Header Ads

বেতনের ২০ শতাংশ ব্যয় করে কোভিড মোকাবিলায় ঝাঁপিয়ে পড়েছেন রায়গঞ্জের এক শিক্ষক


প্যানডেমিকের কোপে আবারও সংকটে আর্তপীড়িত  মানুষজন। তাদের সহায়তায় এগিয়ে এলেন মৃণালকান্তি সিংহ নামের এক শিক্ষক। প্রতিমাসে বেতনের ২০ শতাংশ দান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রায়গঞ্জের মহারাজা জগদীশনাথ স্কুলের এই শিক্ষক।  


করোনা পরিস্থিতিতে একবছর ধরে স্কুল বন্ধ। তাই অনলাইনে চলছে স্কুলের পঠন-পাঠন। কার্যত বাড়িতে বসেই এখন বেতন নিচ্ছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা৷ এই ব্যাপারটা মোটেও ভালো লাগেনি মৃণালবাবুর। যার ফলে তিনি সিদ্ধান্ত নেন, তাঁর বেতনের একটা বড় অংশ তিনি ব্যয় করবেন সমাজসেবায়৷ যেমন ভাবনা, তেমন কাজ। করোনা সংক্রমিতদের পাশে দাঁড়িয়ে পড়েন তিনি। লকডাউনে কর্মহীন পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশেও দাঁড়ান এই আদর্শ শিক্ষক। 

তিনি পেশায় শিক্ষক হলেও নেশায় একজন সমাজসেবী। লকডাউন শুরু হওয়ার বহুকাল আগে থেকেই তিনি নিজেকে জড়িয়ে রেখেছেন সমাজসেবার সাথে। বস্তির শিশুদের নিয়ে পাঠশালা থেকে শুরু করে বন্যায় দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানো, সব ক্ষেত্রেই রায়গঞ্জ শহরের পরিচিত নাম বীরনগরের বাসিন্দা মৃণালকান্তি সিংহের। 

এই মাসেই তিনি প্রেরণা ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট নামক একটি সংস্থাকে অক্সিজেন সিলিন্ডার কিনে দিয়েছেন, যাতে দুঃস্থ করোনা রোগীদের বিনামূল্যে অক্সিজেন দিয়ে সাহায্য করা যায়। করোনায় আক্রান্ত রোগীদের তিনি খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন। এমনকি হাসপাতালে থাকা রোগীর আত্মীয়দেরও তিনি খাওয়ার ব্যবস্থা করছেন। এর পাশাপাশি নিয়মিত রোগীদের তিনি খোঁজখবরও রাখছেন। তিনি অত্যন্ত নিঃস্বার্থ ভাবে কোভিড মোকাবিলায় ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। 

তিনি সোশ্যাল মিডিয়াতে অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরও তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী আর্থিক সাহায্যেরও আবেদন জানাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। তার এই সামাজিক কর্মকাণ্ডের জন্য সবচেয়ে বেশি আনন্দিত হয়েছেন তাঁর স্ত্রী। তিনি সর্বদা স্বামীকে তার কাজে সমর্থন জোগাচ্ছেন। মৃণালবাবু লিটারেসি প্যারাডাইসকে জানান "এই কোভিড পরিস্থিতিতে সরকারের অন্যান্য সেক্টরগুলো খোলা রয়েছে কিন্তু স্কুল বন্ধ রয়েছে অনির্দিষ্টকালের জন্য। স্কুলগুলো কবে খুলবে আমরা কেউই জানিনা। সেই জায়গা থেকে দাঁড়িয়ে আমি নিজে ব্যক্তিগত ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি এই মাস থেকে আমি আমার বেতনের ২০ শতাংশ বিভিন্ন সামাজিক কাজে দান করবো যতদিন না সরকার আমাকে কোনো কাজে লাগাচ্ছে।" 

প্রতিবেদন- সুমিত দে


No comments