Header Ads

লকডাউনে সাময়িক অস্বস্তি কাটাতে দেখে নিতে পারেন 'ব্লার'


লকডাউনে বাড়িতে বসে পরিচালক সৌরদীপ্ত চৌধুরী নির্মাণ করেছেন বাংলা স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি 'ব্লার'। আজ অর্থাৎ ১৫ ই মে বিকেল পাঁচটার সময় সৌরদীপ্ত চৌধুরীর অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পেয়েছে এই ছবি। কেমন হলো এই ছবি? সে কথাই এখন তুলে ধরছি। আমরা ছবিটি দেখে আমাদের পয়েন্ট অফ ভিউ থেকে এ ছবির প্রতিটি দিক নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করবো৷ 



প্রথমে আসি ছবির গল্পে। মানুষের অভ্যন্তরীণ সমস্যাকে কেন্দ্র করে জালবুনন করা হয়েছে এ ছবির কাহিনীর। একটি মেয়ে যে মানসিক ব্যাধিতে ভুগছে। নিজের একাকীত্ব কাটানোর জন্য হাজারো চেষ্টা করে ক্লান্ত হয়ে পড়ছে সেই মেয়েটা।কখনও নিজের খেয়ালে চুল আঁচড়াচ্ছে। কখনও নখে নেল পালিশ লাগাচ্ছে। কখনও নিজেই নিজের মোবাইলে কাব্যিক স্টাইলে লেখা টেক্সট করছে। যেমন তোমার স্নিগ্ধতা লেগে আছে। কিংবা, এ শরীরে আগুন জ্বলছে। তোমার শীতলতার অপেক্ষা করছে রাত। ডালিমের গন্ধ চাই। আমি ডালিমের স্পর্শ চাই। এমন কিছু বাক্য লিখে নিজেই নিজেকে মোবাইলে টেক্সট পাঠাচ্ছে। অন্যেরা ভাবছে হয়তো অন্য কেউ তাকে জ্বালাতন করে টেক্সট করছে। এমনকি সে নিজেও তার বন্ধুদের ফোনে বলছে কে যেন তাকে ফোনে ডিস্টার্ব করছে। সে নিজে আসলে কী করছে ভুলে যাচ্ছে। এক দুবার সে তার খোলা শরীরের অস্পষ্ট ছবি তুলে নিজেই নিজেকে ম্যাসেজ করছে। এভাবেই এগোতে থাকে ছবির চিত্রনাট্য। সবশেষে একটি গানের মধ্যে মানসিক অবসাদগ্রস্ত মেয়েটির কথা তুলে ধরা হয়। 

ছবির গল্পের কথা তো লিখলাম৷ এবার আসি ছবির চিত্রনাট্যে৷ এ ছবির চিত্রনাট্য লিখেছেন পরিচালক নিজেই। এ ছাড়াও সংযোজিত চিত্রনাট্য লিখেছেন বিশ্বরূপ হাওলাদার। এ ছবির কনসেপ্ট সাজিয়েছেন সৌমিতা গুহ। ছবির চিত্রনাট্য যথেষ্ট সাবলীল। 

ছবির গল্প ও চিত্রনাট্যের কথা বলা শেষ হলো। এবার আলোকপাত করা যাক ছবির অভিনয়, গান, আবহসংগীত ও সিনেমাটোগ্রাফি নিয়ে। এ ছবিতে অভিনয় করেছেন দীগন্তীকা চৌধুরী। মানসিক ব্যাধিগ্রস্থ মেয়েটির চরিত্রে তার অভিনয় একদম মানানসই। তার মুখ-ভঙ্গিমা থেকে শুরু করে কথা বলা বা হাঁটা চলা এককথায় চমৎকার। সবকিছুকে ছাপিয়ে গেছে ডিজে বাপনের গাওয়া সুড়ঙ্গ গানটি৷ যে গানে র লাইনগুলো অস্থির। "তোর শরীর জুড়ে সুড়ঙ্গ, সেই সুড়ঙ্গ তোকেই গিলে খায়।" গানের পাশাপাশি ছবিতে ব্যবহৃত সায়ন দাসের করা আবহসংগীতও বেশ চমকপ্রদ। আর সিনেমাটোগ্রাফি নিয়ে আলাদা করে কথা না বললেও চলে। ঝকঝকে সিনেমাটোগ্রাফি সহযোগে করা হয়েছে ক্যামেরার কাজ৷ এ ছবিতে সিনেমাটোগ্রাফি করেছেন রূপম সরকার, যার হাতের কাজ অত্যন্ত নিখুঁত৷ 

বেশিরভাগ বিষয় নিয়েই কথা হলো বাকী রইলো ছবির ভিএফএক্স৷ এ ছবির ভিএফএক্স করেছেন শুভম সেন৷ তার কাজও চমকে দেওয়ার মতো। রকরুলজ স্টুডিও পিকচার প্রযোজিত 'ব্লার' ছবিটি সবমিলিয়ে সত্যিই অসাধারণ। যারা এই ছবিটি এখনও দেখেননি নীচের লিঙ্কটি ক্লিক করে এক্ষুণি দেখে ফেলুন। 


প্রতিবেদন- সুমিত দে

No comments