Header Ads

সিঙ্গাপুরের জাহাজ কোম্পানি হয়েও নাম বেঙ্গল টাইগার লাইন


বাংলা বা বেঙ্গল এ কথাটা শুনলে বাঙালির গর্ব হয়। 'জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপী গরীয়সি' তাই এ নিয়ে গর্ব হওয়াই স্বাভাবিক। বেঙ্গলের নামে রয়েছে বঙ্গোপসাগর, বেঙ্গল টাইগার এগুলো বাঙালির ব্যপ্তি এবং শক্তিকে প্রকাশ করে। আজাদ হিন্দ বাহিনীর পতাকাতেও একই কারণে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু বাঘের ছবি রেখেছিলেন। 


বঙ্গোপসাগরের নাম বাঙালির সারা বিশ্ব জুড়ে প্রভাব ছিল বলেই বঙ্গোপসাগর হয়েছে। বঙ্গোপসাগর নাম কে প্রথম দিলেন তা জানা যায়নি। কিন্তু যখন কোনো বিদেশের কোম্পানিও হয় বেঙ্গল টাইগারের নামে যা দেখে বাঙালি হিসেবে তো গর্ব হবেই আমাদের। 

বাংলা ও বাঙালির গর্বে যারা নাক সিঁটকায়। যারা নিজের বাঙালি পরিচয় লুকাতে চায় বা বলে বাংলাটা আমার ঠিক আসেনা তাদের এগুলো দেখে শেখা উচিত। যে বাঙালির কিছু অংশ নিজেই নিজেকে নিয়ে হীনমন্যতায় ভোগে, তাদের বলবো হীনমন্যতা ত্যাগ করুন কারণ বাংলার ব্যপ্তি সারা বিশ্ব জুড়ে।

১৯৮৬ সালে বেঙ্গল টাইগার লাইন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল জার্মানীর হামবুর্গ শহরে। পরে সাইপ্রাসের কোম্পানি এই কোম্পানিকে কিনে নেয় বর্তমানে এই কোম্পানির মালিকানা রয়েছে সিঙ্গাপুরের একটি কোম্পানির হাতে। লক্ষ্যণীয়ভাবে তিনবার মালিকানা পরিবর্তন হলেও এই কোম্পানির নাম সকলেই অপরিবর্তিত রেখেছেন। নাম অপরিবর্তিত রাখার কারণ হলো এই কোম্পানির ব্র্যান্ডের মূল্য।

বর্তমানে সারা বিশ্বের বিভিন্ন সাগরের বুকে ঘুরে বেড়ায় এই কোম্পানির ২৬ টি সুবৃহৎ জাহাজ। প্রতি বছরে ৯ লক্ষ টি.ই.ইউ. বা টোয়েন্টি ফিট ইকুইভ্যালেন্টের কন্টেনার পরিবহণে সক্ষম (সাধারণত ১ টি.ই.ইউ. এর ওজন ১২ টন ধরা হয়ে থাকে)।

বর্তমানে বিশ্বের ১৬ টি দেশে (চীন, ভারত, শ্রীলঙ্কা, ইউ.এ.ই., মালয়েশিয়া, তাইওয়ান, সাউথ কোরিয়া, ফিলিপ্পিন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, পাকিস্তান, কাম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং ভিয়েতনামে)। এই কোম্পানির অফিস রয়েছে যাতে বেঙ্গল টাইগার লাইন কথাটা স্বমহিমায় বিরাজ করছে যা বাঙালির কাছে গর্বের। সাধারণত আরব সাগর, বঙ্গোপসাগর কেন্দ্রীক মালবহণ করে থাকে বি.টি.এল.।

প্রতিবেদন- অমিত দে


No comments