Header Ads

বাঁকুড়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম জলাধার সমুদ্র বাঁধে চালু হলো নৌকা পরিষেবা


বিষ্ণুপুরের মল্লরাজাদের ইতিহাস ছড়িয়ে আছে জয়পুরেও। শাল জঙ্গলে ঘেরা সবুজ প্রকৃতির লাস্যময়ী সৌন্দর্যে ভরপুর এই স্থান। জয়পুরের প্রাচীন নিদর্শন হলো সমুদ্র বাঁধ, যে বাঁধের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গজুড়ে প্রাচীন মল্লরাজাদের স্মৃতি জড়িয়ে আছে। আসন্ন শীতে পর্যটকদের দৃষ্টিনন্দন হতে চলেছে জয়পুরের সমুদ্র বাঁধ। 


বাঁকুড়ার ঐতিহ্যবাহী স্থানের মধ্যে বিষ্ণুপুর ও জয়রামবাটির পর যার নাম উঠে আসে তা হলো জয়পুর। বাঁকুড়ার গুরুত্বপূর্ণ এক হটস্পটে পরিণত হতে চলেছে জয়পুর। বাঁকুড়া জেলার দ্বিতীয় বৃহত্তম জলাশয় হলো জয়পুরের সমুদ্র বাঁধ। ৫২ একর জমির ওপর এই জলাশয় নির্মিত হয়। গত বছর এই জলাধারের পাশে তৈরি হয় বনফুল ট্রি হাউস রিসর্ট। যা দেখার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে পর্যটকেরা এখানে ছুটে আসছেন। বাড়ির বদ্ধ কৃত্রিম জীবন ছেড়ে প্রকৃতির মোহমায়ায় নিজেকে খুঁজে নেবার যথাযথ স্থান হলো বনফুল রিসর্ট।  

বনফুল রিসর্ট উদ্বোধনের একটা বছর গড়াতে না গড়াতেই সেজে উঠলো সমুদ্র বাঁধ। যার বক্ষে এবার ছুটবে যন্ত্র চালিত বোট। সমুদ্র বাঁধে চালু হলো নৌকাবিহারের পরিষেবা। সমুদ্র বাঁধে বোটিং এর মাধ্যমে ভ্রমণের অভিনব স্বাদ পেতে চলেছে পর্যটকরা। বড়দিনে আনন্দঘন মুহূর্ত উপভোগ করার জন্য ভ্রমণপিপাসু বাঙালি তাকিয়ে আছে জয়পুরের দিকে।   

তিন দশক ধরে সমুদ্র বাঁধ সংস্কারের অভাবে ধুঁকছিল। ২০১৬ সালে প্রশাসনিক উদ্যোগে নবনির্মিত হয় জলাশয়টি। পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে পর্যটনের উন্নতির জন্য জলাশয়টি ব্যবহার করার পরিকল্পনা শুরু হয়। দীর্ঘ জল্পনার পর ভিন্ন চেহারায় জেগে উঠেছে সমুদ্র বাঁধ৷ এই জলাধারের  বুকে এখন থেকে প্রতিদিন আনাগোনা চলতেই থাকবে নৌকার। 

প্রতিবেদন- সুমিত দে

No comments