Header Ads

২০০ শহরে ৬৫০০০ মানুষকে লোনের ব্যবস্থা করেছে বাঙালি ফিনটেক কোম্পানি ফ্রিইএমআই


ব্যাঙ্কিং এর মতো ইন্ডাস্ট্রিতে বর্তমানে নতুন নতুন বাঙালিদের কোম্পানি সাড়া ফেলছে। বিশ্বের বাঙালি বললে ফাইনান্সের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাঙালিদের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে। মহম্মদ ইউনুস যেমন মাইক্রোফিনান্সের জনক হিসেবে পরিণত হয়ে পড়েছেন। মহম্মদ ইউনুসের থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ব্যাঙ্ক-ই খুলে ফেলেছেন চন্দ্রশেখর ঘোষ। চন্দ্রশেখর ঘোষের বন্ধন ব্যাঙ্কের মতোই সমিত ঘোষের উজ্জীবন ব্যাঙ্কও সাড়া ফেলেছে। 


স্বাধীনতার আগে বাঙালিরাই ছিল ব্যাঙ্কিং ইন্ডাস্ট্রির পথপ্রদর্শক ন্যাশানাল ইনস্যুরেন্স, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ বেঙ্গল এগুলো বাঙালিরাই প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। যদিও রাষ্টায়ত্তকরণের মাধ্যমে ভারতীয় বাঙালির নিজের আর কোনো ব্যাঙ্ক ছিলনা এতোদিন। যদিও বর্তমানে সেই শূন্যস্থানগুলো পুরণ হতে শুরু করেছে আবার।

আইআইএম বা আরবিআই তে বাঙালি অর্থনীতিবিদ ও প্রফেসরদের ভূমিকা বর্তমানে সর্বজনবিদিত। একই ভাবে ব্যবসায়িক ক্ষেত্রেও বাঙালি আজ আবার নতুন করে পা ফেলতে শুরু করেছে।

এমনই একটি বাঙালি কোম্পানি যার নাম না করলেই নয় তা হলো কৌশিক চ্যাটার্জী প্রতিষ্ঠিত ফ্রিইএমআই (FreEMI)। এই কোম্পানি বর্তমানে ভারতের ২০০ টি শহরে বিভিন্ন প্রকারের লোন (হোম লোন, পার্সোনাল লোন, বিজনেস লোন, কার), ক্রেডিট কার্ড, মিউচুয়াল ফান্ড, গাড়ি এবং দু চাকার যানবাহনের বীমা ইত্যাদি প্রোভাইড করে থাকে।

এটি হল বাংলার প্রথম ফিনটেক কোম্পানি যা অনলাইনে লোনের ব্যবস্থা করে থাকে। ক্রেডিট স্কোরের ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন কোম্পানির লোন প্রদান করে থাকে ফ্রিইএমআই। এর বিনিময়ে কোনো টাকা কাস্টমারদের কাছ থেকে নেয়না ফ্রিইএমআই বরং কোম্পানিগুলো থেকে কমিশন পেয়ে থাকে। 

কৌশিক চ্যাটার্জী ১৪ বছরের আপ্রাণ চেষ্টার মাধ্যমে এই কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছেন। বর্তমানে ২০০ টি শহরে ৬৫০০০ কাস্টমার রয়েছে ফ্রিইএমআই এর এবং ৫০০ মিলিয়ন লোনের ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই করে ফেলেছে তারা। অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক, ইয়েস ব্যাঙ্ক, আই.সি.আই.সি.আই. ব্যাঙ্ক, ক্যাপিটাল ফার্স্ট, বাজাজ ফিনসার্ভ, কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্ক, ইন্দাসিন্দ ব্যাঙ্ক, টাটা ক্যাপিটাল, এইচ.ডি.এফ.সি. ব্যাঙ্ক, ইন্ডিয়াবুলস, আই.ডি.এফ.সি. ফার্স্ট ব্যাঙ্ক ইত্যাদি থেকে অনলাইনে লোনের ব্যবস্থা করে থাকে ফ্রিইএমআই। 

২০১৮ থেকে এই ক'বছরেই ৬৫০০০ কাস্টমার বানিয়ে ফেলেছেন ওয়েবসাইট এবং অ্যাপের মাধ্যমে যা ব্যাঙ্কিং ইন্ডাস্ট্রি থেকে প্রশংসিত হয়েছে। ফিনটেক কোম্পানি হিসেবে মাইক্রো, স্মল, এন্ড মিডিয়াম এন্টারপ্রাইস (এম.এস.এম.ই.) সেগমেন্টে ফ্রিইএমআই সকলকে চমৎকৃত করেছে। এভাবেই বিভিন্ন বাঙালিকে বেশি করে ব্যবসায় নামতে হবে। বর্তমানে বাঙালির বহু ব্যবসাই নিন্দুকদের মুখে চুনকালি ফেলে দিচ্ছে যারা এতোদিন প্রচার করতো বাঙালি নাকি ব্যবসা পারেনা। এক শ্রেণির বাঙালি-বিরোধীদের করা অপপ্রচার বাঙালিকেই বন্ধ করতে হবে। বাঙালির হাজার হাজার ব্যবসা আছে তা আমাদের পোর্টাল প্রায়ই প্রতিবেদনে দেখায়। সুতরাং, এসব অপপ্রচারে কান দেবেন না।

প্রতিবেদন- অমিত দে


No comments