থ্রিলারের মোড়কে টানাটান উত্তেজনাপূর্ণ এই ছবি। পরিচালনায় সৌম্যজিৎ আদক

চলচ্চিত্রের ভবিষ্যৎ কী তবে ওটিটি প্লাটফর্ম? করোনার আবহে এমন প্রশ্নই উঠছে সিনেমহলে। গত তিন চার মাস ধরে বন্ধ রাজ্যের সমস্ত সিনেমাহল ও মাল্টিপ্লেক্স। এতোদিন ধরে হলগুলো বন্ধ থাকার জন্য মুক্তি পায়নি কোনো ছবি৷ বহু ছবির মুক্তিও অনির্দিষ্টকালের জন্য  পিছিয়ে গেছে৷ সকলকেই অপেক্ষা করতে হচ্ছে কবে হলগুলো খুলবে? রাজ্যে  প্রতিদিন যেভাবে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে তাতে হয়তো সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরের হলগুলো কোনোমতেই খুলবে না। তাই কদিনের জন্য ভরসা এখন ওটিটি প্লাটফর্মই৷ বহুদিন ধরে নতুন কোনো বড় বাংলা ছবি মুক্তি পায়নি৷ অনেক দর্শকেরই মন খারাপ। পপকর্ণ নিয়ে পর্দায় ছবির দেখার দিনগুলো যেন হঠাৎ হারিয়ে গেল। 

দীর্ঘ অপেক্ষার পর ওটিটি প্লাটফর্মে একাধিক ছবি রিলিজের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বেশ কিছু প্রডিউসার। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে গত ২৬ শে জুন মুক্তি পেল নতুন বাংলা ছবি 'লক্ষ্য'। যে ছবিটি পরিচালনা করেছেন পরিচালক সৌম্যজিৎ আদক৷ সামাজিক প্রেক্ষাপটে উঠে এসেছে ছবির গল্প। আমাদের সমাজ কী আদৌ নারীদের জন্য সুরক্ষিত? এই বিষয়কে পাখির চোখ করে ছবির গল্পটি লেখা হয়। এ ছবির গল্প লিখেছেন নীলাঞ্জন  মুখোপাধ্যায়। সামাজিক মূল্যবোধ এ ছবির মুখ্য বস্তু। 

এক যুবতীর ওপর নির্যাতনের ঘটনাকে সাক্ষী রেখে এগিয়েছে ছবির চিত্রনাট্য। সমাজে কোনো মেয়ের ওপর ধর্ষণ বলে সমাজ কোনো একটি ধর্মকে দায়ি করে থাকে। আমরা ভুলে যায় ধর্ষণ হিন্দুও করেনা, ধর্ষণ মুসলিমও করেনা৷ ধর্ষণ একমাত্র ধর্ষকই করে থাকে। ধর্ষকের কোনো জাতি-ধর্ম হয়না৷ সমাজকে এক কঠোর শাসনের মধ্যে বেঁধে রাখতে সমাজকে কঠিন প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করতে 'বঙ্গ' অ্যাপে মুক্তি পেয়েছে এই ছবি৷ 

খবরের কাগজ খুললেই চোখে পড়ে প্রতিদিন নারী নির্যাতন, নারী পাচারের খবর। দেহব্যবসার নামে প্রত্যহ নারীদের পণ্য হিসেবে ব্যবহার করার ঘটনা, অপরাধ, স্মাগলিং, ইভটিজিং দিন দিন বেড়েই চলেছে। দেশের আইনকানুন, বিচার ব্যবস্থা সবই ভেঙ্গে পড়েছে। আইনের অভাবে ডানা মেলে উড়ে বেড়াচ্ছে অপরাধীরা। আমরা যদি ভবিষ্যতে অপরাধের বিরুদ্ধে রুখে না দাঁড়ায় তাহলে মা-বোনের সম্মান আমরা রক্ষা করতে ব্যর্থ হবো। সমাজের এই দিকগুলোই ছবিতে বর্ণনা করা হয়েছে। 

ছবিতে লক্ষ্য ছবির পরিচালক সৌম্যজিৎ আদক   

এক ঘন্টা দুই মিনিট দীর্ঘ এই ক্রাইম থ্রিলারে অভিনয় করেছেন স্বনামধন্য অভিনেতা পরাণ বন্দোপাধ্যায়, ঋষভ বসু, নীল ভট্টাচার্য, নেহা আমানদীপ, রণজয় বিষ্ণু ও তারান্নুম হক। পরিচালক সৌম্যজিৎ আদক পরিচালনা ছাড়াও ছবির স্ক্রিনপ্লেরও দায়িত্ব পালন করেছেন৷ কুইনটেলস এন্টারটেইনমেন্টের প্রযোজনায় এই ছবি নির্মিত হয়েছে৷ ছবির সংলাপ লিখেছেন সিঞ্জন বসু৷ 

প্রতিবেদন- লিটারেসি প্যারাডাইস ইনফরমেশন ডেস্ক