Header Ads

দর্শকের প্রশংসায় উচ্ছ্বসিত 'আমার শহরের মন খারাপ'


বহুদিন নিশ্চুপ মহানগর। গত কয়েক মাসেই সবকিছু কেমন যেন বদলে গেছে। শহরের সেই চেনা ব্যস্ততা হারিয়ে গেছে। ভিনদেশী কোনো এক ভাইরাসের আক্রমণে গৃহবন্দী হয়ে সময় কাটাচ্ছে শহরের সকল মানুষ। যার রেশ কাটতে না কাটতেই কোনো এক অচেনা বিপর্যয় উড়ে এসে জুড়ে বসলো শহরের বুকে। যার গ্রাসে লণ্ডভণ্ড হলো গোটা শহর। ২০২০ এই বছরটা যেন কালনাগের অভিশাপের মতো বিচরণ করছে। যার ছোবলে চতুর্দিক দিকবিদিক শুন্য। 


আজ ক্লান্ত শহরের দিনযাপন। মনে হয় মন খারাপের কালো মেঘ ঘনিয়ে এসেছে শহরের প্রতিটি কোণে। একলা শহরটা যেন নিজেকে নিয়ে চুপটি করে বসে রয়েছে৷ এমন এক অভিনব চিত্র দেখা গেল গায়ক স্নিগ্ধজিৎ ভৌমিকের নতুন গান "আমার শহরের মন খারাপ" এর প্রতিটি দৃশ্যে। একদিন যে শহরটা প্রানোচ্ছল ছিল, যে শহরের বুকে ভেসে বেড়াত প্রেমিক প্রেমিকারা, মানুষের ঢল থাকতো সবসময় যে শহরে, আজ সেই শহর টা কেমন যেন একলা। ভালোবাসার অভাবে যেন এক প্রাণহীন জীবনযাপন করছে এই শহর। গানটি মুক্তির পর বেশ সাড়া ফেলেছে দর্শকমহলে। গানটির কথা লিখেছেন ও সুর করেছেন সৈনিক দে। বলাইবাহুল্য "আমার শহরের মন খারাপ" মানুষের প্রশংসায় উচ্ছ্বসিত।

অ্যানিমেশনের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে শহরের বর্তমান ছবি৷ গানের কথা শহরের অনেক না বলা গল্প বলে। মেলোডিতে ভরা গানের সুর বয়ে নিয়ে যায় রূপকথার দেশে। গানের প্রতিটি চরণ সময়ের সাথে সম্পর্কিত। স্নিগ্ধজিৎ ভৌমিকের সুরেলা কণ্ঠে জীবন্ত হয়ে উঠেছে এই গান৷ 


শহর কলকাতা কবে যে আবার শান্ত হবে কেউ জানেন না। পুরানো কলকাতাকে ফিরে পেতে অপেক্ষা ছাড়া এখন আর গতি নেই। তাই এখন সবার কাছে গানই ভরসা। স্নিগ্ধজিৎ ভৌমিকের এই গান শহরের বিষণ্ণতা এঁকেছে। শহর তো একদিন স্বাভাবিক হবেই তাহলে না হয় একটু বিষণ্ণতা নিয়েই বাঁচা যাক। আমাদের পরবর্তী কয়েকটি প্রহর 'আমার শহরের মন খারাপ' এর সাথেই কাটুক। 

প্রতিবেদন- লিটারেসি প্যারাডাইস ইনফরমেশন ডেস্ক

No comments