ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে পৃথা দাশগুপ্তের গাওয়া রবীন্দ্র সংগীত 'ও যে মানে না মানা'
রবীন্দ্র সংগীত
বাঙালিদের মনে বারে বারে প্রভাব ফেলে চলেছে প্রায় একটা শতক ধরেই। এত মানুষ
কবিগুরুর গান নিয়ে চর্চা করছেন যে বলতে গেলে বাংলা গানের জগতের বড় একটা খুঁটি
তিনি। লালন, নজরুল ও কবিগুরুর গানগুলি বিভিন্ন ভাবে পরিবেশনের চেষ্টা করছেন বহু
মানুষ। অন্যদের মতোই রবীন্দ্র সংগীতের এরকম একটি গান পরিবেশন করলেন সংগীতশিল্পী
পৃথা দাশগুপ্ত। পেশাগতভাবে
তিনি সাংবাদিকতার কাজ করেন এবং এর পাশাপাশি গান করেন।
তিনি প্রধানত রবীন্দ্র
সংগীত এবং উচ্চাঙ্গ সংগীত নিয়ে কাজ করেন। রবীন্দ্রসংগীত
জগতের অন্যতম গায়িকা শ্রাবণী সেনের কাছে তিনি রবীন্দ্র সংগীত শেখেন এবং উচ্চাঙ্গ
সংগীত শেখেন সুতপা ভট্টাচার্যের কাছ থেকে।২০১৪ তে তিনি প্রথম গানের অ্যালবাম লঞ্চ
করেন ‘সংগীতাঞ্জলি’ নামে। ‘ও যে মানেনা
মানা’র মতো কয়েকটি গান দিয়েই তিনি এই অ্যালবামটি
বানিয়েছিলেন। বাংলা ১৩১৬ বঙ্গাব্দ অর্থাৎ ইংরেজি ১৯০৯ সালে কবিগুরু এই গানটি রচনা
করেন। এটি একটি ভৈরবী রাগ ও দাদরা তালের গান। যেটি পরিচালনা করেছিলেন শ্রাবণী সেন।
সমগ্র মিউজিক অ্যারেঞ্জম্যান্ট করেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। ‘ও যে মানেনা মানা’ গানটির অডিও প্রকাশ হয় ২০১৪ তে।
২০১৯ এ এই গানটির
ভিডিও প্রকাশিত হয়।এই বছর এই রবীন্দ্রজয়ন্তীতে কবিগুরুকে শ্রদ্ধা জানাতে তিনি ‘ও
যে মানেনা মানা’ ভিডিওটি তিনি
নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে প্রকাশ করেছেন।ওনার অফিশিয়াল ফেসবুক পেজের প্রথম গান-ই
হল এটি।তিনি লিটারেসি প্যারাডাইসকে জানান যে- ‘আমি ছোটো থেকে প্রধানত রবীন্দ্র সংগীত-ই করতাম।তবে এখন
রবীন্দ্র সংগীতের পাশাপাশি অন্যান্য গান-ও করছি।কবিগুরু তো বাঙালির জীবনে এমন একটা
জিনিস যে তিনি আমাদের জীবনের প্রত্যেকটি পরিস্থিতিতেই যেন পাশে থাকেন।’
ভিডিওটির পরিচালনাও
হয়েছে খুব সুন্দর ভাবে। এই ভিডিওতে ব্যবহৃত প্রাকৃতিক দৃশ্য,নদীর ধারের দৃশ্য,সূর্যোদয়,জঙ্গলের
ঝরা পাতা,ফুল সকলেরই ভালো লাগবে। সাথে গানটির সুর এবং পরিবেশনা আপনার ভালো লাগবে
এটুকু বলা যেতেই পারে।
প্রতিবেদন- অমিত দে
Post a Comment