Header Ads

আপনার ন্যাতানো কনফিডেন্সকে চাঙ্গা করতে হাজির স্লিপিং পিলসের 'চিনি গো চিনি'


"শিরাতে শিরাতে পেট্রোল আগুন আমার বুকে, ধর্ষিত তুমি হয়ে গেছো আমার দূষিত  চোখে।" না, এখন কোনো কবিতার লাইন লিখছি না। স্লিপিং পিলস ব্যান্ডের একটা নতুন গানের দুটো কলি লিখলাম। যে গানের নাম "চিনি গো চিনি।" গানটি লিখেছেন বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী মনীষী ভট্টাচার্য। গানটির সুর ও গায়কীও তাঁর। গত ২ রা জানুয়ারি মুক্তি পেয়েছে এই গানটি। স্লিপিং পিলসের অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পেয়েছে এই গানটি। 


'চিনি গো চিনি' এই শিরোনাম দেখে 'আমি চিনি গো চিনি, ওগো বিদেশিনী' গানটির কথা আপনাদের মনে আসতে পারে। আসাটাই যদিও স্বাভাবিক কারণ 'আমি চিনি গো চিনি' গানটি একটি বিখ্যাত রবীন্দ্র সঙ্গীত। বাঙালির সঙ্গীতচর্চার মননের সাথে জড়িত সেই গান। তবে স্লিপিং পিলসের 'চিনি গো চিনি' গানটির সঙ্গে এর কোনো মিল নেই। এই গানটি স্লিপিং পিলসের নিজস্ব সৃষ্টি করা একটি গান।  

গানের প্রসঙ্গে স্লিপিং পিলস বারবার জানিয়েছে "রবীন্দ্রনাথ হলো বাঙালির আবেগ, সেই আবেগ নিয়ে ছিনিমিনি খেলার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। আমরা আমাদের তৈরি 'চিনি গো চিনি' গানটির মধ্য দিয়ে আপনাদের মেজাজকে আলোকিত করে তোলার চেষ্টা  করেছি। তাই আপনারা নিশ্চিন্তে বিনোদন হিসেবে উপভোগ করুন আমাদের এই নিজস্ব গানটি।"

'চিনি গো চিনি' শিরোনামের এই গানটিতে গিটার পরিবেশন করেছেন দেবায়ন গুপ্ত, বেস গিটার পরিবেশন করেছেন ঋতব্রত ঘোষ, কিবোর্ড পরিবেশন করেছেন সুমন চৌধুরী এবং ড্রাম ও পারকাশান পরিবেশন করেছেন ঋতম গায়েন৷ গানটির মিক্স ও মাস্টারিং করেছেন টলিউড ইন্ডাস্ট্রির প্রখ্যাত সাউণ্ড ইঞ্জিনিয়ার অমিত চ্যাটার্জি। গানটির প্রিমিক্স করেছেন ম্যাগ ইন্ডিয়ার অলীভ ঘোষ। গানটির মিউজিক ভিডিও পরিচালনা ও প্রযোজনা করেছে রকরুলজ স্টুডিও। গানটিতে অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় মডেলিস্ট রোশনি ঘোষ ও রাজবীর গারোডিয়া৷ গানটি ডিজিটালি রিলিজ হবে জেএমআর স্টুডিও লেভেল থেকে। 

স্লিপিং পিলস ব্যান্ডের ভোক্যালিস্ট মনীষী ভট্টাচার্য এই গানের প্রসঙ্গে লিটারেসি প্যারাডাইসকে জানান "এ গান সম্পর্কে সবারই মতামত থাকা উচিৎ বলে আমার মনে হয়। কিন্তু যেহেতু এই গানটি আমি লিখেছি ও সুর করেছি তাই এই গানটির ভাবনা আমি ভালো বলতে পারবো। তাই এই কথাগুলো বলবো। প্রথমত 'চিনি গো চিনি' একটি অত্যন্ত মজার গান। 'চিনি গো চিনি' একটা রসবোধের গান। যদি কেউ বলে এই গানে কীসের রসবোধ আছে? তাহলে আমি বলবো এই গানটা একজন ছেলে যখন কৈশোর থেকে যৌবনে প্রবেশ করছে তখন তার মধ্যে বিভিন্ন কৌতুহল জেগে উঠছে। যেমন নারীর শরীর নিয়ে কৌতুহল ও যৌনতা সম্পর্কিত কৌতুহল ইত্যাদি তার মধ্যে বেড়ে উঠছে। সেই মুহুর্তে ছেলেটি সঙ্গীহীন ও একা। তার জীবনে কোনো নারী নেই। সেরকম একটা পরিস্থিতিতে তার মনোভাব। আমাদের প্রত্যেকের জীবনেই কিন্তু সেই মুহূর্ত সবার এসেছে। এটা পুরোপুরি চোখের সামনে তুলে ধরাটাই এই গানের মধ্যে রয়েছে। 

দ্বিতীয়ত যদি যুবক শ্রেণীর মানুষদের কথা ভাবা হয় তাদের মধ্যে অনেক পজিটিভ দিকও আছে, আবার নেগেটিভ দিকও আছে। রাস্তায় যখন কোনো সুন্দরী মহিলা যায় তখন কমবেশি সমস্ত পুরুষেরা তার দিকে তাকায়। কিন্তু সেই তাকানোর মধ্যে কিছু শালীনতা থাকে, আবার কিছু অশালীনতা থাকে। আমি এখানে যে অশালীন দৃষ্টিভঙ্গি, যে কুরুচিপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি সেটার কথা বলেছি। এই গানের একটা লাইনে আমি সে কথা বলেছি যে 'ধর্ষিত তুমি হয়ে গেছো আমার দূষিত চোখে'। এখানে আমার বলতে আমার ব্যক্তিগত কথা নয়, আমার বলতে পার্টিকুলার সেই অবসাদগ্রস্ত, একাকীত্বে ভোগা সেই যুবকটার কথা। যার জীবনে কোনো নারী নেই, সঙ্গী নেই; সেই যুবকটির কথা।"

প্রতিবেদন- সুমিত দে


No comments