Header Ads

সুন্দরবনের মানুষের পাশে এবার ত্রাতা রূপে বিরাজমান অভিজিৎ বিনায়ক বন্দোপাধ্যায়


কথায় বলে স্বদেশে পূজ্যতে রাজা, বিদ্বান রাজা সর্বত্র পূজ্যতে। তাই তো অভিজিৎ বিনায়ক বন্দোপাধ্যায় জিতেছেন নোবেল। এই পুরস্কার পাওয়া কী আর চাট্টিখানা কথা। তবুও এ পোড়াদেশে খুশী হলো না বহু মানুষ তাঁর নোবেলজয়ে। কেন্দ্র সরকারের আঁতে যে ঘা দিয়েছেন তিনি। চোখে আঙুল  দিয়ে করোনার আগেই দেখিয়ে দিয়েছেন যে ভারতের অর্থনীতি কতটা দুর্বল। পাশাপাশি কী করলে দেশের অর্থনীতি সঠিক জায়গায় পৌঁছবে তাও তিনি ভালো করেই বিশ্লেষণ করেছেন৷ এটা তো কোনো অপরাধ নয়। প্রতিটি সরকারের ভুল-ত্রুটি নিয়ে প্রশ্ন তোলার অধিকার আছে সাধারণ মানুষের। মনে রাখতে হবে এটি একটি গণতান্ত্রিক দেশ। কিন্তু সেই গণতন্ত্র আজ কোথায়? এ দেশ আজকে যেন উল্টো রাজার দেশে পরিণত হয়েছে। যেন হীরকের দেশ ৷ 


যে মানুষটি পৃথিবীর দারিদ্র্য দূরীকরণ নিয়ে গবেষণা করে নোবেল পেলেন। যিনি অর্থনীতির উন্নতির জন্য এ দেশকে মন্ত্রও দিয়েছেন। সেই বেচারা লোকটার কপালে জুটেছিল দেশদ্রোহীতার তকমা। কালকেও যারা অভিজিৎ বাবুকে দেশদ্রোহী বলে গলা উঁচিয়েছেন তাদের মুখে কুলুপ এঁটে দিলেন তিনি। সূদুর বস্টন থেকে আমফান বিদ্ধস্থ সুন্দরবনে ত্রাণ পাঠালেন তিনি। সুন্দরবনের বর্তমান অবস্থা তাঁকে অত্যন্ত ব্যথিত করেছে। সোশ্যাল মিডিয়াতে সুন্দরবনের চিত্র দেখে তিনি বিশেষ ভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছেন৷ বস্টনে বসে সুন্দরবনের বিভিন্ন ভিডিও পর্যন্ত তিনি দেখেছেন৷ যা দেখেই তিনি দুর্গতদের খাদ্য ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করার কথা চিন্তা করেন। অবশেষে আমফান মোকাবিলাতে সুন্দরবনের মানুষের বিপদে ঠেকনা হয়ে কাজ আরম্ভ করে দিয়েছেন তিনি ৷ 

লিভার ফাউন্ডেশন ওয়েস্ট বেঙ্গলের মাধ্যমে অভিজিৎ বিনায়ক বন্দোপাধ্যায় সুন্দরবনে ত্রাণ পাঠিয়েছেন। দেশে না ফিরতে পারলেও বিদেশে বসেই বস্টন ও সুন্দরবনের মাঝে সেতুবন্ধন করলেন তিনি৷ তাঁর উদ্যোগে ঐ সংস্থার তরফে খোলা হয়েছে কমিউনিটি কিচেন। তিনি তাঁর বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-পরিজন ও শুভাকাঙ্ক্ষী মানুষদের সুন্দরবনের পাশে দাঁড়াতে আবেদনও জানিয়েছেন। সুন্দরবনে বহু মানুষ বেঁচে থাকার ছাদ হারিয়েছেন। কোনোক্রমে ত্রিপল খাঁটিয়ে দিন কাটাচ্ছেন তারা। একগুচ্ছ বাঙালি জাতীয়তাবাদী সংগঠন, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, শিল্পসমাজ, নাট্যসমাজ, প্রকাশনী সংস্থা সকলেই সুন্দরবনের কালো সময়ে সেখানকার মানুষদের সাহায্য করেছেন৷ নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের এমন প্রশংসনীয় উদ্যোগ যথেষ্ট গর্ব করার মতো৷ বাংলা ও বাঙালির ঘরে ঘরে এমনই বঙ্গসন্তানেরই জন্ম হোক৷ তিনি কর্মসূত্রে আমেরিকার নাগরিক হলেও বাংলার টান এখনও ভোলেননি৷ তিনি বাংলাকে মনে-প্রাণে ভালোবাসেন। সুন্দরবনে ত্রাণ প্রদান ও নোবেলের মঞ্চে বাংলাতে তাঁর বক্তৃতা প্রদান প্রমাণ করে তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। এমন বাঙালি আর কজনই বা আছেন এই বাংলাতে। 

প্রতিবেদন- লিটারেসি প্যারাডাইস ইনফরমেশন ডেস্ক

No comments