Header Ads

মাস্কের অস্বস্তি থেকে বাঁচতে 'অ্যাক্টিভ রিসেপটর মাস্ক' আবিষ্কার একদল বাঙালি বিজ্ঞানীর


করোনার সংক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য যে গাইডলাইন তৈরি হয় তাতে একটি পয়েন্টে বলা হয় মুখ ও নাক সুন্দর করে ঢাকার জন্য মাস্ক  ব্যবহার করতে হবে। গাইডলাইন অনুযায়ী সকলেই মাস্ক ব্যবহার শুরু করে। সাধারণ মানুষের মাস্ক ব্যবহারে অতোটা অসুবিধা হয়নি কারণ সাধারণ মানুষকে কেবল বাড়ি থেকে বেরিয়ে বাজার ও দোকান যাওয়ার জন্য কিছুটা সময় মাস্ক ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু হাসপাতালের কর্মী, স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকদের সারাক্ষণ মাস্ক ব্যবহার করতে হয়। এতে তারা প্রচণ্ড অস্বস্তিতে পড়তে থাকে। 


চিকিৎসকরা সারাক্ষণ মাস্ক ব্যবহারের ফলে তাদের শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে প্রচণ্ড কষ্ট হয়। তাদের মাস্ক পরে সারাক্ষণ কথা বলাও কঠিন হয়ে পড়ে। সাধারণ মাস্ক হোক বা সার্জিক্যাল কিংবা N-95 সব মাস্কেই একই সমস্যা দেখা যায়। হুয়ের এক গবেষণাতে দেখা গেছে N-95 মাস্ক শক্ত করে মুখে বাঁধলে শ্বাসকষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত ৫১ জন চিকিৎসক মারা গেছেন। তাদের মৃত্যুর কারণ হিসেবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দায়ী করা হচ্ছে শ্বাসকষ্টকে৷ 

মাস্কের সর্বপ্রকার অস্বস্তি থেকে চিকিৎসকদের বাঁচাতে উদ্যোগ নেয় একদল বাঙালি।   যাদের হাত ধরে তৈরি হলো 'অ্যাক্টিভ রিসেপটর মাস্ক'। কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের অধীনে থাকা এক সংস্থাতে তারা তৈরি করেছে এই মাস্ক। 'অ্যাক্টিভ রিসেপটর মাস্ক' ব্যবহার করলে এতটুকুও অস্বস্তিতে ভুগতে হবে না৷ সহজ বাংলাতে এই মাস্ককে মুশকিলআসান মাস্কও বলা চলে।  

অ্যাক্টিভ রিসেপটর মাস্কে যে সুবিধাগুলো আছে তা হলো এই মাস্ক ভেতরের সমস্ত কার্বন-ডাই-অক্সাইডকে হ্রাস করে দেবে। এই মাস্ক পরে কথা বললে ৮০ শতাংশ পরিস্কার ভাবে কথা শোনা যাবে। এই মাস্কে থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল গার্ড টানা একমাস পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে। এই মাস্ক ঠিক এতোটাই  আরামদায়ক। 

প্রতিবেদন- সুমিত দে

No comments