Header Ads

দুই হাজার পরিবারকে বিনামূল্যে আর্সেনিক অ্যালবাম থার্টি ঔষধ বিতরণ করলো জগৎবল্লভপুর মিনি ম্যারাথন 'অনুভব'


ইদানীং আর্সেনিক অ্যালবাম ৩০ নামের এক হোমিওপ্যাথি ঔষধ নিয়ে রাজ্যজুড়ে হিড়িক পড়ে গেছে। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে শরীরের ইমিউনিটি  পাওয়ার বৃদ্ধিতে সাড়া জাগিয়েছে এই ঔষধ। শুরুতে বিতর্ক গড়িয়েছিল এ ঔষধটি নিয়ে। পরবর্তী কালে ইন্ডিয়ান হোমিওপ্যাথিক কাউন্সিল স্বীকৃতি দিয়ে জানিয়েছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য উপযুক্ত ঔষধ হলো আর্সেনিক অ্যালবাম থার্টি। কাজেই গ্রামাঞ্চল থেকে শহরাঞ্চল সব জায়গাতে ঔষধটির চাহিদা তুঙ্গে। ফলত বেশিরভাগ দোকানে ওষুধটির সংকট দেখা যায়।  


চারিদিকে খবর আসতে থাকে যে আর্সেনিক অ্যালবাম থার্টি একবার ফুরিয়ে গেলে বাজারে আসতে একটু সময় লাগছে। অনেক মানুষ ঠিক ভাবে এই ঔষধ পাচ্ছেন না। এমতাবস্থায় হাওড়ার জগৎবল্লভপুর মিনি ম্যারাথন 'অনুভব' নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এগিয়ে আসে। স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বাঁচাতে একটি বিশেষ অভিযান চালাচ্ছে তারা। হাওড়ার বেশ কয়েকটি গ্রামে বিনামূল্যে আর্সেনিক অ্যালবাম থার্টি বিতরণ করা হয়। গত ১৩ ই মে, ১৪ ই মে ও ১৫ ই মে সকালে 'অনুভব' এর পক্ষ থেকে পাঁতিহাল পূর্ব পাড়া সংলগ্ন গ্রামের মন্ডল, মাল, সাঁতরা, সাউ, সামন্ত, প্রামাণিক, বেরা, জানা, মাজী, হাজরা, মালিক, ব্যানার্জী পাড়াতে ৪০০ টি পরিবারের হাতে বিনামূল্যে আর্সেনিক অ্যালবাম থার্টি বিতরণ করা হয়। এরপর ১৬ ই মে সাদৎপুর সংলগ্ন মন্ডল, সামন্ত, মাজী, মান্না পাড়ায় ১৫০ টি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় এই ঔষধ। তারপর ১৭ ই মে মানসিংহপুর গ্রামে ১৫৬ টি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় এই ঔষধ। এরপর ১৯ শে মে মানসিংহপুর বাঘাযতীন ক্লাব সংলগ্ন রায় পাড়ায় ১৫০ টি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় এই ওষুধ। একই দিনেই মানসিংহপুর সংলগ্ন গ্রামে পাঁজা ও মান্না পাড়ায় ৩০০ টি পরিবার  এবং ২২ শে মে মুন্সিহাট বল্লভবাটি গ্রামে ক্যাম্পের মাধ্যমে ৫০০ টি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় এই ওষুধ। সবমিলিয়ে প্রায় দুই হাজার পরিবার বিনামূল্যে হাতে পেয়েছে এই ওষুধ। 


রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য বিনা খরচে বাড়ি বাড়ি হোমিওপ্যাথিক ঔষধ বিতরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় জগৎবল্লভপুর মিনি ম্যারাথন 'অনুভব' এর তরফ থেকে। দুই হাজার পরিবারের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়৷  সঠিক পরিকল্পনা মতো সাফল্যের মুখ দেখেছে তারা। প্রায় দুই হাজার পরিবারের হাতে এই ঔষধ পৌঁছে দিতে পেরে তারা যথেষ্ট আপ্লুত৷ কেবল ঔষধ বিতরণই নয়, এর আগেও বিভিন্ন সামাজিক কাজে এগিয়ে এসেছে তারা৷ লকডাউন চলাকালীন বহু আর্তপীড়িত মানুষদের হাতে তারা ত্রাণও পোঁছে দিয়েছে। পরিবেশ বাঁচাতে ভারতীয় প্রজাতির বিভিন্ন বৃক্ষরোপণের কর্মসূচীও নিয়েছে তারা৷ ভারত-চীন সীমান্তে মৃত এ দেশের শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে তারা মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে এক কিমি রোড রেলির আয়োজন করেছিল।     

জগৎবল্লভপুর মিনি ম্যারাথন 'অনুভব' এর প্রতিটি উদ্যোগ মানবিকতার বার্তা বহন করে। মানুষ যে মানুষের জন্য এ কথার সত্যতা আবারো প্রমাণিত হলো তাদের হাত ধরে। স্বাস্থ্য ও পরিবেশকে নতুন করে গড়ে তুলতে তারা বদ্ধপরিকর। তাদের এই কর্মকাণ্ড যে-কোনো প্রতিষ্ঠানকে অনুপ্রাণিত করে। বাংলার বুকে এভাবেই হাজারো স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সুস্থ ও সবুজ বাংলা গড়ে তুলুক। 

প্রতিবেদন- সুমিত দে

No comments