মানসিক ব্যাধি নিয়ে অন্যরকম ছবি বানালেন পরিচালক সৌরদীপ্ত চৌধুরী, ছবির নাম 'ব্লার'
সাইকোলজিক্যাল ডিসঅর্ডার নিয়ে ছবি বানালেন ইনডিপেনডেন্ট চলচ্চিত্র পরিচালক সৌরদীপ্ত চৌধুরী। রকরুলজ স্টুডিও পিকচারের ব্যানারে তৈরি হয়েছে এই ছবি৷ লকডাউনে বাড়িতে বসে শ্যুট করা হয়েছে পুরো ছবির। বাস্তব জীবনে মানুষ বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত। তার মধ্যে মানসিক ব্যাধি অন্যতম সমস্যা। অতিরিক্ত চাপ, স্ট্রেসের ফলে অনেকে মানসিক ব্যাধির স্বীকার হন। মানসিক ব্যাধি অত্যন্ত বেদনাদায়ক। এই ব্যাধি থেকে বেরিয়ে আসা বেশ কষ্টকর৷
অপব্যবহার, উপেক্ষা, তর্জন, সামাজিক চাপ, আঘাতমূলক ঘটনা এবং অন্যান্য নেতিবাচক বা অপ্রতিরোধ্য জীবনের অভিজ্ঞতা জনিত বিষয়গুলো থেকে বাইপোলার ডিসঅর্ডারের জন্য মানসিক অবসাদ তৈরি হয়। অনেক মানুষের জীবনে শৈশবকাল ঠিকভাবে না কাটা, সঠিক কর্মসংস্থান না পাওয়া, কারও ভালোবাসা না পাওয়া, অর্থের অভাব, সাংসারিক অশান্তি, যৌনতার অভাব, একাকীত্ব বোধ প্রভৃতি ভিন্ন কারণে শরীরে মানসিক ব্যাধি লক্ষ্য করা যায়। এমনই একজন মানসিক অবসাদগ্রস্ত মেয়েকে নিয়েই এগিয়েছে ছবির চিত্রনাট্য। ছবির গল্পে রয়েছে একটা অন্য টুইস্ট। ছবির গল্পটা কেমন হবে তা আগামীকাল জানা যাবে কারণ আগামীকাল মুক্তি পাচ্ছে এই ছবি।
পরিচালক সৌরদীপ্ত চৌধুরীর ছবিতে বরাবরই একগুচ্ছ চমক থাকে৷ এই ছবিতেও রয়েছে একটি বড়ো চমক। ছবিতে গান গেয়েছেন অনিন্দ্য চক্রবর্তী যাকে সকলে ডিজে বাপন বলেই চেনেন। যার ইউটিউবে বানানো প্রতিটি গানে মিলিয়নের ওপর ভিউ রয়েছে। তিনি বাংলার প্রথম সারির ইউটিউবারদের মধ্যে একজন। তার সোশ্যাল মিডিয়াতে একটা বিশেষ খ্যাতি রয়েছে।
ডিজে বাপনের গাওয়া বহুদিন আগের সুড়ঙ্গ বলে একটি গান যে গানটি তিনি আবারো নতুন করে গাইলেন এই ছবিতে। এ গানটি বদলে দেবে পুরো ছবিকে। পরিচালক সৌরদীপ্ত চৌধুরী ছবিতে গানগুলো অদ্ভুতভাবে ব্যবহার করেন৷ ছবির গল্প যেহেতু সাইকোলজিক্যাল ডিসঅর্ডার নিয়ে তাই ছবির নামও রাখা হয়েছে সেভাবেই। এ ছবির নাম 'ব্লার'। যার বাংলা অর্থ দৃষ্টির অস্পষ্টতা। ছবিতে অভিনয় করেছেন দীগন্তীকা চৌধুরী। ছবির গল্প ও স্ক্রিপ্ট লিখেছেন পরিচালক নিজে। এর পাশাপাশি তিনি ছবিটি সম্পাদনা করেছেন ও ছবিতে কালার কারেকশন করেছেন৷ ছবির অ্যাডিশনাল স্ক্রিপ্ট লিখেছেন বিশ্ব। এ ছবির কনসেপ্ট সাজিয়েছেন সৌমিতা গুহ। ছবিতে সিনেমাটোগ্রাফি করেছেন রূপম সরকার৷ ছবিতে ভিএফএক্সের কাজ করেছেন শুভম সেন। ছবিতে বিজিএম পরিচালনা করেছেন সায়ন দাস।
প্রতিবেদন- সুমিত দে
Post a Comment