Header Ads

উত্তর কলকাতার হৃষীকেশ পার্কে আয়োজিত হতে চলেছে বিকল্প বইমেলার


কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা ২০২১ স্থগিত রাখা হলেও উত্তর কলকাতার হৃষিকেশ পার্কে আয়োজিত হতে চলেছে একটি বিকল্প বইমেলার। পশ্চিমবঙ্গ প্রকাশক সমন্বয় কমিটি এবং বিশিষ্ট শিল্পপতি সমর নাগের বর্ণপরিচয় এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই বইমেলা। আগামী ২৮ শে জানুয়ারি থেকে শুরু হবে এই মেলা, যা চলবে ৩১ শে জানুয়ারি পর্যন্ত। কদিন আগে কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা স্থগিত রাখার খবর শুনে বইপ্রেমীরা কিছুটা হতাশ হয়ে পড়েছিল। মহানগরের প্রাণকেন্দ্রে বাঙালির প্রাণের মেলা বইমেলাতে লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড় হয়। দেশ-বিদেশ থেকে বহু লোক এখানে ছুটে আসেন। কলকাতার মতো এতো বড়ো বইমেলা ভারতের আর কোথাও হয়না। 


হাজার হাজার প্রকাশক মুখিয়ে থাকে কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার জন্য। বাংলা বই প্রচার ও প্রসারের সেরা মাধ্যম হলো বইমেলা। এই বইমেলা থেকে নতুন নতুন লেখকদের নাম-যশ ও খ্যাতিও বৃদ্ধি পায়। পাঠকদের বই পড়ার জগতকে সুন্দর করে ভরিয়ে তোলে এক একটা বইমেলা। এমনকি বইমেলাতে অজস্র লেখকদের সাথে অজস্র প্রকাশকদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কও গড়ে ওঠে। 

উত্তর কলকাতার হৃষিকেশ পার্কে আগামী ২৮ শে জানুয়ারি বইপ্রেমীদের হৃদয়ে সুখের আবির্ভাব ঘটাতে চলেছে এই বইমেলা। গত শুক্রবার প্রেসক্লাবে উদ্বোধন হলো এই বইমেলার লোগো। প্রখ্যাত নাট্যকার ও অভিনেতা ব্রাত্য বসু উদ্বোধন করেন এই লোগোটির। বইমেলার লোগো প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বইমেলা কমিটির চেয়ারম্যান প্রকাশক শংকর মন্ডল, সুচরিতা বসু ও রূপা মজুমদার প্রমুখরা। 

এই বিকল্প বইমেলাতে কী কী থাকছে? উদ্যোক্তারা জানাচ্ছেন এই বইমেলাতে ৩৫ টির মতো বইয়ের স্টল থাকবে। এর পাশাপাশি মেলাতে লিটল ম্যাগাজিনেরও আলাদা জায়গা রাখা হবে। বইমেলা কর্তৃপক্ষের মতে "কোভিড পরিস্থিতি সবরকম সতর্কতা ও স্বাস্থ্যবিধি অবলম্বন করেই মেলার আয়োজন করা হচ্ছে।" লোগো প্রকাশের অনুষ্ঠানে ব্রাত্য বসু জানান যে  "সমাজকে সর্বাত্মক ভাবে রাজনীতিকরণ করার যে প্রয়াস চলছে তা ঠিক নয়। শিল্প ও সংস্কৃতি বই নিয়েও কথা হোক। সুস্থ গণতান্ত্রিক পরিবেশে এটাই কাম্য। এখানেই বইমেলার প্রয়োজনীয়তা। আর আমাদের ঐতিহ্যের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে কলকাতা বইমেলা। তবে এই বইমেলাতেও ভালো প্রভাব পড়বে বলে আশা রাখি।" 

প্রতিবেদন- নিজস্ব সংবাদদাতা


No comments