Header Ads

দমকল কেন্দ্র গড়ে তুলতে কোটি টাকার জমিদান সবংয়ের ব্যবসায়ীর


সৎ ইচ্ছে ও সাহস থাকলে সবই হয়। কোনো একটা জায়গার উন্নয়ন করতে হলে শুধু যে সরকারকে প্রয়োজন তা কিন্তু নয়৷ সরকার ছাড়াও চাইলে অনেক উন্নয়ন করা সম্ভব। এরই প্রমাণ দিলেন সবংয়ের এক ব্যবসায়ী মলয় দাস। সবংয়ের বুকে দমকল কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য তিনি দান করলেন এক বিঘা জমি। যে জমির আর্থিক মূল্য প্রায় এক কোটি টাকা। ইতিমধ্যেই শিলান্যাসও হয়ে গেছে দমকল কেন্দ্রের। 


সবংয়ে কোথাও আগুন লাগলে দমকল ডাকারও সময় থাকে না। সবংয়ের খুব কাছে দমকল কেন্দ্র বলতে খড়গপুরে রয়েছে দমকল কেন্দ্র। যদিও সেখান থেকে দমকল আসার আগেই সব আগুনে ধূলিসাৎ হয়ে যাবে। সবং থেকে খড়গপুরের দূরত্ব ৫৩ কিলোমিটার। তাই খড়গপুরের দমকল কেন্দ্রের ওপর কোনোরূপ ভরসা সবংবাসীদের। সবং এ দমকল কেন্দ্র খুবই দরকার৷ সেই কথা মাথায় রেখে দমকল কেন্দ্র গড়তে নিজের এক বিঘা তুলে দিলেন বর্তমান রাজ্য সরকারের হাতে। 

দীর্ঘদিন ধরেই সবংয়ে দমকল কেন্দ্র গড়ে তোলার দাবি তুলেছে এখানকার স্থানীয়রা। প্রশাসন প্রথমে তাদের গুরুত্ব দিতে নারাজ ছিল৷ তবে স্থানীয়রা হাল ছেড়ে দেননি। নিজেদের দাবিতে অনড় থেকে সফলতা পেতে চলেছেন তারা। প্রশাসন তাদের ডাকে সাড়া দিয়েছে। তারা দমকল কেন্দ্র গড়ে তোলার আশ্বাস জানিয়ে শিলান্যাস প্রক্রিয়া সদ্য শেষ করেছে৷ দমকল কেন্দ্র তৈরির কাজকে আরো বেশি সহজ করেছেন মলয়বাবু এক বিঘা জমিদান করে। 

আগুনের গ্রাসে বহুবার ভয়াবহ ঘটনার সম্মুখীন হয়েছে সবং। এখানকার বহু অগ্নিকাণ্ড এলাকাবাসীদের ঘুম উড়িয়ে দিয়েছে। সবং এর মানুষ চাননা এখানে বারংবার অগ্নিকাণ্ড হোক। তারা অগ্নিকাণ্ডের মতো ভয়ানক দুর্ঘটনার হাত থেকে নিরাপদে জীবনযাপনের পথ খুঁজছেন৷  মলয়বাবুর এই কাজে খুশী সবংবাসীরা।  

মলয়বাবুর পরিবারের সঙ্গে জড়িয়ে আছে নানান সামাজিক উন্নয়নে জমিদানের ইতিহাস। তার ঠাকুরদা এলাকায় স্কুল ও ডাকঘর তৈরির জন্য জমি দান করেছিলেন। মলয়বাবু নিজেও এর আগে প্রাথমিক স্কুলের জন্য জমিদান করেছেন। গত বছর ২ রা সেপ্টেম্বর জমি হস্তান্তর করেন তিনি। সংবাদ মাধ্যমে তিনি জানান "দীর্ঘদিন ধরে পড়েছিল জমিটি। এলাকার মানুষের উপকার হবে জেনেই সরকারকে আমি জমিটি দান করেছি।" 

প্রতিবেদন- নিজস্ব সংবাদদাতা


No comments