Header Ads

কলকাতায় বঙ্গবন্ধুর শতবর্ষ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হলো ১০০ টি চিত্রকর্মের প্রদর্শনী


বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। স্বাধীন বাংলাদেশ গড়ে তোলার কারিগর ছিলেন তিনি। বাঙালির শত্রুদের চোখে চোখ রেখে তিনি লড়াই করতেন। এপার বাংলার নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর মতো অপার বাংলার দেশনায়ক ছিলেন তিনি। নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর সাথে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল৷   শেখ মুজিবুর রহমান না থাকলে বাঙালির অস্তিত্ব চরম সংকটে পড়ে যেত। পূর্ববঙ্গের বুকে উর্দু সাম্রাজ্যবাদের বিষদাঁত ভেঙ্গে ফেলতে বঙ্গবন্ধু যেভাবে শক্তি প্রদর্শন করেছিলেন তা থেকে বাঙালিদের অনেক শেখার আছে৷ ওপার বাংলার মতো এপার বাংলার মানুষও শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধা করেন। বাঙালির মননে তিনি অমর অক্ষয় হয়ে থেকে যাবেন। 


আজকে দুই বাংলাতে পালিত হচ্ছে মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী। কলকাতা ও ঢাকার নানান জায়গাতে নানাবিধ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাঁকে স্মরণ করা হচ্ছে। শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে গত ৫ ই ফেব্রুয়ারী থেকে ১১ ই ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত কলকাতার একাডেমি অফ ফাইন আর্টসে  বঙ্গবন্ধুর ১০০ টি চিত্রকর্মের প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। 

আলোচ্য প্রদর্শনীতে নিমন্ত্রণ জানানো হয় দুই বাংলার অসংখ্য চিত্রশিল্পীদের। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ও বাংলাদেশ হাইকমিশনার কলকাতার সার্বিক ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত হয় প্রদর্শনীটি। যার উদ্যোক্তা ছিলেন জাম্মাল হোসেন এবং তৌফিক হোসেন। একাডেমি অফ ফাইন আর্টসের মনোরম পরিবেশে ভবনটির দেওয়াল ভরিয়ে দেওয়া হয় শেখ মুজিবুর রহমানের একশোখানা পোট্রের্টে। যে পোট্রের্টগুলো দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়। 


প্রদর্শনীটির প্রসঙ্গে এপার বাংলার চিত্রশিল্পী সুব্রত ঘোষ লিটারেসি প্যারাডাইসকে জানান "ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ শিল্পীরা এই প্রদর্শনীতে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা নানাভাবে নানান স্টাইলে কাজ করেছেন। আমিও তাদের মধ্যে একজন নিমন্ত্রিত ছিলাম কলকাতা তথা ভারত থেকে।  এখানে এসে যে বিষয়টা আমার ভালো লেগেছে তা হলো এরকম একটা উদ্যোগ যেখানে সমস্ত শিল্পীরা অনেক আনন্দ নিয়ে এখানে এসেছিলেন এবং আমরাও সেখানে কাজ করতে পেরেছি। তবে কিছু অভিযোগ অভাব তো থেকেই থাকে, যেমন এটা আরো অনেক ভালো হতে পারতো আমার যেটা মনে হয়েছে। আমরা যদি প্রত্যেককে এখানে একা একা পরিচয় করাতে পারতাম  বেশ ভালো হতো কারণ আমাদের নানা কাজের জন্য নানা দেশে যেতে হয় সেক্ষেত্রে  শিল্পীদের যোগাযোগটা একটা বড় মাধ্যম সেই স্কোপটা এখানে হলো না। এটা আসলে কিছুটা সময়ের অভাবেও হয়তো হতে পারে। খুব অল্প সময়ে সমস্ত শিল্পীরা সেই প্রথমদিন ছিলেন এবং তারপর ক্যামেরাম্যান ও সমস্ত  সাংবাদিকরাও ছিলেন। তারপর একদমই প্রায় সেরকম ভাবে যোগাযোগের স্কোপ হয়নি। আশা করি পরবর্তীকালে হবে। যদি একটু গুছিয়ে প্রদর্শনীটি করা যেত তাহলে খুব ভালো হতো যেহেতু এটা দুই বাংলার প্রদর্শনী। আর দুই বাংলার ব্যবধান তো কেবল একটা তারকাঁটার, এর বেশি কিছুই নয়। আমরা প্রত্যেকেই প্রত্যেককে নানাভাবে চিনি। আমাদের একে অপরের কাজের সঙ্গে একে অপরের কাজের একটা অদ্ভুত মিল রয়েছে, অমিলের কোনো জায়গা নেই। আমরা এদেশের কথা তাদের ও তারা ওদেশের কথা আমাদের সঙ্গে শেয়ার করেন। আমরা উভয়েই বন্ধুর মতো। তবুও বলি এই প্রদর্শনীটি যথাযথ হলেও আমার মনে হয়েছে এটা নিয়ে  আরেকটু বেশি হোকওয়ার্ক করা উচিৎ ছিল।" 

প্রতিবেদন- সুমিত দে


No comments