বাঙালি বিজ্ঞানী ড. সমীর কুমার সাহা ও তাঁর মেয়ে ড. সেঁজুতি সাহা করোনার জিনোম সিকোয়েন্স আবিষ্কার করেছেন
ড. সমীর কুমার সাহা এবং তাঁর মেয়ে ড. সেঁজুতি সাহা তাদের তৈরি নিজস্ব চাইল্ড হেল্থ রিসার্চ
ফাউন্ডেশনের গবেষকদের সাথে করোনা ভাইরাসের (SARS COV-2) জিনোমের সিকোয়েন্স নির্ধারণে সমর্থ হন বাংলাদেশে। যে
খবরটি দ্য ডেলি স্টার, ঢাকা ট্রিবিউন, biorxiv, সায়েন্স ডাইরেক্ট ও সময় নিউজে প্রকাশিত হয়।এর আগেও এই বাঙালি বাবা ও মেয়ে বিজ্ঞানী প্রশংসিত হয়েছেন সারা বিশ্বে। বিল গেটসের ওয়েবসাইট গেটসনোটস.কমেও প্রশংসিত হয়েছেন ১৪ ই জানুয়ারি (খবরের লিঙ্ক-https://www.gatesnotes.com/Health/The-Sahas-are-battling-global-health-inequity. মার্ক জুকেরবার্গ-ও ফেসবুকে তাদের কাজের প্রশংসা করেছেন। প্রথম আলোতেও এই খবর প্রকাশিত হয়েছিল।
এর আগে ড. সমীর কুমার
সাহা প্রথম দক্ষিণ এশিয়ান হিসেবে ২০১৭ তে অর্জন করেছেন অ্যামেরিকান সোসাইটি ফর মাইক্রোবায়োলজি অ্যাওয়ার্ড যা হল মাইক্রোবায়োলজিতে
সবচেয়ে বড় পুরষ্কার। এছাড়াও তিনি জিতেছেন ইউনেস্কো কার্লোস জে ফিনলে
অ্যাওয়ার্ড ফর মাইক্রোবায়োলজি (২০১৭)। তিনি আমেরিকান একাডেমি অফ মাইক্রোবায়োলজির
ফেলোশিপতেও নির্বাচিত হয়েছেন। ন্যাশানাল জিওগ্রাফিক ম্যাগাজিনের নভেম্বর সংস্করণে
প্রকাশিত হয় "Here’s Why Vaccines Are So Crucial" নামে একটি
নিবন্ধ। এই নিবন্ধে ভ্যাকসিনের প্রয়োজনীয়তা তার প্রভাব ও নিউমোনিক্যাল ডিজিজ নিয়ে
ড. সাহার সারা জীবনের লড়াই নিয়ে দেখানো হয়েছে।বিশেষত পেডিয়াট্রিক ডিজিজগুলো নিয়ে
তাঁর গবেষণা বিশ্ববিখ্যাত।
এবার আসা যাক করোনার
জিনোম সিকোয়েন্স নির্ধারণের কথায়। জিনোম সিকোয়েন্সিং হল জিনোমের মধ্যে কি প্রকারের
নিউক্লিওটাইড রয়েছে এবং তার সংখ্যা নির্ধারণ করা। নিউক্লিওটাইড হল ডিএনএ এবং আরএনএ এর মৌলিক বিল্ডিং ব্লক। এই জিনোম সিকোয়েন্সিং এবং ম্যাপিং এর কাজ সহজে ভ্যাকসিন তৈরি এবং করোনা ভাইরাস যখন
সংক্রমণ হয় তখন তার জেনেটিক পরিবর্তনকে বুঝতে সাহায্য করবে।
সেঁজুতি সাহার সাথে সহ গবেষকরা |
ড. সমীর সাহা এবং ড.
সেঁজুতি সাহা বাংলাদেশে ছড়ানো করোনা ভাইরাসের মধ্যে ৯ টি নতুন মিউটেশনের সন্ধান
পেয়েছেন যা তিনি GISAID Global Initiative এ পাঠিয়েছেন বিশ্বের অন্যান্য নমুনার সাথে
তুলনার জন্য। ড. সেঁজুতি সাহা বলেছেন –‘আমরা প্রায় ৮০
থেকে ১০০ টি নমুনা পরীক্ষা করার পরিকল্পনা করেছি জিনোম কোডের মিউটেশন জানার জন্য’। Sars cov-2 ভাইরাস হল একটি আরএনএ রেট্রোভাইরাস। এইচআইভি এবং হেপাটাইটিস-ও রেট্রোভাইরাস
ছিল। ওনারা আরএনএ কে ডিএনএ তে রুপান্তরিত করে বাহকের মধ্যে দিয়ে পরীক্ষা করেছেন।
ড. সেঁজুতি সাহা জানান-‘SARS Cov-2
ভাইরাসের কোষ আরএনএ দিয়ে তৈরি।আরএনএ এর ভীত
তৈরি হয় চারটি অক্ষর দিয়ে A (adenine), U (uracil), G (guanine), and C
(cytosine)। করোনা ভাইরাস ২৯০০০ অক্ষর দিয়ে তৈরি যেটা
আমরা বের করেছি যেটা হল এর জিনোম সিকোয়েন্স’। তাদের এই সিকোয়েন্সিং এর জন্য বিল এন্ড ম্যালিন্ডা
গেটস ফাউন্ডেশন-ও সাহায্য করেছিল। এই আবিষ্কারের ফলে করোনা আক্রমনের পিক পজিশন বোঝা
সম্ভব হবে।
তথ্যসূত্র- দ্য ডেলি
স্টার, ঢাকা ট্রিবিউন, সময় নিউজ
Post a Comment