নদীয়াবাসীদের জন্য সুখবর। দৈনন্দিন বাজার ঘরে বসে পান 'সব্জি বাজার' অ্যাপের মাধ্যমে
বর্তমানে অনলাইন শপিং
এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। মানুষের সময়
দিন দিন কমছে। তাই অনলাইন শপিং মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। তাই অনলাইন ডেলিভারির
অনেক কোম্পানি গড়ে উঠছে।ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী, বস্ত্র বিপনী এসবের মতো সব্জি,
ফল-মূল ও দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত প্রোডাক্ট সরবরাহের জন্যও তৈরি হয়েছে বহু
কোম্পানি যেমন বিগ বাস্কেট, গ্রোফারস, ব্লু অ্যাপ্রন, অনেস্ট বি ইত্যাদি।শুধু
এরকম বড় বড় কোম্পানির সাথে পাল্লা দিতে বিভিন্ন লোকাল কোম্পানিও এগিয়ে এসেছে।
সারা দেশের মতো বাংলাও পিছিয়ে নেই।
এরকমই একটি কোম্পানি হল
‘সব্জি বাজার’। এই কোম্পানিটি এই সবে চালু হয়েছে নদীয়ার চাকদহ,
পালপাড়া ও শিমুরালিতে। ‘সব্জি বাজারে’ পাওয়া যাবে দৈনন্দিন বাজার, সব্জি, ফল-মূল, দৈনন্দিন ব্যবহৃত
দ্রব্য, গ্রসারি প্রোডাক্ট এবং পার্সোনাল কেয়ার প্রোডাক্ট।তবে কোম্পানির
প্রতিষ্ঠাতা শুভ দত্ত লিটারেসি প্যারাডাইসকে জানান-‘আপাতত নদীয়ার চাকদহ, শিমুরালি এবং পালপাড়া দিয়ে শুরু
হয়েছে তবে করোনার বিপর্যয় কেটে যাওয়ার পর ধীরে ধীরে কল্যাণী, রাণাঘাট ও পায়রাডাঙাতেও
চালু হয়ে যাবে সব্জি বাজার।’
তিনি আরো জানান যে
ধীরে ধীরে আরো প্রোডাক্ট বাড়বে এবং পরে এই অনলাইন অ্যাপটি মাল্টিভেন্ডর অ্যাপে
উন্নিত করার পরিকল্পনা রয়েছে।এই অ্যাপটি অ্য়ামাজন অ্যাপ স্টোর থেকে ডাউনলোড করতে
পারবেন।
একটি ইউটিউব ভিডিও
দেখার পর তিনি অনুপ্রাণিত হয়ে এই কোম্পানি খুলেছেন।এই কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা হলেন
শুভ দত্ত এবং ওনার স্ত্রীও এই কোম্পানির রেজিস্টার্ড পার্টনার।বর্তমানে বাঙালি
সমাজের সমৃদ্ধি ঘটাতে যত বাঙালি ব্যবসায় নামবেন তা জাতির জন্য মঙ্গলজনক।বহু যুগ
থেকেই বাংলায় প্রচলিত আছে যে ‘বানিজ্যে বসতে
লক্ষী’। গৌরি সেন থেকে আলামোহন দাশ, রাজেন্দ্রনাথ
মুখার্জী বা প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের মতো মানুষ এককালে ব্যবসায় পথ দেখিয়েছেন সেই
ধারা বজায় রেখে বাঙালির উন্নতিসাধনে সকল বাঙালির উচিত ব্যবসায় হাত বাড়ানো। ‘সব্জি বাজারে’র ব্যবসার
ভবিষ্যৎ সুদীর্ঘ হোক।
Post a Comment