকারীর মধ্যে আলিপুরদুয়ার সপ্তপর্নিস ক্যারাটে অ্যাকাডেমির ছয়জন পদক অর্জন করেছে।  এই ছয়জন ক্যারাটেকারদের মধ্যে তিনজন স্বর্ণ, একজন রৌপ্য ও দুজন ব্রোঞ্জ পদক লাভ করেছে। উমা গোর, তনয় রায় ও সুরজিৎ দাস স্বর্ণপদক, আদৃজা মল্লিক রৌপ্য পদক এবং রুমি এক্কা, সুধা চিক বারাইক ব্রোঞ্জ পদক পেয়ে বাংলার সকল ক্যারাটে প্রেমীদের গর্বিত করেছে।  

প্রতিবেদন- সুমিত দে


No comments