Header Ads

হাস্যকৌতুকতার জালে সকলকে বিদ্ধ করতে মুক্তি পেতে চলেছে দেবলীনা সেন পরিচালিত অডিও প্লে চিংড়ির মালাইকারি


চতুর্দিকে যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। যেন তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রস্তুতি পর্ব। যে যুদ্ধ গোলা-বারুদের নয়। যে যুদ্ধ মানুষে-মানুষে নয়। এই যুদ্ধ রোগের বিরুদ্ধে। করোনার অত্যাচারে অতীষ্ঠ সারা দুনিয়া। করোনা যেন জালের মতো আটকে পড়েছে পৃথিবীর বুকে। আমরা মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছি অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে। সকলেই জানি ঝড় থেমে যাবে একদিন তবুও আশঙ্কার কালো মেঘ যেন কিছুতেই আমাদের পিছু ছাড়ছে না। দিনের প্রতিটি মুহূর্ত এখন অস্তিত্বের জন্য সংগ্রামে ক্ষয় করতে হচ্ছে মানবসমাজকে। এই কঠিন দুঃসময়ে ভাষাহীন হয়ে পড়ছে সকল পেশার মানুষ। কত উৎসব, কত গুরুত্বপূর্ণ দিন, কত পুরানো স্মৃতি সবকিছু হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে। যে নাবালক ছেলেটি মাঠ ছাড়া বাঁচতে পারে না তার কী হবে? যারা মূর্তি বা প্রতিমা বানিয়ে সংসার চালান তাদেরও কী হবে? শিল্পীজগতের কী হবে? এমন সব জটিল প্রশ্নবাণে বিদ্ধ হতে হচ্ছে মনুষ্য সমাজকে। 



লকডাউনে আমরা অনেকে নিশ্চিন্তে জীবনযাপন করছি অথচ দিন আনি দিন খাই মানুষ, পরিযায়ী শ্রমিক না খেতে পেয়ে অনাহারে মারা যাচ্ছেন। ঘরে ফেরার তাড়ায় পায়ে হেঁটে হাজার হাজার মাইল পথ অতিক্রম করতে গিয়ে বহু পরিযায়ী শ্রমিক মারা যাচ্ছেন। হাজার হাজার মানুষ অকালমৃত্যু বরণ করছেন। আশা করাই যায় যে এই সমস্যাগুলো খুব তাড়াতাড়িই কেটে যাবে। এই অসম লড়াইতে আমরা প্রতিটি মানুষ ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করে চলেছি৷ এই লড়াই আমাদের জিততেই হবে৷ 

আমাদের সেই ভালোবাসার সেদিনের পৃথিবীটা হারাতে বসেছি আমরা। কেউ কী আর পারবো না সেই পৃথিবীটাকে নতুন পৃথিবীর রূপে গড়তে? অবশ্যই আমরা গড়বো নতুন পৃথিবী। সারা পৃথিবীর মানুষ লকডাউন হলেও শিল্পে কখনো লকডাউন হয়না। কারণ শিল্পীকে লকডাউন হলে চলবে না। শিল্পী ও শিল্প ছাড়া মানব জীবনে কিছুই নেই৷ শিল্পী না থাকলে কে লিখবে এই পৃথিবীর কথা, কে গাইবে এ পৃথিবীর গান? একজন শিল্পীই এই অসময়ে পারেন মানুষকে সাহস জোগাতে। 

লকডাউনের মাঝে যাতে মানুষ দুর্বল না হয়ে পড়ে তার জন্য শিল্পীদের দায়িত্ব নিতে হবে। একজন শিল্পীই পারেন তাদের মনে আশার আলো ফোটাতে। তাই বিভিন্ন শিল্পী বাড়িতে বসে গান, ছবি ও সচেতনামূলক ভিডিও বানিয়ে এই চরমতম দুর্দিনে মানুষকে অনাবিল আনন্দ দান করছেন। অডিও প্লে বা শ্রুতি নাটক বানিয়েও অনেকে কাজ করে চলেছেন। এবার মানুষকে আনন্দ দিতে উদ্যোগ নিলেন কর্কট রোগ ও বোসঃ ডেড এন্ড অ্যালাইভ ওয়েব সিরিজ, মন জানে না ছবি, রোজগেরে গিন্নি ও টলিপ্লেক্স রিয়্যালিটি শোর এক্সিকিউটিভ প্রডিউসার দেবলীনা সেন। তাঁর ভাবনা, পরিচালনা ও সম্পাদনায় নির্মিত হলো একটি অডিও প্লে৷ যার শিরোনামটা দেখেই মনে হবে একটা হাস্যকৌতুক ব্যাপার নিশ্চয় আছে অডিও প্লেটির মধ্যে। একদমই তাই, একটি মজার বিষয় নিয়েই তৈরি হয়েছে এই প্লেটি। যার নাম 'চিংড়ির মালাইকারি'। 

'চিংড়ির মালাইকারি'তে রয়েছে চমকপ্রদ আকর্ষণ। একঝাঁক তারকারা যুক্ত রয়েছেন এই প্রজেক্টের সাথে৷ এই নাটকটির চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন স্ক্রিপ্ট রাইটার ও শিক্ষিকা মালঞ্চ ধর। এই অডিও প্লেতে অভিনয় করেছেন পূর্ব পশ্চিম দক্ষিণ উত্তর আসবেই, বীরপুরুষ ও রাইফেল ছবি খ্যাত পরিচালক ও ব্যোমকেশ সিজন ফাইভ খ্যাত অভিনেতা রাজর্ষি দে; সাংবাদিক শর্মিষ্ঠা গোস্বামী চট্টোপাধ্যায়; মেঘবৃষ্টির মলাট, বক্সার, কাল মধুমাস ছবি ও কর্কট রোগ ওয়েব সিরিজ খ্যাত অভিনেতা সুদীপ সরকার; এবিপি আনন্দের সফল প্রাক্তন সঞ্চালক ও সাংবাদিক রেশমী বাগচী; রিলায়েন্সের এক্স মার্কেটিং হেড, অভিনেতা, কর্পোরেট ফিল্মমেকার ও পিআর মার্কেটিং কনসালট্যান্ট রানা বসু ঠাকুর এবং অভিনেত্রী হৃতিষা হালদার।    
   
এই অডিও প্লেতে ব্যবহৃত হয়েছে গান এবং কবিতা। এই প্লেতে ব্যবহৃত হয়েছে এবিপি আনন্দের ফর্মার চিফ এডিটর দেবদূত ঘোষঠাকুরের লেখা কবিতা হাসির দাওয়াই। কবিতা আবৃত্তি করেছেন অধ্যাপিকা সুতপা ঘোষঠাকুর। এই প্লেতে গান করেছেন অ্যাডভারটাইজিং প্রফেশনাল পত্রাঞ্জলি নন্দী। এছাড়াও স্কেচ করেছেন ঈশান চ্যাটার্জী। এই নাটকটির সাবটাইটেল লিখেছেন কর্পোরেট প্রফেশনাল স্নেহা সেন। আবহ সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন সৌরভ সোনালী চৌধুরী এবং এই অডিও প্লেটির প্রচার নকশা করেছেন দেবশ্রী ঘোষ। আগামী ১৭ ই মে মুক্তি পাচ্ছে এই অডিও প্লেটি। বিনোদনপ্রেমী মানুষদের জন্য অনবদ্য প্রয়াস হলো 'চিংড়ির মালাইকারি'। 

প্রতিবেদন- সুমিত দে

No comments