Header Ads

আর এক কাকাবাবু যিনি সত্যি সত্যিই ইয়েতি অভিযানে গেছেন



আমরা কাকাবাবুর ইয়েতি অভিযান পড়েছি কিন্তু আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা যে সত্যি সত্যিই ইয়েতি নিয়ে অনেকগুলোই অভিযান হয়েছে। ইয়েতি সম্পর্কে বিদেশে বিভিন্ন রকম গল্প ছড়িয়ে রয়েছে। আসলে ইউরোপ এবং অ্যামেরিকার পর্বতারোহীরা বরাবরই হিমালয় অভিযানে যান এবং নিজেদের অভিজ্ঞতা লেখেন সেই থেকেই ইয়েতি নিয়ে একটা বিস্ময় থেকেই গেছে।

ইয়েতি নিয়ে শুধু বাংলা সিনেমা 'ইয়েতি অভিযান' ই নয় ইয়েতির ওপর প্রায় ৫০ খানা সিনেমা নির্মিত হয়েছে বিভিন্ন ভাষায়। 'দ্য স্নো ক্রিয়েচার', 'হাফ হিউম্যান', 'ইয়োকো', 'ম্যান বিস্ট', 'স্মল ফুট', 'মিসিং লিঙ্ক', 'দ্য জু রবারি', 'লিসসি আন ডের ওয়াইল্ডে', 'কাইসার', 'ওস্ট্রেজনেই: ইয়েতি', 'ইয়েতি ইল গিগান্টে ডেল ২০ সেকোলো', 'অ্যাবোমিনেবল' এর মতো ইংরেজি, রাশিয়ান, জাপানিজ, স্প্যানিশ, জার্মানী, ইটালিয়ান ভাষায় নির্মিত হয়েছে।ইয়েতি নিয়ে সাহিত্য রচনা করেছেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, হ্যারি নর্মান টার্টেলডোভের মতো লেখকরা। এমনকি 'টাইটান কোয়েস্ট', 'মিস্টার নাজ' ইত্যাদির মতো ভিডিও গেম, কার্টুনও নির্মিত হয়েছে।

এরিক শিপটন, মাইকেল ওয়ার্ড এবং এডমন্ড হিলারি মেনলং হিমবাহ থেকে এই পদচিহ্ন আবিষ্কার করেন

তিব্বত এবং নেপালের বিভিন্ন অংশে ইয়েতি বিভিন্ন নাম যেমন বুন মানচি, মি-গো, জুরিয়েন, মির্কা ইত্যাদি নামে পরিচিত। ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দে তেনজিং নৌরগে এবং এডমন্ড হিলারি মাউন্ট এভারেষ্ট আরোহণ কালে বেশ বড় আকারের পদচিহ্ন বা ফুটপ্রিন্ট দেখতে পান যদিও তিনি নিজের দেওয়া রিপোর্টে ইয়েতির অস্তিত্বের কথা ভ্রান্ত বলেই বর্ণনা করেছেন। তেনজিং নৌরগে ওনার আত্মজীবনীতে লিখেন ইয়েতি সম্ভবত বড় কোনো এপ হবে তবে তিনি নিজে কখনও তা দেখেননি। যদিও ওনার দ্বিতীয় আত্মজীবনীতে উনি ইয়েতির অস্তিত্ব নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।

তারপরই ১৯৫৪ সালে ইয়েতির উপস্থিতির সত্যতা যাচাই করার জন্য ব্রিটিশ দৈনিক পত্রিকা ডেইলি মেল একটি অভিযাত্রী দল পাঠান। এই অভিযানের নাম ছিল স্নোম্যান এক্সপিডিশন' সেই দলে ছিলেন বিখ্যাত বাঙালি পক্ষীবিশারদ ড. বিশ্বময় বিশ্বাস, নৃতত্ববিদ চার্লস স্টোনার, প্রকৃতিবিজ্ঞানী জেরাল্ড রাসেল, পর্বতারোহী টম স্টোবার্ট, পর্বতারোহী এবং বিজ্ঞানী জন জেকশন।এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন ইজার্ড এবং এনাদের সাহায্যার্থে ২০০ জন শেরপা।

ড. বিশ্বময় বিশ্বাস প্যাংবোচেতে প্রাপ্ত খুলি পরীক্ষা করছেন
ওনারা প্রায় ৬ মাস এই অভিযান চালান তাতে অনেক অজানা প্রাণীর পদচিহ্ন আবিষ্কার সম্ভব হয় যদিও ইয়েতির কোনো পদচিহ্ন আবিষ্কার হয়নি। যদিও প্যাংবোচে মনাস্ট্রিতে সংরক্ষিত একটি খুলি যেটিকে ইয়েতির মাথার খুলি বলে দাবী করে এই অভিযাত্রী দলকে দেখান সেখানের সাধারণ মানুষ।প্রফেসর ফ্রেডরিক উড জোনস এই খুলি পরীক্ষা করেন যদিও তা ইয়েতি ছিল না। যদিও প্রথম ভারতীয় হিসেবে ড. বিশ্বময় বিশ্বাসদের ইয়েতি অভিযান বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় তখন আলোড়ন ফেলেছিল।



তথ্যসূত্র- প্রেস রিডার, বায়োডাইভার্সিটি লাইব্রেরী


No comments