Header Ads

সলিল চৌধুরী সময়কার গানগুলো নিয়ে কী চর্চা হচ্ছে?


সলিল চৌধুরী'র সৃষ্টি করে যাওয়া সুর, গান নিয়ে ইদানিং চর্চা অনেক কমে গেছে। গীতা দত্ত তার কণ্ঠ নিয়েও চর্চা শুনিনা। ভি বালসারা, জগন্ময় মিত্র, পিন্টু ভট্টাচার্য, প্রতিমা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে অখিলবন্ধু ঘোষ, ফিরোজা বেগম, চিন্ময় চট্টোপাধ্যায় বা রজনীকান্ত সেন, চারণ কবি মুকুন্দ দাস, মাইকেল  মধুসূদন দত্ত, আরো অনেকেই রয়েছেন তালিকায়, সংখ্যাটা নেহাত কম নয়।



আমার মনে হয় এনাদের প্রত্যেকের বিষয়ে আরো বেশি মাত্রায় লেখা উচিত। বর্ষিয়ান যারা এখনো আছেন তাদের থেকে ইতিহাস জানা সম্ভব হলে সেগুলো নতুন করে রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন।

কলকাতা দূরদর্শনে আশির দশকে স্টুডিও আর্কাইভ এ থাকা শিল্পীদের মূল্যবান রেকর্ড গুলি এই মুহূর্তে কোন পর্যায়ে আছে সেগুলোও দেখে এবং পর্যালোচনা করে প্রয়োজনে আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে বাঁচিয়ে রাখার প্রয়াস নেওয়া উচিত। আকাশবাণীর ক্ষেত্রেও একই কথা বলবো। 

মানুষ কিন্তু খুব তাড়াতাড়ি যেমন মনে করতে পারে তেমনি ভুলেও যায়। এর মাঝখানের সময়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয় নতুন প্রজন্ম। তারা জানতেও পারেনা, আমরা বড়রা বরাবর নিজেদের দায় এড়িয়ে চলে ছোটদের উপর দোষ চাপিয়ে সরে পড়ি। আমাদের এই মানসিকতার জন্যেই  প্রজন্ম আমাদের প্রতি শ্রদ্ধা হারায়। 

তারা আগ্রহ হারিয়ে দূরে যায়না, আমরাই বরং অলস মৌন থেকে তাদের দূরে সরিয়ে দিই আর বলতে থাকি এই সময় টা বড্ড খারাপ, কোন মাথা মুন্ডু নেই। অথচ আমাদের কর্তব্য ছিল ভারসাম্য সৃষ্টি রক্ষার। সেটা আমরা পারিনি। 

প্রায় শেষের পথে বরং নতুন প্রজন্ম নিজেদের প্রচেষ্টায় স্বর্ণযুগের গান গাইছে, কবিতা পড়ছে, সুর বাজাচ্ছে, চেষ্টা করছে নিজেদের মতো করে কারণ কথা এবং সুরের বাঁধন তারাও খোঁজে। 

No comments