Header Ads

পাটুলিতে 'ইন্টরিম রিলিফ সেন্টার' গড়ে উঠলো টলিউড তারকাদের উদ্যোগে


করোনার যুদ্ধোত্তর পরিস্থিতি থেকে আমরা এখনও বেরিয়ে আসতে পারিনি৷ পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়ঙ্কর থেকে ভয়ঙ্করতর হয়ে উঠছে। হু হু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের গ্রাফ। প্রতিদিন অচেনা মৃত্যুমিছিলে গা শিউরে উঠছে সবার। করোনা প্রতিরোধে প্রাণপণে লড়াই করে চলেছেন চিকিৎসক থেকে সেবিকা, নানান সংগঠন, ক্লাব, প্রতিষ্ঠান, এনজিও এবং ফাউন্ডেশনগুলো এগিয়ে এসেছে। অনেকে আবার ব্যক্তিগত উদ্যোগেও অজস্র পদক্ষেপ নিচ্ছেন। 


এবার টলিউডের একঝাঁক চেনা তারকা এগিয়ে এলেন কোভিড মোকাবিলার জন্য। পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, তন্ময় ঘোষ, অনুপম রায়, পিয়া চক্রবর্তী, ঋদ্ধি সেন, সুরঙ্গনা বন্দোপাধ্যায় ও ঋতব্রত মুখোপাধ্যায় সকলে মিলে তৈরি করে ফেলেছেন 'সিটিজেন্স রেসপন্স' নামের একটি কোভিড কেয়ার ইউনিট। আপাতত পাটুলির একটি ছোট ঘরে করোনা রোগীদের চিকিৎসা চলছে। সঙ্গে রাখা হয়েছে অক্সিজেন-সহ সমস্ত রকম প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা। 

সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে বেড ও সুচিকিৎসার অভাবে কিছুটা হলেও যাতে করোনা রোগীদের জীবন বাঁচানো যায় তারই জন্য এই বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শহরতলীর পাটুলি-তে সিটিজেন্স রেসপন্স' এর তত্ত্বাবধানে 'সেফ হোম'- এর আদলে তৈরি হয়েছে 'ইন্টরিম রিলিফ সেন্টার'। ১০ শয্যার এই ইন্টেরিম রিলিফ সেন্টারে ইতিমধ্যেই করোনা রোগীরা আসতে শুরু করেছেন৷ ২৪ ঘন্টা খোলা থাকছে এই রিলিফ সেন্টার। সাথে রাখা হয়েছে হেল্পলাইন নাম্বারও, যেখানে ২৪ ঘন্টা ফোন আসছে। টেলি কলিং এর জন এখানে কাজ করছেন সাতজন৷ 

বেডের সংখ্যা, অক্সিজেনের সুবিধা থেকে শুরু করে হেল্পলাইন নম্বর, সমস্ত তথ্য সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করছেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, ঋদ্ধি সেন, সুরঙ্গনা বন্দোপাধ্যায়, অনুপম রায় ও ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়। এই বিশাল আয়োজনের প্রধান উদ্যোক্তা তো তাঁরাই।  

টলিউডের তারকাদের এমন মানবিক উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ। অন্যান্য তারকাদের মুখেও প্রশংসা শোনা যাচ্ছে। অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় একটি ট্যুইট করে 'সিটিজেন্স রেসপন্স'- এর পোস্টার শেয়ার করেছেন। পোস্টের তলায় অভিনেতা লিখেছেন, "অসাধারণ এক উদ্যোগ নিয়েছে গোটা টিম৷ তোমাদের সাফল্য কামনা করি।" শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ক্রীড়া সাংবাদিক বোরিয়া মজুমদার৷ 

একদিকে যখন সেফ হোম নিয়ে ব্যস্ত একদল তারকা, তখনই অন্যদিকে সৃজিত মুখোপাধ্যায়, আবির চট্টোপাধ্যায় ও স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়রা সোশ্যাল মিডিয়াতে অক্লান্তভাবে শেয়ার ও পোস্ট করছেন বিভিন্ন হেল্পলাইন নম্বর। খোঁজ দিচ্ছেন কোথায় গেলে প্রয়োজনীয় জীবনদায়ী ওষুধ, অক্সিজেন অথবা হাসপাতালের বেড পাওয়া যাবে।  

প্রতিবেদন- সুমিত দে


No comments