Header Ads

কোভিড মোকাবিলায় মানবিক দৃষ্টান্ত তৈরি করছেন অনুরাগ হালদার ও তাঁর টিম




করোনার আধার যেন কাটতেই চাইছে না। প্রতিদিন হাজার হাজার মৃত্যুমিছিল দেখে আমাদের মুখ ঢেকে যাচ্ছে বাড়ির চার দেওয়ালের মাঝে। চারিদিকে একটা সংকটময় পরিস্থিতি। মানুষের মনগুলো অস্থির হয়ে উঠেছে সুস্থ জীবন পাবার জন্য। সেদিনের জীবনগুলো আবারো সকলে ফিরে পেতে চায়। কতদিন স্কুলগুলোতে ছেলেমেয়েদের ভিড় নেই। বহুদিন ফাঁকা পর্দা নিয়ে পড়ে আছে প্রেক্ষাগৃহগুলি। খেলার মাঠগুলো জনমানবশূন্য। 


সুজলা সুফলা এ ধরণীতে অকস্মাৎ নেমে এলো এক আকাল। কেই বা জানতো আমাদের সকলকে হতে হবে গৃহবন্দী। কেউ কী ভেবেছিল করোনা নামক এক মারণঘাতী রোগ স্তব্ধ করে দেবে মানবজাতিকে। আজকে কেউ দমবন্ধ হয়ে মারা যাচ্ছে। কেউ কাজ হারাচ্ছে। কারও বাড়িতে তিনবেলা হাঁড়িও চড়ছে না। যেন এক মৃত্যুর বিভীষিকাময় হয়ে উঠেছে চতুর্দিক। আমরা কী শেষ পর্যন্ত পারবো নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে করোনা মোকাবিলায় নিজেদের প্রাণ বাজি রেখে এগিয়ে আসছেন বহু মানুষ।  


করোনার ভয়াবহ দুর্দিনে আমরা দেখতে পাচ্ছি আর্তপীড়িতদের দল ক্ষুধার জ্বালাতে নিরুপায় হয়ে পথের দু'পাশে পড়ে আছে। তাদের খাবার নেই, নেই কোনো মেডিসিন। অন্নহীন হয়ে দিন কাটাচ্ছে তারা। এবার এই সমস্ত মানুষদের পাশে ছায়াবৃক্ষ হয়ে দাঁড়ালেন সঙ্গীতশিল্পী অনুরাগ হালদার।   

সঙ্গীত জগতের এক পরিচিত মুখ হলো অনুরাগ হালদার। সুরের জাদুতে বারংবার দর্শকদের মন কেড়েছেন তিনি৷ কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে গান বন্ধ রেখে তিনি ও তাঁর টিম সৃষ্টি দে, রাকেশ চৌধুরী, নীরাজ ওরান ও রাজেশ চৌধুরী মানুষের জন্য পথে নেমে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করছেন। সর্বদা অনুরাগবাবুর সাথে এগিয়ে এসেছেন রাকেশ চৌধুরী।    


অনুরাগ হালদার ও তাঁর টিম মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছেন খাবার ও ওষুধ পথ্য। কোনো করোনা আক্রান্ত রোগীদের বেডের সমস্যা হলে পুরো টিম আটঘাট বেঁধে নেমে পড়ছে সমস্যা সমাধানে। রাস্তার কুকুর গুলোকে খাবার দেওয়াও বাদ রাখেননি তাঁরা। ইতিমধ্যেই প্রায় ১০০ জন রোগীর অক্সিজেন ও বেডের ব্যবস্থা করেছেন তিনি ও তাঁর সাথীরা। তাঁরা ২৪ ঘন্টাই এখন মানুষের সেবায় ব্রতী হয়ে পড়ছেন। শিল্পী অনুরাগ হালদারের এই কাজ মানবতার এক অনন্য নজির গড়ে তুলছে। তাঁর এই কাজ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।  

প্রতিবেদন- সুমিত দে

No comments