গাইঘাটার মা রেস্টুরেন্টে মিলছে দশ টাকায় ৬ টা লুচি ও আনলিমিটেড ঘুগনি
বাঙালির পছন্দের খাবার তালিকায় সবার প্রথমে রয়েছে লুচি-ঘুগনি৷ যে জলখাবারের নাম শুনলে বাঙালির জিভে জল এসে যায়৷ লুচি-ঘুগনি খেতে কার না ভালো লাগে। মুচমুচে ময়দার লুচির সঙ্গে টকটকে হলুদ ও লঙ্কাগুঁড়ো মেশানো ঘুগনির আহার যেন এক পরম আহার। আনমনে তৃপ্তি করে খাওয়ার মতো অসাধারণ খাবার হলো লুচি-ঘুগনি। লুচিকে যতই আমরা অরুচির রুচি বলি না কেন, লুচি খেতে সব্বাই ভালোবাসেন।
লুচি-ঘুগনিপ্রেমীদের জন্য এক বিস্ময়কর প্রতিষ্ঠান হলো উত্তর ২৪ পরগণার বনগাঁ মহকুমার অন্তর্গত গাইঘাটার 'মা রেস্টুরেন্ট'। সাইজে রেস্টুরেন্টটি ছোটো হলেও খাবারে এক অন্যরকম বিশেষত্ব আছে। গাইঘাটার বাজার যেখানে শেষ হচ্ছে তার মাথায় রয়েছে একটি ব্রীজ। আর এই ব্রীজের পাশেই অবস্থান করছে 'মা রেস্টুরেন্ট।
গাইঘাটার এক দম্পতি হলো 'মা রেস্টুরেন্টে'র মালিক৷ যেখানে মাত্র দশ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে ছয়টা লুচি ও আনলিমিটেড ঘুগনি। সেখানেই গত ৫ বছর ধরে খাওয়াচ্ছেন চন্দন দেবনাথ ও শ্যামলী দেবনাথ। দিনে প্রায় একহাজার প্লেট লুচি-ঘুগনি বিক্রি হয় এখানে। তবে শুধু লুচি না, এখানে পাবেন ফার্স্ট ফুড জাতীয় খাবারও।
প্রতিদিন সকাল সকাল ১৫ কেজি ময়দার লুচি ও দুই ডেগচি ঘুগনি বানানো হয় এখানে। দোকানের মালিকেরা লুচি ও অন্যান্য খাবারে কখনো পাম তেল ব্যবহার করেন না। তারা সয়াবিন তেল ও সরিষার তেলে খাবার বানান। কেবল লুচি ভাজার পিছনেই প্রতিদিন দশ প্যাকেট তেল খরচ হয় তাদের। এক ঘন্টায় তারা ১২০০ পিস লুচি বানিয়ে ফেলেন। সপ্তাহের বেশিরভাগ দিনেই তাদের রেস্টুরেন্টের চাহিদা থাকে তুঙ্গে। গাইঘাটাতে সপ্তাহে দুইদিন হাট থাকে। হাটের দিনগুলোতে জনসমাগম ঘটে এই রেস্টুরেন্টে। দূরদূরান্ত থেকে মানুষ এখানে আসছেন লুচি-ঘুগনি খেতে। খাদ্যরসিক মানুষেরা এখানে একবার এসে লুচি-ঘুগনি খেয়ে যেতে পারেন। মাত্র দশ টাকার বিনিময়ে ছয়টা লুচি ও আনলিমিটেড ঘুগনি বাংলার আর কোথায় পাবেন না আপনি।
প্রতিবেদন- সুমিত দে
Post a Comment