Header Ads

বিশ্বের মর্যাদাপূর্ণ 'রোডস স্কলারশিপ' অর্জন করলেন বাঙালি তরুণ সুচিন্তন দাস


দেশের মধ্যে বুদ্ধি, মেধা সবেতেই এখন এগিয়ে বাঙালিরা। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জায়গাতে বাঙালিরা পড়াশোনার জন্য ছুটে চলে। বহু বাঙালি স্বপ্ন দেখে পড়াশোনা করে বাংলার মুখ উজ্জ্বল করা। সেই স্বপ্ন অনেকের সত্যিও হয়ে চলেছে। এই প্রতিবেদনে আমরা এমন একটি সুখবর দিতে চলেছি যে খবরটি পড়লে বাঙালি হিসেবে আপনিও গর্ববোধ করবেন৷ 


অনেক বাঙালি বলে নিজের দেশ ছেড়ে বিদেশে পড়তে যাওয়াটা নাকি বোকামি। এটা নিছকই ভুল ধারণা কারণ বিদেশে বিশেষ করে ইউরোপের দেশগুলোতে শিক্ষার মান এদেশের থেকে অনেক বেশি উন্নত। তাদের মতো শিক্ষার কাঠামো এদেশে নেই বললেই চলে। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক সংস্থা কোয়াকার্লি সায়মন্ড (কিউ-এস) নির্বাচিত বিশ্ববিদ্যালয় তালিকাতে দেখা গেছে বিশ্বের সেরা ৫০০ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ভারতের মাত্র আটটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম রয়েছে। ভারতে সব বিষয়ে কোর্স করার সুযোগ নেই যেমন প্যালিওঅন্টোলজি নিয়ে কোনো কোর্স করার সুযোগ নেই ভারতে। উন্নতমানের ল্যাব পরিষেবাও নেই এদেশে।  অতএব বিদেশে তো বাঙালিদের পড়তে যেতেই হবে। 

কলকাতার তরুণ সুচিন্তন দাস এই বছর অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স ও ডক্টরেট ডিগ্রি নিয়ে পড়াশোনা এবং গবেষণার জন্য ৩ বছরের জন্য মর্যাদাপূর্ণ 'রোডস স্কলারশিপ' পেলেন। সুচিন্তন দাস বর্তমানে দিল্লির সেন্ট স্টিফেন্স কলেজের ইতিহাসের চূড়ান্ত সেমিস্টারের স্নাতকের ছাত্র। বিশেষ সূত্রে জানা গেছে, একশোরও বেশি ভারতীয় অংশ নিয়েছিল এই প্রতিযোগিতায়। প্রায় ছয়মাস ধরে চলে এ প্রতিযোগিতা। এতোটাই কঠিন এই প্রতিযোগিতা৷ এখানে অংশ নিয়ে ২০২১ সালের সবচেয়ে মূল্যবান এই বৃত্তি অর্জন করেছেন মাত্র পাঁচজন। এই বছরের একমাত্র বাঙালি হিসেবে সুচিন্তন দাস অর্জন করলেন এই বৃত্তি সম্মান।  

২০১৮ সালে সল্টলেকের সিএ স্কুলের ছাত্র সুচিন্তন দাস আইসিএসসি পরীক্ষার সর্বভারতীয় বিভাগে ৯৯ শতাংশ নাম্বার নিয়ে তৃতীয় স্থান অধিকার অর্জন করেছিলেন। তার গবেষণার বিষয় হল 'ভিন দেশের পরিযায়ী মানুষ ও তার ইতিহাস।' সুচিন্তন দাসের বাবা রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক। 

প্রতিবেদন- নিজস্ব সংবাদদাতা 

তথ্যসূত্র- কাজকেরিয়ার ডট কম

No comments