Header Ads

অসহায়-আর্তপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়াতে বিশেষ উদ্যোগ নিল স্মরণ


শুরু হয়ে গিয়েছে শীতের মরসুম। ঘরে-বাইরে কনকনে ঠান্ডাতে শরীরে হিমেল হাওয়া লাগছে। লোকেরা সবাই সোয়েটার ও চাদর গায়ে দিয়ে, মাথায় টুপি লাগিয়ে শরীর গরম করছে গোটা দিন। রাত হলেই কম্বল বা লেপের তলাতে দিন কাটাচ্ছে সকলেই। কিন্তু এই মরসুমে প্রচণ্ড যন্ত্রণার শিকার অসহায়-আর্তপীড়িত মানুষ। যাদের শীত কাটানোর উপযোগী পোশাক নেই, যাদের কাছে কম্বল থাকে না, যাদের রাস্তার ধারে দিন কাটাতে হয়। কেবল এরাই জানে হাড়কাঁপানো শীতে শরীরে কী প্রকার যন্ত্রণা অনুভূত হয়। 


অসহায়-আর্তপীড়িতদের এমন সমস্ত দুঃখ-কষ্ট-যন্ত্রণাকে নাশ করতে গত তিনবছর ধরে উদ্যোগ নিয়ে চলেছে স্মরণ ফাউন্ডেশন। ফেসবুকে আলাপ কয়েকজন বন্ধুর উদ্যোগে গঠিত হয় স্মরণ ফাউন্ডেশন। ২০১৭ সালের ২৫ শে সেপ্টেম্বর শুভজিৎ সার, শ্রীকান্ত মাজি ও তুষার মুখোপাধ্যায়ের যৌথ উদ্যোগে বাঁকুড়া স্টেশনের ৭০ জন দুঃস্থ অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর মাধ্যমে স্মরণের যাত্রা শুরু হয়। তারপর থেকে হাজারো সামাজিক উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন কমসূচীতে দেখা গেছে তাদের। 

গত ২৮ শে নভেম্বর পুরুলিয়ার চেলিয়ামা সংলগ্ন বাউরি অধ্যুষিত এলাকা, আহ্লাডি গ্রাম ও গ্রাম সংলগ্ন মাহালি পাড়া ও জোরাডিতে প্রায় ৯০ জন বৃদ্ধ ও বৃদ্ধাদের হাতে তুলে দেওয়া হলো কম্বল, মিষ্টির প্যাকেট, মাস্ক ও মহিলাদের স্যানিটারি ন্যাপকিন। গ্রামগুলোতে যাওয়ার পথে রাস্তার পাশে যারা মাঠে কাজ করেন, যারা কাঠ কাটেন সেই রকম মানুষদের হাতেও তুলে দেওয়া হয় কম্বল, মিষ্টির প্যাকেট, মাস্ক, ডিটারজেন্ট, সাবান সহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম। 

২৮ শে নভেম্বরের কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন স্মরণের প্রধান কান্ডারী শুভজিৎ সার সহ মনীষা হেমব্রম, কাজল বাগ, শর্মিষ্ঠা সন্নিগ্রহী, তপন মাহাতো সহ অন্যান্যরা। এদিন সব মিলিয়ে প্রায় ১২০ জনকে কম্বল সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি তুলে দেওয়া হয়। কেবল ২৮ শে নভেম্বরই নয়, পরের দিন অর্থাৎ ২৯ শে নভেম্বর বিকেলে বাঁকুড়ার কমলপুর সংলগ্ন এলাকায় ২৩ টি কম্বল সাথে সাবান ডিটারজেন্ট ও একটি করে কেক বিতরন করা হয়। স্মরণের এই উদ্যোগকে দারুণভাবে সহযোগিতা করেছে কাশিপুরের 'পুরুলিয়া জ্যোতি' সংস্থা। যার প্রতিষ্ঠাতা হলেন তপন মাহাতো। 

শীতের মরসুমে স্মরণ অসহায়-আর্তপীড়িতদের সহায়তার জন্য যেভাবে এগিয়ে এসেছে তাতে কিছুটা হলেও আর্তপীড়িতদের কষ্ট নিবারণ হবে। এভাবে মানুষের পাশে প্রত্যেকটি এনজিও, সংস্থা ও ফাউন্ডেশনগুলোকে নিঃস্বার্থ ভাবে এগিয়ে আসতে হবে। মনে রাখতে হবে এই পৃথিবীটা সবার। এই পৃথিবীতে সকল মানুষের সমানভাবে বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে। 

প্রতিবেদন- সুমিত দে

No comments