Header Ads

বাংলার উত্তরের তিন জঙ্গলে চিতাবাঘের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১০০


বাংলার উত্তরে বাড়ছে চিতাবাঘের সংখ্যা। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প, জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান ও গরুমারা জাতীয় উদ্যানে রাতারাতি বেড়ে চলেছে চিতাবাঘের সংখ্যা। ২০১৯ সালের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে ভারতে চিতাবাঘের সংখ্যা ৭৫ থেকে ৯০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী ২০১৬ সালে ৪৫০ টি ও ২০১৭ সালে ৪৩১ টি চিতাবাঘের মৃত্যু হয়েছে। ২০১৬ ও ২০১৭ এই দুই বছরে কেবল চোরাশিকারীদের হাতে প্রাণ গিয়েছিল ১৫৯ ও ১২৬ টি চিতাবাঘের। ২০১৮ সালে ভারতের ১৮ টি রাজ্যে চিতাবাঘের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। উত্তরাখণ্ডে ২৪ টি, মহারাষ্ট্রে ১৮ টি ও রাজস্থানে ১১ টি চিতাবাঘের মৃত্যু হয়। 'ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অফ নেচার'- এ ভারতের চিতাবাঘকে 'বিপন্ন' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।       


ভারতে যখন বিপন্ন হিসেবে চিতাবাঘকে চিহ্নিত করা হয়েছে তখন বাংলার উত্তরে চিতাবাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া বনদপ্তরের কাছে তো বটেই পরিবেশকর্মীদের কাছেও খুশীর খবর। বনদপ্তরের কর্মীরা জানাচ্ছেন যে বাংলার গোটা উত্তরে চিতাবাঘ নিয়ে গণনা করলে আরো বেশি চিতাবাঘ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ২০১৮ সালে ভারতীয় বন ও পরিবেশ ক্যাবিনেট দেশব্যাপী চিতাবাঘ সুমারি শুরু করেছিল। সেই সুমারির নতুন রিপোর্ট জানাচ্ছে বক্সা, জলদাপাড়া ও গরুমারা অভয়ারণ্যে প্রায় ১০০ টির মতো চিতাবাঘ রয়েছে। এমন তথ্য বলে দিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে অধিকতর গুরুত্ব দিয়েছে।
 
চিতাবাঘ সুমারিতে কেবল তিনটি জঙ্গলকে ধরা হয়েছে কিন্তু চা বাগানে মাঝেমধ্যে চিতার আক্রমণের খরব প্রায়ই সংবাদের শিরোনামে লক্ষ্য করা যায়। চিতা সুমারিতে চা বাগান বাদ রাখা হয়েছিল। চা-বাগান সহ গণনা করলে সংখ্যাটা আরো একটু বেশি হতে পারতো। তবে চিতাবাঘ নিয়ে খুব শীঘ্রই একটা নতুন সুমারি শুরু হবে বলে বিশেষ সূত্রে জানা যাচ্ছে।       
 
পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের মতে, উত্তরের জঙ্গলে চিতাবাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের সংখ্যা অনেকটাই কম। ভারতের সর্বোচ্চ বন্যপ্রাণী বিভাগের গত বছরের রিপোর্ট বলছে ভারতে চিতাবাঘের সংখ্যা ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারতে বর্তমানে চিতাবাঘের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩,০০০ এর মতো। যা পরিবেশের একটা অত্যন্ত ইতিবাচক দিক। কারণ চিতাবাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার পিছনে কাজ করে বাস্তুতন্ত্র। বাংলা সহ ভারতের বিভিন্ন জায়গায় যে পরিবেশের উন্নতি ঘটছে তা বলাইবাহুল্য। চিতাবাঘের সবচেয়ে বড়ো গুণ হলো তারা পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সবকিছু মানিয়ে চলতে পারে। এটাও একটি চিতাবাঘ বৃদ্ধির বড়ো কারণ। 

প্রতিবেদন- সুমিত দে


No comments