মুক্তির অপেক্ষায় লকডাউনের অন্যতম কল্পবিলাসী ছবি পরাবাস্তব
এই ছবির অন্যতম আকর্ষণ হলো লকডাউনে নির্জনতায় ভরা পরিত্যক্ত স্থানের অসাধারণ বহিরঙ্গন দৃশ্য। লকডাউনের সময়তে তিনি এবং দেবজ্যোতি রায় নির্জন স্থানগুলিতে ঘুরে ঘুরে মনোরম দৃশ্যপট তুলে ধরেছেন। এ কাজটি তিনি করেছেন লকডাউনের সমস্ত নিয়ম মেনে। পরাবাস্তব কথাটির অর্থ হলো অদ্ভুত ধরণের কোনো জিনিস বা ঘটনা যা দেখা যায় কিন্তু ঠিক বোঝা যায়না, যেন এক অন্য সত্ত্বা দেখা যায় তবু ধরা যায়না। যেহেতু সিনেমার নাম 'পরাবাস্তব' তাই তিনি কল্পনাবিলাসী কোনো জায়গার রূপ তুলে ধরতে চেয়েছেন ফটোগ্রাফির মাধ্যমে। এরকমই মনে হবে ছবির কয়েকটি পোস্টার দেখলেই।
'পরাবাস্তব' ছবিটি পরিচালনা করেছেন কৌশিক রায় (পাউ)। পরিচালনা ছাড়াও আবহসঙ্গীত এ ছবির অন্যতম চমক। এ ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন দেবজ্যোতি রায়। এ ছবিতে মোট তিনটি চরিত্র রয়েছে। কেন্দ্রীয় চরিত্র বাদে বাকী দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন পরিচালক নিজে। ছবিটির প্রযোজনায় হট্টমেলা। এ ছবিটির বিশেষত্ব হলো পরিচালনা, অভিনয়ের পাশাপাশি আবহসঙ্গীত, সম্পাদনা ও রংবিন্যাস করেছেন তিনি এবং ছবিটির চিত্রনাট্যও লিখেছেন তিনি। আগামী সপ্তাহে অনলাইনে মুক্তি পেতে চলেছে এই ছবি। ছবিটির পরিচালনা, আবহসঙ্গীত এবং ছবিতে ব্যবহৃত কালার টিন্ট ও সম্পাদনা আপনাকে মুগ্ধ করবে৷ এর আগেও তিনি রেখেছিলেন বহু রকমের চমক। তিনি বানিয়েছেন সম্ভবত বাংলার প্রথম স্যাডো পাপোট্রি ফিল্ম। এর পাশাপাশি তিনি আয়োজন করেছিলেন লোকসঙ্গীত নিয়ে দ্যোতারা বাজাই ও ডুবকি কর্মশালা। এমনকি ওনার পরিচালিত হট্টমেলা চলচ্চিত্র উৎসবেরও বহর বাড়ছে দিন দিন। কৌশিক রায়ের শুভাকাঙ্ক্ষীরা এ ছবিটি নিয়ে যথেষ্টই উদগ্রীব।
এ ছবির প্রসঙ্গে কৌশিক রায় লিটারেসি প্যারাডাইসকে বলেন "এই লকডাউনের সময়ে দাঁড়িয়ে একটু অন্য ধরণের এক্সপেরিমেন্ট করতে চেয়েছি এ ছবিতে। আশা করছি আপনাদের এ ছবি ভালো লাগবে।"
প্রতিবেদন- অমিত দে
Post a Comment