Header Ads

সর্বভারতীয় সিএসআইআর ইউজিসি নেট পরীক্ষায় দেশের প্রথম হলেন বঙ্গতনয়া স্বর্ণালী দে


বাংলা ও বাঙালির মেধা আজীবন দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ। কোনোরকম বাঁধা আটকে রাখতে পারবে না বাঙালির মেধাশক্তিকে। বাংলার ঘরে ঘরে এখন মেধার অভাব নেই। কোনো বাঙালি বিজ্ঞানে দেশের সেরা হচ্ছেন তো কেউ মঙ্গলের বুকে হেলিকপ্টার ওড়াচ্ছেন, কেউ আমেরিকাতে ক্যাবিনেট হচ্ছেন, কেউ বিশ্বের নানান সম্মানে ভূষিত হচ্ছেন। বাঙালির সাফল্যের চাকা ক্রমশ এগিয়েই চলেছে। কথায় আছে, বাঙালি দাবাইয়া রাখা যায়না। হ্যাঁ, বাঙালি হেরে যাওয়ার জন্য এদেশে জন্মায়নি। বাঙালিকে যে-কোনো মূল্যে দেশ ও দশের মধ্যে একজন হওয়ার স্বপ্ন দেখতে হবে। 



বাঙালি এখন নতুন স্বপ্নের সন্ধানে জয়ী হয়ে চলেছে। এবার সর্বভারতীয় নেট পরীক্ষায় দেশের মধ্যে প্রথম হলেন বাঙালি মেয়ে স্বর্ণালী দে। ২০২০ জুনিয়র রিসার্চ ফেলোশিপ, লেকচারশিপ ও সহকারী অধ্যাপকের জন্য যৌথ সিএসআইআর - ইউজিসি ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি টেস্টে (নেট) সারা দেশে প্রথম হলেন তিনি। স্বর্ণালী দে কাঁচরাপাড়ার ওয়ার্কশপ রোডের বাসিন্দা। জনপ্রিয় অধ্যাপক বিশ্বজিৎ দে'র কন্যা হলেন স্বর্ণালী দে। তাঁর সর্বমোট এনটিএ পারসেন্টাইল স্কোর ১০০। 

স্বর্ণালী দে সর্বভারতীয় সিএসআইআর- ইউজিসি নেট পরীক্ষায় জীবন বিজ্ঞান বিভাগে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য তিনি এমএসসি -তেও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগে প্রথম হয়েছিলেন। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমএসসি ২০১৭-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী। স্বর্ণালীর এই সাফল্যে খুশী তার বাবা-মা ও পাড়ার লোকেরা।  

স্বর্ণালীর বাবা বিশ্বজিৎ দে মহাশয় ফেসবুকে মেয়ের এই সাফল্য তুলে ধরে মেয়ের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করেছেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবন বিজ্ঞান ফেসবুক পেজে স্বর্ণালীর উজ্জ্বল কৃতিত্বের কথা জানানো হয়। এরপরেই স্বর্ণালীকে সকলে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাতে থাকেন৷ স্বর্ণালী পড়াশোনা করেছেন কল্যাণী স্ত্রীন্ডেল হাই স্কুল থেকে। তারপর তিনি বেথুন কলেজ থেকে বোটানি অনার্স পাস করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বালিগঞ্জ সায়েন্স কলেজ থেকে এমএসসি করে সেখানেই গবেষণা করছেন। স্বর্ণালী দে'র এই সাফল্যে তাকে কুর্নিশ জানাই। 

প্রতিবেদন- সুমিত দে


No comments