Header Ads

তুরস্ক থেকে গোবরডাঙাতে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর পাঠালেন বাংলার ছেলে রোমিও নাথ


২০১১ সালে তুরস্ক পাড়ি দেন গোবরডাঙার রোমিও নাথ। সেখানে তিনি গড়ে তোলেন একটি ছোট যোগ স্কুল। তিনি এখন তুরস্কের অন্যতম নামী যোগ প্রশিক্ষক। বিয়ে করেছেন সে দেশের তরুণী এব্রু অজদেমির-কে। তাঁরা দু'জনে মিলেই চালান এই স্কুল। তাঁর মা-বাবা ও দুই ভাই গোবরডাঙাতেই থাকেন। সম্প্রতি তিনি ইস্তানবুল থেকে তাঁর গ্রাম গোবরডাঙাতে চারটি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর পাঠিয়েছেন। 


প্রায় এক দশক ধরে কর্মসূত্রে ইস্তানবুলে বসবাস করছেন রোমিও নাথ। তাঁর বর্তমান বয়স ৪০ বছর৷ তিনি তাঁর বাড়ির লোকের কাছে জানতে পারেন যে এলাকায় অক্সিজেনের প্রচণ্ড সংকট চলছে। এই খবরটা পাওয়া মাত্রই কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে তিনি গোবরডাঙাতে চারটে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর পাঠান। নাথ পরিবারের তরফে সেগুলো তুলে দেওয়া হয়েছে গোবরডাঙা পুরসভার হাতে।  

রোমিও নাথের বেশ কয়েক জন বন্ধু ও তাঁর ভাইয়েরা সকলে মিলে তাদের গ্রামে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। গোবরডাঙার দুঃসময়ে তাঁরা সকলেই সর্বোতভাবে এগিয়ে এসেছেন। তাঁরা আক্রান্তদের বাড়িতে খাবারও পৌঁছে দিচ্ছেন। রোমিওবাবুর বিশেষ সহায়তায় গোবরডাঙার মানুষের বিশেষ উপকার হচ্ছে। 

রোমিওবাবু চারটে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর পাঠানোর পাশাপাশি কয়েক লক্ষ টাকা গ্রামে পাঠিয়েছেন। সেই টাকাতে চাল-ডাল-আলু-সয়াবিন-বিস্কুট কিনে দাঁড়ানো হচ্ছে করোনা আক্রান্তদের পাশে। এর পাশাপাশি কোভিড পরবর্তী সময়ে কোন কোন যোগব্যায়ামে দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠা যায়, নিজের স্টুডিয়োতে তোলা সেই সব ভিডিওর ইউটিউব লিঙ্কও পাঠাচ্ছেন তিনি। 

তাঁর বাবা শ্যামল নাথ আরপিএফ-এ কর্মরত ছিলেন। ১০ বছর আগে তিনি অবসর নিয়েছেন। তিন ছেলের মধ্যে বড় ছেলে দমদমে গাড়ির ব্যবসার সঙ্গে নিযুক্ত। ছোট ছেলে মুদির দোকানে কর্মরত। আর মেজো ছেলে থাকেন তুরস্কে। রোমিওবাবুর এই অবদানে তাঁরা যথেষ্ট আনন্দিত এবং ছেলের এই ছোট্ট প্রয়াসে যদি কিছুটা হলেও গোবরডাঙার মানুষের সমস্যার সমাধান হয় তাতেই তাঁরা সন্তুষ্ট। 

রোমিও নাথের মতে, "আমার জন্ম, বেড়ে ওঠা, পড়াশোনা সবই গোবরডাঙায়। যে গোবরডাঙা আমাকে জীবনের মুখ দেখিয়েছে, তার দুঃসময়ে আমি পাশে থাকবো না সেটা কি হয়! আমার বাবা-মায়েরও বয়স হয়েছে। ওনারাও ওখানে থাকেন। সকলের কথা ভেবেই আমি ওগুলো পাঠিয়েছি।" 

প্রতিবেদন- সুমিত দে


No comments