Header Ads

বন্ধুত্ব দিবসে স্কুলজীবনের স্মৃতি খোঁজ। জয়তী চক্রবর্তীর নতুন গান 'ইস্কুল বেলা'


বর্ষে বর্ষে দলে দলে আসে বিদ্যামঠ তলে, চলে যায় তারা কলরবে, কৈশোরের কিশলয় পর্ণে পরিণতি হয় যৌবনের শ্যামল গৌরবে। জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হলো স্কুলজীবন। আমরা যারা কর্পোরেট দুনিয়ার সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত তারা আজও যখন দিনের শেষে বাড়ি ফিরি তখন রাস্তায় দেখা মেলে স্কুল পড়ুয়াদের বাড়ি ফেরার দৃশ্য। যাদের দেখে ফিরে যেতে ইচ্ছে করে পুরানো দিনগুলোতে। সকালে স্নান সেরে স্কুল ইউনিফর্ম গায়ে লাগিয়ে বন্ধুদের সাথে গল্পগুজব করতে করতে ক্লাসরুমে ঢোকার স্মৃতি কিংবা ক্লাসের ফাঁকে ফাঁকে শান্ত স্বভাবের হালকা দুষ্টুমি।          
               

স্কুলে ভর্তি হওয়া মানেই নতুন ছেলেমেয়েদের সাথে জমে ওঠে সখ্যতা। অচেনা মানুষও হয়ে ওঠে বহুদিনের চেনা। খুব মনে পড়ে সেইসব ঘটনাগুলো, এক ছেলে অন্য ছেলের টিফিন চুরি করে খাচ্ছে। কোনো ছেলে বা মেয়ে পড়া না পারার দোষে স্কুলের ব্যালকনিতে কানে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। কেউ ফিজিক্যাল এডুকেশনের ক্লাসে সবুজ মাঠে ফুটবল পায়ে ছুটোছুটি করছে। কেউ ক্যান্টিনে ক্লাসের ফাঁকে বাদাম চিবোতে চিবোতে আড্ডা দিচ্ছে। কোনো কোনো মেয়ে ক্লাসের মধ্যেই চুলোচুলিতে মগ্ন হয়ে উঠছে। সত্যিই যেন বাস্তবিক রূপকথার দেশ।          
স্কুলজীবন শেষ হয়ে যাওয়ার পর আমাদের মনে পড়তে থাকে পুরানো বন্ধুদের কথা। বারবার স্মরণে আসে সেই দিনগুলোর কথা। প্রথম বেঞ্চে বসার জন্য বন্ধুদের সাথে ঝগড়া করা, ক্লাস কামাই করে মাঠে খেলতে যাওয়া, বৃষ্টির দিনে বৃষ্টিতে ভিজতে যাওয়া, হাসিঠাট্টা, আড্ডাতে মেতে ওঠা প্রভৃতি মনে থাকে সারাটা জীবন। 

শৈশব ও কৈশোরে ফেলে আসা স্কুলজীবনকে ভাবতে সকলেরই ভালো লাগে। যে মানুষটা পড়াশোনাতে ভালো নয় কিংবা যে মানুষটা পড়াশোনাতে ভালো উভয়েরই স্কুলজীবনের কথা সমানভাবে মনে থাকে। এই স্কুলবেলার গল্পকে পাখির চোখ করে আজ বন্ধুত্ব দিবসের কথা মাথায় রেখে মুক্তি পেল স্বনামধন্য সঙ্গীত শিল্পী জয়তী চক্রবর্তীর নতুন মিউজিক ভিডিও 'ইস্কুল বেলা।' 

সম্পূর্ণ অ্যানিমেশনের মাধ্যমে বানানো হয়েছে গানের ভিডিও চিত্র। আমাদের ফেলে আসা শৈশব কৈশোরের মধুময় স্মৃতির খোঁজ মেলে এই গানের ভিডিও চিত্রে। পরিচালক ও প্রযোজক শ্বেতা গুপ্তার পরিচালনায় নির্মিত হয়েছে ভিডিও চিত্র। স্কুলবেলার স্মৃতিবিজড়িত গল্পকথার পরিচয় পাওয়া যায় গানটিতে। শুভ দাশগুপ্তের সহজ সরল শব্দ চয়ন, কল্যাণ সেন বরাটের সুর মুর্ছনার ও জয়তী চক্রবর্তীর সুরেলা কন্ঠ গানটিকে করে তুলেছে অপ্রতিম।   

শুভ দাশগুপ্তের সহজ ভাষায় ইস্কুল বেলাকে তুলে ধরা, কল্যাণ সেন বরাটের অসামান্য সুর ও একালের জনপ্রিয় গায়িকা জয়তী চক্রবর্তীর গায়কী সব মিলিয়ে এই ভিডিও শ্রোতাদের মন্ত্রমুগ্ধ করেছে। গানটির শেষের বাস্তব কথাটি মানুষের মনকে নাড়া দিয়ে যায়। ইতিমধ্যেই সঙ্গীত প্রেমীদের মন জয় করে নিয়েছে গানটি। আগামী দিনে লোকের মুখে মুখে ফিরবে গানটি বলে মনে করছেন অনেকেই।

শুধু জনপ্রিয়তাই নয় গানটি একটি মাইলস্টোন হয়ে থাকবে বলে মনে করেন Kristi Creation এর কর্ণধার শ্বেতা গুপ্তা।

প্রতিবেদন- লিটারেসি প্যারাডাইস ইনফরমেশন ডেস্ক

No comments